ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলাগুলো তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি শনিবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন ও তাবলিগের মুরুব্বিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইজতেমায় মুসুল্লিরা এখানে আসেন ইবাদতের জন্য, ধর্মীয় কাজে। তারা মাঠের কাজের জন্য, তাবলিগের মেহনতের জন্য এসেছে। এরা কিভাবে মারামারি করে তার জন্য প্রশাসনের কেউ প্রস্তুত ছিল না। প্রশাসনের লোকজনের সামনে জোর করে একটি পক্ষ ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে। আমরা ভেবেছিলাম তারা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করে প্রস্তুতি সভা করবে। কিন্তু তারা তা না করে ভাঙচুর করে এবং এখানে যারা ছিলেন তাদের আহত করলেন। এটা সত্যিই দু:খ জনক ঘটনা।
তিনি বলেন, যেহেতু এখানে একটি হত্যাকান্ড হয়েছে, তিনজন সাথী মৃত্যুশয্যায় রয়েছে এবং বেশ কিছু আহত হয়েছেন। এজন্য থানায় ও আদালতে তিনটি মামলা হয়েছে। মামলাগুলো তদন্তের পরে যারা দোষী ব্যক্তি, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, যারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ^ ইজতেমা নিয়ে কোন শংকা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ইজতেমা হবে, নির্বাচনের পরে। নির্বাচনের পরে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আবার বসবেন, তারা বসে নিজেদের মধ্যে যে ভুল বুঝাবুঝি এগুলির নিশ্চয়ই তারা ক্লিয়ার করবেন এবং ইজতেমা আবারও সুন্দরভাবে হবে এটাই আশা করি।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, ইজতেমার মুরব্বীরাসহ প্রশোসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী ইজমোর মাঠে সংঘর্ষে ভাঙচুরের বিভিন্ন আলামত পরিদর্শন করেন এবং তাবলিগের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত পহেলা ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের দুই গ্রæপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এক মুসল্লি মারা যান এবং দুই শতাধিক মুসল্লী আহত হয়। এর পর থেকেই ইজতেমা ময়দান আইনশৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।