আলু খাওয়া খারাপ নয়, তা সবারই জানা। তবে কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। এরও কিছু খারাপ দিক আছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আলুকে এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ আলুর মধ্যে সে ক্ষেত্রে সোলানাইন নামে নিউরোটক্সিন তৈরি হয়। যা আমাদের পক্ষে ক্ষতিকর। আলুর মধ্যে এই ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি আাছে তা কিভাবে বুঝবেন? খুব কঠিন কাজ নয় সেটি। বাইরে থেকে দেখেই বোঝা যাবে ওই আলুতে সোলানাইন আছে কিনা-
আলুতে অঙ্কুর দেখা দিলে তা খাওয়া উচিত নয়। অঙ্কুরে সোলানাইন এবং ক্যাকোইনের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। এগুলো গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড। স্নায়ুতন্ত্রের জন্য যা ভীষণ ক্ষতিকারক।
একই ভাবে আলুতে যদি সবুজ রং ধরে তাহলে তা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, সে ক্ষেত্রেও সোলানাইনের মাত্রা বেড়ে যায়।
অনেকেই এক সঙ্গে অনেকটা বেশি পরিমাণে আলু কিনে জমিয়ে রাখেন। অনেক দিন পড়ে থাকার ফলে তাতে পচন শুরু হয়।
আলুর গুন: আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ শর্করা রয়েছে। এতে একদিকে ভাতের চাহিদা পুরন করতে পারে, আবার সবজির মতো খাবার আঁশ, খনিজ লবণ, ভিটামিন ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন আছে। নিয়মিত আলু খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-পোড়া থাকে না। আলু থেকে প্রাপ্ত শক্তি লাইকোজেন হিসেবে মাংসপেশি ও লিভারে সঞ্চিত থাকে। তাই শারীরিক ব্যয়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য আলু একটি উত্তম খাদ্য। আলু কম মাত্রায় সোডিয়ামযুক্ত, প্রায় ফ্যাটমুক্ত ও সহজে হজমযোগ্য। আলুকে বলা হয় স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধক। আলুর প্রোটিন কিডনি রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়রিয়া হলে আলু খেলে সহজে ঘাটতি পূরণ হয় এতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকার কারণে। শিশুদের জন্য আলু খুবই সহায়ক খাদ্য।
রুপচর্চা: আলুতে জিংকসহ অন্যান্য উপাদান থাকায় তা ত্বকের যত্নে বিশেষ উপযোগী। আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখ ও শরীরে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ত্বকের দাগও দুর করে। বিভিন্ন ধরনের ব্রণ নির্মূলেও বিশেষ সহায়ক।