এখন পর্যন্ত ১৬টি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্টের জন্য আবেদন করলেও নীতিমালার শর্ত পূরণ না করায় লাইসেন্স পায়নি কেউই। সে হিসেবে দেশের সব রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানই লাইসেন্স ছাড়া চলছে। তবে বিআরটিসির নীতিমালা বাস্তবায়নের সাথে বাংলাদেশ পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং বিটিআরসির সংশ্লিষ্টতা থাকায় এ মুহূর্তেই রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে নাছিমুল আলম চৌধুরীর (কুমিল্লা-৮) তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে এসব তথ্য জানানো হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সংসদের নিয়ম অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থিত/অনুপস্থিত যেকোনও মন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর তার নামেই পরিবেশন করা হয়।
সংসদে নাছিমুল হক জানতে চান, এটা সত্য কিনা যে, অ্যাপসভিত্তিক পরিবহন সেবায় শর্ত মানছে না কেউ। উবারসহ ১০ প্রতিষ্ঠান চলছে নিবন্ধন ছাড়াই। বিষয়টি সত্য হলে সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কি না?
পূর্ব নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা জারি হওয়ার পর ১৬টি রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছে। তবে নীতিমালার কিছু শর্ত প্রতিপালন না হওয়ায় আবেদন করা রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ইস্যু করা সম্ভব হয়নি।
মন্ত্রী আরও জানান, নীতিমালার শর্ত পূরণের জন্য অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা বাস্তবায়নের সঙ্গে পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টতা থাকায় এই মুহূর্তে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
COMMENTS