গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় আকস্মিক শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল সাড়ে তিনটায় হঠাৎ এ শিলা বৃষ্টি দেখা দেয়।আকাশ অন্ধকার আচ্ছন্ন হয়ে ঝড় বৃষ্টির সাথে সাথে শিলা পড়তে থাকে। শিলা বৃষ্টিতে গাছপালা, বিদ্যুতের তার, রাস্তার পাশে থাকা বিলবোর্ড, বাড়ীর চালসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে যাতায়াত ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে বিঘন্ততার সৃষ্টি হয়।জানা যায়, উপজেলার তেলিহাটি, মাওনা, বরমী, কাওরাইদ, রাজাবাড়ী, গোসিংগাসহ প্রায় সকল এলাকায় ঝড়ো হওয়ার সাথে শিলা বৃষ্টি পড়তে দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা ও শ্রীপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়ীর আঙ্গিনায় শিলার স্তুপ জমে রয়েছে। এছাড়াও শিলায় অনেক টিনের চাল ছিদ্র হয়েছে। এমন আকস্মিক শিলায় সাধারন মানুষ ভীত হয়ে পড়ে। এ দিকে শিলায় কৃষকের ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে পৌর এলাকার জোনায়েত আকন্দের বাড়ীর টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে, ভাংনাহাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনের টিন সেট বাড়ীতে গাছ পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই গ্রামের আদনান মামুন এর বাড়ীর টিনের চাল ও টিনের বেড়া ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। এদিকে নিউহোপ কারখানার গøাস ভেঙ্গে পরিচ্ছন্ন কর্মী নজরুল ইসলামের হাত কেটে যায়। অপর দিকে ভাংনাহাটি গ্রামের নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন মিল্ক এন্ড মিল্ক কারখানার চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী হুমায়ুন আহম্মেদ জানান, আকস্মিক ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে বিদ্যুতের খুটির উপর পড়লে তার ছিড়ে যায়। এছাড়া ঝড়ে বিদ্যুতের খুটি হেলে যাওয়ার খরব পাওয়া গেছে। তাৎক্ষনিক উপজেলার সকল স্থানে পল্লী বিদ্যুতের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আনতে কাজ শুরু করা হয়েছে।