একটি ছবির ব্যার্থতা ও সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে পরিচালনা দক্ষতার উপর। আর এর জন্য একজন পরিচালককে হতে হয় বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষ। দৃশ্যকল্প, চিত্রনাট্য, সংগীত, সিনেমাটোগ্রাফি, এডিটিং, অভিনয় জ্ঞানসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন খুঁটিনাটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা পরিচালককে একটি ভালো এবং সফল ছবি নির্মাণে সাহাজ্য করে। এসব দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন পরিচালক। এমনই পাঁচজন পরিচালকের কথা জানা যাক-
রোহিত শেঠি
রোহিত শেঠি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও ব্যবসাসফল পরিচালক। তাঁকে দর্শক আজকাল ‘১০০ কোটি’ বললেও চিনে নেয়। একসময় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করা রোহিতের রয়েছে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ের উপর অগাধ জ্ঞান। তবে চলচ্চিত্রে বেছে নিয়েছেন কমেডি ও অ্যাকশন ধাঁচের ছবি। এই ধারায় তিনি ঈর্ষনীয় সফলতাও পেয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে তাঁর নির্মিত সবগুলো ছবি শতকোটি রুপি আয় করতে সক্ষম হয়েছে, যা বলিউডের ইতিহাসে এক বিরল রেকর্ড। ২০১০ সালে ‘গোলমাল ৩’ ভারতের বক্স অফিসে ১০৬ কোটি রুপি আয় করে। এরপর ২০১১-তে ‘সিংহাম’ ১০০ কোটি ৩০ লাখ, বল বচ্চন ( ২০১২) ১০২ কোটি ৯৪ লাখ, চেন্নাই এক্সপ্রেস(২০১৩) ২২৭ কোটি ১৩ লাখ, সিংহাম রিটার্ন্স (২০১৪) ১৪০ কোটি ৬২ লাখ, দিলওয়ালে (২০১৫) ১৪৮ কোটি ৭২ লাখ, গোলমাল অ্যাগেইন (২০১৭) ২০৫ কোটি ৬৯ লাখ এবং সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া ‘সিম্বা’(২০১৮) এ পর্যন্ত শুধু ভারতেই ২৩০ কোটি রুপি আয় করেছে। এছাড়া তাঁকে ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো খার্টন কা খিলাড়ি ও কমেডি সার্কাস উপস্থাপনা করতেও দেখা গেছে।
রাজকুমার হিরানি
রাজকুমার হিরানিও এক সময় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করতেন। বেশকিছু জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনে তাঁকে অভিনয়ও করতে দেখা গেছে। খুব বেছে বেছে কাজ করা এই পরিচালক এই পর্যন্ত মাত্র ৫টি ছবি নির্মাণ করেছেন। সবগুলো ছবিই ব্যবসাসফল। সর্বশেষ তাঁর পরিচালিত ছবি ‘সঞ্জু’ তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। ভারতের বক্স অফিসে ছবিটি ৩৪১ কোটি ৪২ লাখ রুপি আয় করেছে। তাঁর পরিচালিত অন্য ছবিগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়- মুন্না ভাই এম বি বি এস- (হিট), লাগে রাহো মুন্না ভাই- (ব্লকবাস্টার হিট), থ্রী ইডিয়টস- (অল টাইম ব্লকবাস্টার), পিকে- (অল টাইম ব্লকবাস্টার)।
মোহিত সুরি
বলিউডের অন্যতম সফল এই পরিচালকের ক্যারিয়ারের বেশীরভাগ ছবিই ব্যবসাসফল। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন পরিচালক বিক্রম ভাটের সহকারী হিসেবে। এরপর ২০০৫ সালে নিজেই পরিচালনা করেন ‘জেহের’, যা ব্যাপক ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করে। এরপর একে একে কলিযুগ, আওয়ারাপান, ও লামহে, এক ভিলেন, মার্ডার ২, আশিকি ২, হামারি আধুরি কাহানি’র মতো ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
করন জোহর
