ঐক্যফ্রন্ট ও বিশ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে প্রার্থী করেছে বিএনপি। শনিবার( ৮ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় থেকে দেয়া এই তালিকায় ১৯টি আসন ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এর আগে দুই দিন টানা বৈঠক করেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা যায়নি। তবে গণফোরাম, জেএসডি ও কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ আরও একটি করে আসন চায় বলে জানা গেছে।
ঐক্যফ্রন্টে ছেড়ে দেয়া আসনগুলোর তালিকা:-
৭টি আসনে গণফোরাম
১. ঢাকা-৭
মোস্তফা মহসীন মন্টু
২. ঢাকা-৬, সুব্রত চৌধুরী
৩. ময়মনসিংহ-৮
এএইচএম খালিকুজ্জামান
৪. হবিগঞ্জ-২
রেজা কিবরিয়া
৫. পাবনা-১
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ
৬. কুড়িগ্রাম- ৫
আমছা আমিন
৭. মৌলভীবাজার-২
সুলতান মনসুর।
কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের ৩ আসন
ঋণখেলাপি হওয়ায় নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারছেন না কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী। তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন ভাগাভাগিতে তিনটি আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে তার দল। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৪ আসনে লিয়াকত আলী, টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী ও গাজীপুর-৩ আসনে ইকবাল সিদ্দিকী নির্বাচন করবেন।
৪ আসনে জেএসডি
এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে চার আসনে জোটের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। এর আগে ৫১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল দলটি। দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব নির্বাচন করবেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে।
জেএসডি সূত্র জানায়, কুমিল্লা-৪ আসনে দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, ঢাকা-১৮ আসনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে সাইফুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রার্থী হচ্ছেন। এ ছাড়া শরীয়তপুর-১ আসনে জেএসডির নূরুল ইসলাম মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
নাগরিক ঐক্যের ৫ আসন
পাঁচ আসন পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্যে। দলীয় নিবন্ধন না থাকায় বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন তাঁরা। দলটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
নাগরিক ঐক্য সূত্র জানায়, এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এস এম আকরাম, বরিশাল-৪ আসনে জে এম নুরুর রহমান, রংপুর-১ আসনে শাহ মো. রহমতউল্লাহ ও রংপুর-৫ আসনে মোফাখখারুল ইসলাম নবাব চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পান নাগরিক ঐক্যের ৯ জন প্রার্থী।