![]() |
ফাইল ফটো |
পরিবেশ দূষণ ও ছাড়পত্র না থাকায় গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ও পাইনশাইল এলাকায় ১৫টি ইটভাটাকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ও পাইনশাইল এলাকায় এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সরকারী কোন অনুমোদন না থাকায় ১৫টি ইটভাটাকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার কায়সার সিকদারের মালিকানাধীন মেসার্স সিকদার ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, বুলবুল সিকদারের প্রিন্স হিমেল ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, তমছের আলীর ভাই ভাই ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা, আব্দুল্লাহ মুসুল্লির মেসার্স মুসুল্লি ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা, খায়রুল ইসলামের মের্সাস টিকেবি ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, হারুন অর রশিদের এএএ ব্রিকসকে ৫০ হাজার টাকা, আবু তাহের মুসুল্লির বিপ্লব বিথি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, আলম হোসেনের ভাওয়াল ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা, লোকমান মিয়ার মেসার্স রুফিয়া ব্রিক লিংকসকে ৪ লাখ টাকা, এমদাদুল হকের এটিবি ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, আয়নাল হকের আঁখি ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা এবং পাইনশাইল এলাকার হুমায়ূন মোল্লার মালিকানাধীন ইসলামইল ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, এমদাদ হোসেনের মালিকানাধীন এমদাদ ব্রিকস-২ কে ২ লাখ টাকা, রফিকুল ইসলামের এনআরবি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা ও এরশাদের মা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা। ইটভাটাগুলো মধ্যে ৩টি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এসব ইটভাটার কার্যক্রম আগামী ৭ দিনের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক।
অভিযান চলাকালে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সদরদপ্তরের পরিদর্শক মো. আসাদুল কিবরিয়া, পরিদর্শক মো. মোজাহিদ, জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. জাকির হোসেনসহ র্যাব, পুলিশ, ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
COMMENTS