মরমী সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের জীবনী সম্পর্কে জানতে বছর দুয়েক আগে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় আসেন ফ্রান্সের নাগরিক দেবোরা কিউকারম্যান। পরিচয় হয় প্রবীণ বাউল নহির সাঁইয়ের সাথে। এরপরই পাল্টে যায় দেবোরার আধুনিক চিন্তাধারা।
ফ্রান্সের নাগরিক দেবোরা কিউকারম্যান। দর্শনের ছাত্রী। গবেষণার কাজে ঘুরে বেড়িয়েছেন ১৬ টিরও বেশি দেশে। ফ্রান্সে দর্শন শাস্ত্রে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন দেবোরা। সেখানে ইয়োগা বিষয়ে বেশ কিছুদিন শিক্ষকতাও করেন।
বছর দু'য়েক আগে আসেন বাংলাদেশে। লালন সাঁই সম্পর্কে জানতে যান কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায়। সেখানে পরিচয় সাধক নহির সাঁইয়ের সাথে। তাকে গুরু মেনেই পাল্টে যায় দেবোরার চিন্তা-ভাবনা। বিয়ে করেন বাউল ঘরানার যুবক রাজন আলীকে। নিজের নাম বদলে রাখেন দেবোরা জান্নাত। ঠিকানা এখন নহির সাঁইয়ের আশ্রম।
এক সময়ের বিলাসী জীবন ছেড়ে এখন রীতিমতো সংসার করছেন বাউল আচারে। খাচ্ছেন নিরামিশ। লালনের গানের প্রতিও আগ্রহ প্রবল। বাংলা ভাষায়ও বেশ দখল দেবোরার।
গবেষক বলছেন, লালনের প্রতি একজন ফরাসি তরুণীর এই প্রেম বড় ধরনের ত্যাগের উদাহরণ।