গাজীপুর জেলা পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ৯২২টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪৪টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ এবং ২৭৮টি কেন্দ্র কম ঝুঁকিপূর্ণ। ৯২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪০৩টি রয়েছে গাজীপুর মহানগরীতে এবং ৫১৯টি রয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভায়। প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ শব্দের বদলে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ শব্দটি ব্যবহার করছে।
গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান জানান,‘পাঁচটি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৯।’
এর মধ্যে গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর-গাজীপুর সদরের একাংশ) আসনে কালিয়াকৈর পৌরসভা ও কালিয়াকৈর উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে ১২৬টি এবং গাজীপুর সিটিতে ১১০টি কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে উপজেলার ১২৬টি, মহানগরের ৭৮টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) এবং উপজেলার ৪০টি ও মহানগরে ৩২টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।
গাজীপুর-২ (সদর-টঙ্গী) আসনে ২৭০টি কেন্দ্র করা রয়েছে। এর মধ্যে ২০৮টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৬২টি সাধারণ।
গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর-পিরুজালী-ভাওয়ালগড়-মির্জাপুর) আসনে শ্রীপুর পৌরসভা, আটটি ইউনিয়ন ও গাজীপুর সদর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন রয়েছে। এ নির্বাচনি এলাকায় ১৬৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১১৬টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) ও ৫৩টি সাধারণ।
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১১৯টি কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৬৪টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৫৫টি সাধারণ।
গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ-পূবাইল) আসনে রয়েছে ১২৮টি কেন্দ্র। এর মধ্যে গাজীপুর মহানগরের ২৩টি, কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভায় ১০৫টি কেন্দ্র। এর মধ্যে মহানগরে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ২টি সাধারণ এবং কালীগঞ্জের ৬৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪০টি সাধারণ।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিশনাল এসপি) গোলাম সবুর জানান, মহানগরের বাইরে গাজীপুর জেলার ৫১৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩১টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, ‘মেট্রোপলিটন এলাকায় ৪০৩টি কেন্দ্র রয়েছে। এসবের মধ্যে ৩১৩টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিটি কেন্দ্রের গুরুত্ব বুঝে পর্যাপ্ত পুলিশ ও সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন ছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স, রিজার্ভ টিম, র্যাব ও সেনা সদস্যসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।
