আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান এই তথ্য জানান। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে গাজীপুরে কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি মাদক, সন্ত্রাস, যানজটসহ গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নির্মূলে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো: মাহবুবুর রহমান ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি মো: আরিফুল ইসলাম, গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: খায়রুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রাহিম সরকার, সাংবাদিক মুকুল কুমার মল্লিক, নাসির আহমেদ, মাজহারুল ইসলাম মাসুম, আমিনুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, আবুল হোসেন, আজহারুল হক, মাহমুদা শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের লোগো অনুমোদন হয়েছে। ১ হাজার ১৫২ জনবল নিয়ে জিএমপি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিএমপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গণভবনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লক্ষীপুরা এলাকাস্থ গাজীপুর পুলিশ লাইনসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে।
বেলালুর রহমান বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি সে পুলিশ সদস্য হলেও পার পাবে না। পুলিশি হয়রাণি বন্ধে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে অত্যন্ত সুদৃঢ়। এ ক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে।