বল হাতে মাশরাফি-মুস্তাফিজের তাণ্ডবের পর ব্যাট হাতে মুশফিকের দারুণ অর্ধশতকের উপর ভর করে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের দেওয়া ১৯৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮৯ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পোঁছায় টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তোলে রভম্যান পাওয়েলের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ বলে ৪৩ রান আসে শাই হোপের ব্যাট থেকে। এছাড়াও কিমো পল করেন ৩৬ রান। ৩টি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের ২০০ তম ম্যাচে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন টাইগার অধিনায়ক। এছাড়াও ইনিংসের শেষ ওভারে দুই উইকেট সহ ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ইনিংস সূচনা করতে নামেন তামিম ও লিটন দাস। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়ে ফিরে যান তামিম ইকবাল। ৮ ওভারে ৩৭ রান তুলে রোস্টন চেজের বলে দেবেন্দ্র বিশুর হাতে ধরা পড়েন তামিম। ২৪ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ইনজুরি থেকে ফেরা তামিম। দাঁড়াতে পারেননি ইমরুল কায়েসও। ওশানে থমাসের বলে ৪ দিয়ে ইনিংস শুরু করলেও পরের বলেই ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে যান কায়েস।
১৯৬ রানের মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪২ রানের মধ্যে ইনজুরি ফেরত তামিম ইকবাল ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ইমরুল কায়েস ফিরে যাওয়ার পর কিছুটা বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে আরেক ওপেনার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় টাইগাররা। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে ৪৭ রানের জুটি গড়ে ধীরে ধীরে জয়ের ভিত গড়েন তারা। তবে ব্যক্তিগত ৪১ রানে কিমো পলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন।
মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের চতুর্থ উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ৩০ রানে উইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের করা প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। মুশফিক-সাকিবের জুটিতে ক্যারিবীয়রা ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ সেঞ্চুরি করে সেরা একাদশে জায়গা করে নেওয়া সৌম্য সরকার মূল ম্যাচে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। মাত্র ১৩ বলের ইনিংসে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রান করে রস্টন চেজের বলে স্লিপে রোভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
এরপর আরেক পরীক্ষিত সেনা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিক। তার অপরাজিত ৫৫ রানের পাশাপাশি অপরপ্রান্তে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১৯৫/৯ (৫০ ওভার) শাই হোপ ৪৩, কিমো পল ৩৬; মাশরাফি ৩/৩০, মুস্তাফিজ ৩/৩৫
বাংলাদেশ- ১৯৬/৫ (৩৫.১) ওভার, মুশফিক ৫৫*, লিটন ৪১।