গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক দু’টি হত্যাকান্ড ঘটেছে।পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ দু’টি পাঠিয়েছে।
নিহতরা হলেন, কুমিল্লার লাকসাম থানার আউচপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে রহিম মিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তরসোম এলাকার রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী আব্দুল হাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রহিম মিয়া কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক আড়াবাড়ি দিঘিরপাড় এলাকায় শ্বশুরের জমিতে বাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।এ কারণে শ্যালক সজীব শনিবার সন্ধ্যায় বোন খালেদা ও দুলাভাই রহিম মিয়ার কাছে টাকা চায়। তখন উভয়দের মধ্যে বাকদন্ড হয়।
বাকদন্ডের এক পর্যায়ে সজীব একতারা দিয়ে রহিম মিয়ার ঘাড়ে আঘাত করেন। একই সাথে গলা চেপে ধরেন। শারীরিক এমন নির্যাতনের ফলে রহিম আহত হলে, তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পর থেকে শ্যালক সজীব পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, সজীব মাদকাসক্ত। এ ঘটনায় নিহতের ভাই জব্বার মিয়া বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে রোববার ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তরসোম এলাকায় ছেলের হাতে ব্যবসায়ী পিতা খুন হয়েছেন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, উপজেলার উত্তরসোম এলাকায় বাড়ির পাশে রড সিমেন্টের ব্যবসা করতেন আব্দুল হাই। হৃদয় নামে তার মানসিক ভারসাম্যহীন এক ছেলে রয়েছে।
ওই ছেলেকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা ছিলো। সেই কথা শোনার পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে হৃদয় ওজন মাপার ৫ কেজি বাটখারা দিয়ে আব্দুল হাইয়ের মাথায় আঘাত করেন। একই সাথে পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করেন।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় আব্দুল হাইকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পরে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ সকালে মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হৃদয়কে আটক করা হয়েছে।