লেখক ও প্রকাশকদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে অমর একুশে গ্রন্থমেলার সময়সীমা দুই দিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আগামী ০২ মার্চ র্যন্ত অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ চলবে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান।এবারের বইমেলা শুরু থেকেই জমে ওঠে। বিশেষ করে উদ্বোধনের দিন থেকে পরপর দু’দিন ছুটির দিন থাকায় প্রথম থেকেই ছন্দ ফেরে মেলায়। বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পর থেকে পূর্ণতা আসে। একুশে ফেব্রুয়ারির দিনেও এবারে উপচে পড়া ভিড় ছিল বইমেলায়। যদিও সেদিন পুরান ঢাকার চকবাজারে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের কিছুটা প্রভাব পড়েছিল গোটা রাজধানীজুড়েই।
তবে শুরু থেকে প্রাণে প্রাণে ভরে উঠলেও শেষের দিকে বৃষ্টিতে খানিক বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয় মেলায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীজুড়ে। গতকাল বুধবার ভারি বর্ষণের কারণে সন্ধ্যাতেই মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, ‘মেলার ২৬তম দিন পর্যন্ত ভালো চলছিল। কিন্তু প্রকৃতির কাছে সবাই তো অসহায়। বৃষ্টির কারণে শেষবেলার আয়োজনে খানিক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও মেলার সার্বিক দিক নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’
এবারের বইমেলায় ৫২৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এ ছাড়াও ১৮০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬২০টি ইউনিটসহ মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এ ছাড়াও বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে দুটি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্টল পেয়েছে অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠানও।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গ্রন্থমেলা উন্মুক্ত থাকে। ছুটির দিনে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলে। আর ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চালু ছিল।বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর দুইটার পর থেকেই বইপ্রেমীদের লাইনে দাড়াতে দেখা যায়। সব বয়সী মানুষের পদচারণায় লোকারণ্য হয়ে ওঠেছে গ্রন্থমেলার উভয় প্রাঙ্গণ।
স্টলে স্টলে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তালিকা করে আনা বইয়ের খোঁজ করছেন তারা। তথ্য কেন্দ্র থেকে পছন্দের লেখকের বইয়ের প্রাপ্তিস্থান জিজ্ঞেস করছেন অনেকেই। এদিকে বৃহস্পতিবারই শেষ দিনে ভেবে নির্দিষ্ট ছাড়ের বাইরে অতিরিক্ত ছাড়ে বই বিক্রি করছে অনেক প্রকাশনী। বেশি বিক্রির মাধ্যমে বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।