একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা আজ শুরু হচ্ছে। রিটার্নিং কর্মকর্তারা আজ প্রতীক বরাদ্দের পর পরই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রচারণার সময় আচরণবিধি ভঙ্গ করলে শাস্তি নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে ৬০০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও এক হাজার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করেছে ইসি। নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধির লঙ্ঘন ঠেকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো রঙিন পোস্টার বা ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। সাদা-কালো পোস্টারের আকার হবে ৬০/৪৫ সেন্টিমিটার। ব্যানারের আকার হতে হবে ৩/১ মিটার (সর্বোচ্চ)। প্রার্থীরা প্রতি ভোটারের পিছে ১০ টাকার অধিক খরচ করতে পারবেন না। সব মিলিয়ে একজন প্রার্থী ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করলে আচরণবিধির লঙ্ঘন হবে।
নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সোমবার (আজ) প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। আর এর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন হলেও গত কয়েক দিনে অনেক বৈধ প্রার্থী আগেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তবে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থী গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ইসির নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দল গতকাল বিকালের মধ্যে বৈধ দলীয় ও জোটভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। বর্তমানে একটি আসনে রাজনৈতিক দল বা জোটের একাধিক বৈধ প্রার্থী রয়েছেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সালের ১৬ (২) ধারা অনুযায়ী, বৈধ একাধিক প্রার্থীর মধ্য থেকে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তির স্বাক্ষরে একজনকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য চিঠি পাঠাতে হবে। দলের পক্ষ থেকে একজনকে প্রতীক বরাদ্দের চিঠি পাঠানো হলে বাকিদের মনোনয়নপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।