কাল নতুন মন্ত্রিসভা। অস্থির সময় যাচ্ছে আলোচনায় থাকা ‘হবু মন্ত্রীদের’। কাক্সিক্ষত ফোনকলের অপেক্ষা। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত অধিকাংশ সংসদ সদস্যরাই কোন না কোন ভাবে মন্ত্রী হবার আকাক্সক্ষা পোষণ করছেন। অনেকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনও হয়েছে। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইভেন্ট খুলে কাউকে মন্ত্রিসভায় না রাখার ক্যাম্পেইনও চলছে। এসব জল্পনার অবসান হবে আগামীকাল সোমবার বিকেলে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতা এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, যা চূড়ান্ত। তৃণমূলের ত্যাগী কয়েকজন নেতারও জায়গা হচ্ছে নতুন মন্ত্রিসভায়।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব নাজমুল হক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি টিম বঙ্গভবনে যান। ধারণা করা হচ্ছে, বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যবস্থাপনার তদারকি করতেই তারা বঙ্গভবনের গেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবও গণভবন-বঙ্গবভনে দৌঁড়ঝাঁপে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
নতুন মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আনুষাঙ্গিক কাজ সারতে সাপÍাহিক ছুটির দিনও খোলা ছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তালিকা পাবার পর, রোববার থেকেই নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণের জন্য ডাকা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে প্রাথমিকভাবে ৪৫ থেকে ৫০ জনের একটি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে। পরে এর আকার বাড়তে পারে। এবার বড় ধরনের রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী দায়িত্বে থাকছেন বলে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতারা নিশ্চিত করেছেন। আবার জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, খাদ্য, দুর্যোগ ও ত্রাণ, শিক্ষা, ধর্ম, ভূমি, পানি সম্পদ, পরিবেশ, বস্ত্র ও পাট এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুলোতে আসতে পারে নতুন মুখ। সঙ্গে যোগ হবে অনধিক একেবারে নতুন মুখ, ১৫ জন প্রতিমন্ত্রী।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেবে বলে আশা করছি। এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের। তাই এ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো গুছিয়ে রাখার জন্য আমরা কাজ করছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবার চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাচ্ছে এটা একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার জন্য শপথ নিতে আমন্ত্রণ জানাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। একই সঙ্গে নতুন সদস্যদের জন্য গাড়িও প্রস্তুত রাখবে সরকারি যানবাহন অধিদফতর (পরিবহন পুল)। শপথের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের দফতর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এদিকে নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন। বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্যরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। তবে দলের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো বলছে, গতবারের মতো এবারো কোয়ালিশন সরকার হবে। যুক্ত হবে বেশ কিছু নতুন মুখ। দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি অঞ্চলভেদে সুষম উন্নয়নের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
নতুন মন্ত্রিপরিষদে কারা স্থান পাচ্ছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন মহলের গুঞ্জনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, এবারের মন্ত্রিসভায় চমক আনবেন শেখ হাসিনা।
দলের উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। আমাদের কারও মাথা ঘামানোর সুযোগ নাই।
তবে সূত্র আরও জানিয়েছে, টানা দুই মেয়াদে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের পর তৃতীয়বারের মতো শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস গড়বেন তিনি। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার নতুন মন্ত্রিসভায় পরীক্ষিত সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি তরুণ কিছু মুখও আনতে চান।
তবে গণভবন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার উন্নয়নের পাশাপাশি অধিকতর সুশাসনের ওপর বেশি নজর দেবেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর গঠিত বর্তমান সরকারের যে মন্ত্রীরা গত পাঁচ বছরে কিছু কাজের মাধ্যমে সরকারকে বিব্রত করেছেন, সমালোচনায় ফেলেছেন, তারা নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাচ্ছেন না- এটি এক প্রকার চূড়ান্ত। আবার অনেকেই আছেন যাদের বয়স হয়ে গেছে কিন্তু মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দলের জন্য নিবেদিত এমন কয়েকজন মন্ত্রীও নতুন করে আর সরকারে থাকছেন না।
আরও জানা গেছে, যারা নিজ মন্ত্রণালয়ের কিছু জটিল সমস্যা নিজেরা সুরাহা করতে পারেননি, এবারের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ছেন তারা। কাজেই বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ থেকে এমন কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বাদ পড়ছেন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
সূত্রটি জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো শপথ নিতে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিপরিষদে এবার নতুন যুক্ত হচ্ছেন তারা; যারা সৎ, সাহসী, দক্ষ ও পরীক্ষিত। একই সঙ্গে শিক্ষিত তরুণ ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির, কোথাও কোনও বদনাম নাই। সংসদ সদস্য হিসেবেও যাদের কোনও দুর্নাম নাই। এমন কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রথমবার নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। আবার একই সঙ্গে যারা দলের জন্য বিভিন্ন সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অথচ তারা সংসদ সদস্য নন, এমন নেতাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হিসেবে সভায় স্থান দিতে পারেন শেখ হাসিনা। মেধা ও দক্ষতার সংমিশ্রণে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে চান তিনি। মাঠ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নতুন সংসদ সদস্যও এবারের মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন, যারা দলের ও সরকারের আগামী দিনের প্রতনিধিত্ব করবেন। মোট কথা সরকারের দক্ষ মন্ত্রী ও দক্ষ নেতা হিসেবে এদের গড়ে তুলতে চান প্রধানমন্ত্রী। দলের ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা এবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, যা চূড়ান্ত।
