ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় সংগঠনগুলোর মধ্যে ৯টি সংগঠনের ৩৬ জন কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মাত্র ১০ জন নিয়মিত ছাত্র। তাই আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংস-ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলসহ অনেক সংগঠনেরই কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ নেতারা প্রার্থী হতে পারছেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অনেকেরই প্রার্থিতা থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জোর প্রস্তুতি চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের। এ অবস্থায়, ডাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই প্রার্থী হতে পারবেন। আর এমফিল ও পিএইচডি গবেষকরা ভোটার হলেও প্রার্থী হতে পারবেন না। ফলে, ক্যাম্পাসে সক্রিয় ১৩টি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ সংগঠনগুলোর বেশীর ভাগ নেতাই প্রার্থী হতে পারছেন না।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ চার নেতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ছাড়া সবাই আট বছরের সময়সীমা পাড় করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, 'সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে যারা জনপ্রিয়, ছাত্রদের কল্যানে কাজ করবে, তাদেরকেই মনোনীত করা উচিত।' এক্ষেত্রে যদি একটা নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষ উল্লেখ করে ডাকসু সম্মেলনের প্রার্থীতা ঘোষণা করা হলে ভালো হবে বলেও মত দেন সোহান খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, 'আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তুলনামূলক যোগ্য-দক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারবে এমন কাউকে নির্বাচিত করা উচিত।'
এছাড়া ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব নেতা অনেক আগেই আট বছরের ছাত্রত্বের মেয়াদ শেষ করেছেন। এমনকি হলের দায়িত্বে থাকা নেতাদেরও একই অবস্থা।
এ প্রসঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন জানান, 'যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স করছেন এবং এমফিল করছেন তারাও যদি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনায় ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তাহলে সব সংগঠনের জন্যই এটি একটি ইতি সিদ্ধান্ত হবে বলেই আমি মনে করি।'
অন্যদিকে, জাসদ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতার কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। আর ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ছাত্র নন, সাধারণ সম্পাদকের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে পারবেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নন।
এ অবস্থায় ভোটার ও প্রার্থিতার যোগ্যতা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। এ বিষয়ে সিন্ডিকেটই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।