জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা হচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের সাত চক্রান্ত, ওই নেতারা তাই আজ এক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
২৪ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নির্বাচনি গণসংযোগ ও পথসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জনগণ কি তাদের ওই ঐক্যকে মেনে নিয়েছে? তাদের নেতা কামাল হোসেন আছেন মঞ্চে আর পেছনে আছে তারেক রহমান।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১/১১-এর কুশীলবদের নেতৃত্ব জনগণ কি মেনে নিতে পারে? মইনুলকে ঐক্যফ্রন্টের নেতা হিসেবে নয়, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে অপরাধী হিসেবে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি আজ মাইনাস-২-এর নেতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, তার মুক্তি দাবি করছে। সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেন আজ নষ্ট রাজনীতির প্রবর্তক, প্রচারক বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, তাই তিনিও আজ নষ্ট রাজনীতিক।’
ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীকে ক্ষমা করেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী করবেন, তার পক্ষে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহী প্রার্থী হলে সঙ্গে সঙ্গে দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে। বিদ্রোহী যে-ই হবে তাকেই বহিষ্কার করা হবে।’
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় ওই পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মো. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, এ কে এম এনামুল হক শামীম, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন সবুজ প্রমুখ।
পরে সেতুমন্ত্রী টঙ্গী থেকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং লিফলেট বিতরণ করেন।