সূত্র বলছে, গত মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সিনিয়র মন্ত্রীকে নতুন মন্ত্রিসভায় পুনরায় দেখা যাবে। তাদের সঙ্গে ২০০৮ সালের মন্ত্রিসভার কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মনিকে দেখা যেতে পারে নতুন করে। ১৯৯৬ সালের মন্ত্রিসভা থেকে ফিরতে পারেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও আব্দুল মতিন খসরু।
বছর খানেকের জন্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে স্বপদে রেখে দেয়া হতে পারে। আর মুহিত বাদ পড়ে গেলে সে জায়গায় দেখা যেতে পারে বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম লোটাস কামালকে। লোটাস কামালের দফতর পরিবর্তন না হলে অর্থমন্ত্রী করা হতে পারে ট্যাকনোক্রেট কোটায় কাউকে। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন। এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানকে পদোন্নতি দিয়ে পূর্ণমন্ত্রী করার কথাও শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে, নতুন কেউ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাবেন। আর লোটাস কামাল অর্থমন্ত্রী হলে এম এ মান্নান প্রতিমন্ত্রীই থাকছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফকে। আরো চমক হতে পারেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রী আব্দুল মুহিতের ভাই আবদুল মোমেন দায়িত্ব পেতে পারেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। কিশোরগঞ্জের দুই সংসদ সদস্য সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও নাজমুল হাসান পাপনের যেকোন একজনের মন্ত্রিসভায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনায় আছেন নারায়নগঞ্জের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তসীর গাজী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। মুল্যায়িত হতে পারেন গাজীপুরের সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। ক্রীড়াঙ্গনের আলোচিত ও ত্যাগী মুখ মাশরাফি বিন মর্তুজা, মানিকগঞ্জের সংসদ সদস্য সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং খুলনার সালাম মুর্শেদী- এ তিনজনের মধ্য থেকে দায়িত্বে আসতে পারেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে।
ঢাকা মহানগরের রাজনীতি চাঙা রাখতে মহানগরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একজনকে মন্ত্রী করা হতে পারে। সেজন্য কামরুল ইসলাম বাদ পড়লে কপাল খুলতে পারে হাবিবুর রহমান মোল্লা অথবা চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. নুরুল আমিনকে দেখা যেতে পারে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
মংলা বন্দরসহ নৌ-খাতের উন্নয়ন বিবেচনায় খুলনার সংসদ সদস্য শেখ পরিবারের সন্তান শেখ জুয়েলকে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। সিরাজগঞ্জ থেকে আলোচনায় আছেন ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
তাছাড়া ফরিদপুর অঞ্চল থেকে নূরে আলম চৌধুরী লিটন, গাজীপুরের জাহিদ আহসান রাসেল, চট্টগ্রামের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, জয়পুরহাটের আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নেত্রকোণার অসীম কুমার উকিল, আশরাফ আলী খান খসরু, পার্বত্য অঞ্চলের দীপঙ্কর তালুকদার, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আলোচনায় এগিয়ে রয়েছেন।
১৪ দল ও মহাজোটের মধ্য থেকে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তিত মুখ দেখা যেতে পারে। নতুন আলোচনায় আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, মসিউর রহমান রাঙ্গা ও মুজিবুল হক চুন্নু। বিকল্প ধারা থেকে মেজর (অব.) মান্নানকেও দেখা যেতে পারে নতুন মন্ত্রিসভায়।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বর্তমান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি স্বপদে থাকছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে এখানে একজন প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হতে পারেন।
জানা গেছে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পরিবর্তন না হলেও সেখানে প্রতিমন্ত্রী আসতে পারে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও অপরিবর্তীত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে মন্ত্রিসভায় পুনরায় দায়িত্ব না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই মন্ত্রীর। অপরিবর্তীত থাকতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা দুই প্রতিমন্ত্রী।
জানা গেছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বপদে বহাল থাকলেও, কাজের বিস্তৃতি বিবেচনায় এই মন্ত্রণালয়ে একজন প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করার সম্ভাবনা রয়েছে। একই রকম হতে পারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রেও। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তণ আসতে পারে। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হতে পারেন ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী থাকলেও একটা প্রতিমন্ত্রী যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভুমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বার্ধক্যজনিত কারণে দায়িত্ব না পেতে পারেন। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী থেকে যাবেন স্বপদে।
মন্ত্রিপরিষদে স্থান না পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন টানা ১০ বছর মন্ত্রিসভায় থাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী পুনরায় স্বপদে দায়িত্ব পাচ্ছেন বলেই শোনা যাচ্ছে। তার মন্ত্রণালয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির একজন নেতা প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হতে পারেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ১২ জানুয়ারি গঠিত হয় নতুন মন্ত্রিসভা। তখন শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করে ৪৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ওই সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৯ জন মন্ত্রী, ১৭ প্রতিমন্ত্রী এবং দু’জন উপমন্ত্রী ছিলেন। এরা ছাড়াও মন্ত্রীর মর্যাদায় বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ছিলেন দশম সরকারের ক্যাবিনেটে। পরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলেও শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়ায় ৫২ সদস্যের।