অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘বাংলাদেশ এ ক্যানভাস অব প্রমিজ’ নামে গত ১০ বছরের উন্নয়নের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম। এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিকেল ৫টার দিকে রাষ্ট্রপতি চলে যাওয়ার পর মেলায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এরপরই জনমানুষের ঢল নামে।
রাষ্ট্রপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বাণিজ্য মেলা দেশে এবং বিদেশিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশিদের ব্যবসায় টিকে থাকতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। পণ্যের মান বাড়াতে হবে, ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরি করতে হবে, বাজার খুঁজতে হবে এবং বিদেশিদের দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে হবে। এসব অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান কৌশল ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। যে পণ্যগুলোর বিদেশে চাহিদা রয়েছে সে সব পণ্য উৎপাদন করতে হবে।’
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এই মেলা ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।