‘ভাগ্যের লিখন, যায় না খণ্ডন’ এমন খনার বচনের উজ্জ্বল উদাহারণ একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়া স্বামী-স্ত্রী। শুধু তাই নয়, লক্ষ্মীপুরের ইতিহাসে এই প্রথম দম্পতি একই সময়ে সংসদে প্রবেশ করেছেন। দেড় বছর আগে প্রবাস থেকে এসে বাজিমাত করেছেন তারা।
এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গণ, এলাকায় কখনই পরিচিত ছিলেন না লক্ষ্মীপুর -২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসে সবার মন জয় করেছেন। তিনি ঢাকা থেকে বেশ কয়েকবার হেলিকপ্টারে এলাকায় আসেন। এতেই সবার নজরে আসেন এ দম্পতি। তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের চেয়ে সমাজ সেবায় মনোযোগ দেন তারা।
সামাজিক কাজ করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকার পক্ষে ভোট চান। এছাড়া রায়পুরের আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতার শুরু করেন। শহিদকে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে কাজী শহিদ নিজ খরচে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ২৮টি মোটরসাইকেল দেন। একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নৌকার প্রচারণায় মাঠে নামেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র কেনেন।
এ আসনে মহাজোট থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও রহস্যময় কারণে প্রার্থী নীরব থাকেন। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। এবার সংরক্ষিত নারী আসনে তার স্ত্রীও এমপি হয়েছেন। এমপি দম্পতির কাছ থেকে লক্ষ্মীপুরবাসীর প্রত্যাশাও বেশি।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, লক্ষ্মীপুররের চার এমপির পাশাপাশি আরো একজন এমপি পেলাম। যিনি এমপি শহিদ ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম। এতে অত্যন্ত খুশি। এমপি দম্পতিকে সাধুবাদ জানাই। জেলার উন্নয়নে পাঁচজন এমপির সমান ভূমিকা থাকবে এ প্রত্যাশা।
লক্ষ্মীপুর -২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল বলেন, মানুষের ভাগ্য বদলের জন্য এমপি হয়েছি। দুইজন এমপি হয়ে মানুষের কাছে ঋণি হয়ে গেলাম। এখন উন্নয়ন করে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। সব সময় মানুষের সেবায় ব্যবস্থা থাকার অঙ্গীকার করেছি।
COMMENTS