আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়পত্র সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। এতে প্রতিটি দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বিধা-বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা বলছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেবে তাদের পক্ষেই তারা নির্বাচনী মাঠে কাজ করবেন। রাজধানী ঢাকার অতি সন্নিকটে এই আসনটি হওয়ায় আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের হিড়িক পড়ে বলে দলের নেতাকর্মীরা জানান।
জানাযায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কিনেছেন ১৮ জন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৩ জন জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
এই আসনে বিএনপির ১৮ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নান, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকার, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কায়সার আহমেদ, মেহেদী হাসান এলিচ, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, গাজীপুর সদর উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ আহাম্মেদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ভাট, গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. সরাফত হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার, কাউলতিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন, মঞ্জরুল ইসলাম রনি, বাসন থানা বিএনপির আহ্বায়ক বশির উদ্দিন বাচ্চু, গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হান্নান মিয়া হান্নু ও কারাভোগকারী গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। পাপ্পু বলেন, গাজীপুরে আমার চেয়ে বেশি কেউ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হননি। কোনো অন্যায় না করেও কেবল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হয়ে দীর্ঘ ১২ বছর একটনা জেল খেটেছি। আশা করি এবার নির্বাচনে জনগণের সহানুভূতি পাব। তবে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবো।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন গাজীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলীম উদ্দিন, ছাত্রনেতা মোস্তফা কামাল হুমায়ুন হিমু। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মনে করেন, প্রয়াত সাংসদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপির মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত।
জাহিদ আহসান বলেন, তাঁর বাবা মানুষকে ভালোবাসতেন। মানুষকে ঘিরেই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি গাজীপুরের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনিও কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। শিক্ষার বিস্তারে তাঁর ভূমিকা আছে। এসব কারণে তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।
জাহিদ আহসান বলেন, তাঁর বাবা মানুষকে ভালোবাসতেন। মানুষকে ঘিরেই ছিল তাঁর স্বপ্ন। তিনি গাজীপুরের উন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনিও কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকায় তিনি ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন। শিক্ষার বিস্তারে তাঁর ভূমিকা আছে। এসব কারণে তিনি দলের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।
এদিকে গাজীপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা এবং গণশিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন ও গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম মামুন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।