পরিচালক প্রযোজক করণ জোহর ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর বাবা জশ জোহর ছিলেন প্রযোজক এবং প্রযোজনা সংস্থা ধর্ম প্রডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা। সে হিসেবে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ের উপর দখল রয়েছে করণের। এর সফলতাও পেয়েছেন। তিনিও এই পর্যন্ত ব্যার্থতার মুখ দেখেননি। করণ জোহরের ছবির বক্স অফিস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম, কাভি আল বিদা না কেহনা, মাই নেইম ইজ খান, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ও অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল সবগুলো ছবিই দর্শকপ্রিয়তার পাশপাশি পেয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা।
কবির খান
‘ডিসকভারি’ চ্যানেলের সিনেমাটগ্রাফার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কবির খান। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘দ্য ফরগটেন আর্মি ‘ নামের একটি ডকুমেন্টারি ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘কাবুল এক্সপ্রেস’, যা তাঁকে ব্যাপক সফলতা এনে দেয়। এরপর একে একে পরিচালনা করেন নিউ ইয়র্ক, এক থা টাইগার, প্যান্থম ও বাজরাঙ্গি ভাইজান-এর মত সফল ছবি। সবগুলো ছবিতেই তিনি পরিচালনার পাশপাশি চিত্রনাট্য লিখেছেন।
রাজকুমার হিরানি
রাজকুমার হিরানিও এক সময় বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করতেন। বেশকিছু জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনে তাঁকে অভিনয়ও করতে দেখা গেছে। খুব বেছে বেছে কাজ করা এই পরিচালক এই পর্যন্ত মাত্র ৫টি ছবি নির্মাণ করেছেন। সবগুলো ছবিই ব্যবসাসফল। সর্বশেষ তাঁর পরিচালিত ছবি ‘সঞ্জু’ তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। ভারতের বক্স অফিসে ছবিটি ৩৪১ কোটি ৪২ লাখ রুপি আয় করেছে। তাঁর পরিচালিত অন্য ছবিগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়- মুন্না ভাই এম বি বি এস- (হিট), লাগে রাহো মুন্না ভাই- (ব্লকবাস্টার হিট), থ্রী ইডিয়টস- (অল টাইম ব্লকবাস্টার), পিকে- (অল টাইম ব্লকবাস্টার)।
মোহিত সুরি
বলিউডের অন্যতম সফল এই পরিচালকের ক্যারিয়ারের বেশীরভাগ ছবিই ব্যবসাসফল। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন পরিচালক বিক্রম ভাটের সহকারী হিসেবে। এরপর ২০০৫ সালে নিজেই পরিচালনা করেন ‘জেহের’, যা ব্যাপক ব্যবসায়িক সফলতা লাভ করে। এরপর একে একে কলিযুগ, আওয়ারাপান, ও লামহে, এক ভিলেন, মার্ডার ২, আশিকি ২, হামারি আধুরি কাহানি’র মতো ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।
করন জোহর
পরিচালক প্রযোজক করণ জোহর ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। তাঁর বাবা জশ জোহর ছিলেন প্রযোজক এবং প্রযোজনা সংস্থা ধর্ম প্রডাকশনের প্রতিষ্ঠাতা। সে হিসেবে ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ের উপর দখল রয়েছে করণের। এর সফলতাও পেয়েছেন। তিনিও এই পর্যন্ত ব্যার্থতার মুখ দেখেননি। করণ জোহরের ছবির বক্স অফিস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম, কাভি আল বিদা না কেহনা, মাই নেইম ইজ খান, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ও অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল সবগুলো ছবিই দর্শকপ্রিয়তার পাশপাশি পেয়েছে ব্যবসায়িক সফলতা।
কবির খান
‘ডিসকভারি’ চ্যানেলের সিনেমাটগ্রাফার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কবির খান। এরপর ১৯৯৯ সালে ‘দ্য ফরগটেন আর্মি ‘ নামের একটি ডকুমেন্টারি ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর ২০০৬ সালে নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘কাবুল এক্সপ্রেস’, যা তাঁকে ব্যাপক সফলতা এনে দেয়। এরপর একে একে পরিচালনা করেন নিউ ইয়র্ক, এক থা টাইগার, প্যান্থম ও বাজরাঙ্গি ভাইজান-এর মত সফল ছবি। সবগুলো ছবিতেই তিনি পরিচালনার পাশপাশি চিত্রনাট্য লিখেছেন।