বহুল প্রতিক্ষীত গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির পাশে আধুনিক রেলস্টেশন 'বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশন' উদ্বোধন করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা ২৪ মিনিটে গণভবন থেকে টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে স্টেশনটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশনটির উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেলস্টেশনটিকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়।
এসময় বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলস্টেশন এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম,
কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ সদস্য পদপার্থী মো. কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সংবাদকর্মী ও রেলস্টেশনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মোট প্রকল্পটিতে ৫৭৭১.৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলষ্টেশন। অতি চমৎকার এ রেল রেলষ্টেশনটি আকারে ছোট হলেও এর মূল ডিজাইন রাজধানীর কমলাপুর রেলষ্টেশনের আদলে করা হয়েছে।
আপাতত ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি এবং হাইটেক সিটি থেকে রাজধানীতে কয়েক ধাপে ডেমু ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হবে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলষ্টেশন। তাছাড়া রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সকালে দুইটি আর বিকালে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেনে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি রেলষ্টেশন থেকে যাত্রী উঠা নামার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, কালিয়াকৈর “বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির” বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে হাইটেক সিটির কাজ এগিয়ে চলছে।
আর এসব কোম্পানিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানসহ গাজীপুর জেলা শহর থেকে যেন অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে যাতায়াত করতে পারেন এবং যথা সময়ে বাসায় ফিরতে পারেন এ জন্য হাই-টেক সিটির মূল ফটকের পশ্চিম পাশে এ অত্যাধুনিক রেলষ্টেশনটি স্থাপন করা হয়েছে। রেলস্টেশনটি চালুর মাধ্যমে এ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পেরও বিকাশ ঘটবে।