ডেস্কঃ ২০১৪ ও ১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসের কথা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মানুষ ভোলেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর জন্য সারাদেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু হয়েছিলো। সরকার পতনের আন্দোলনের নামে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছিলো। জনগণ সে আগুন সন্ত্রাসকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছিলো এবং এর বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত জনপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছিলো। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছরের পূর্তির পর আবারও শুরু হয় আগুন সন্ত্রাস। সেসময় অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডেকে বিএনপি সারাদেশে আবারও জ্বালাও-পোড়াও এর রাজনীতি শুরু করেছিলো। কিন্তু সেটাও সফল হয়নি এবং সে অবরোধ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহারও করতে পারেনি বিএনপি। দেশ স্বাভাবিক হয়ে এসেছিলো মানুষের কর্মস্পৃহা, কর্মোদ্দীপনা এবং স্বাভাবিক জীবনের ফেরার আকুতি থেকেই।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আগুন সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়ার একটা নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। এই আগুন সন্ত্রাসের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগানও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে। পুরান ঢাকার চকবাজার এবং নতুন ঢাকার বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের পর সারাদেশে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই আতঙ্ককে জনরোষে পরিণত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠীর একটি অংশ সারাদেশের এরকম পরিকল্পিত অগ্নিংযোগ করে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে। এসব পরিকল্পনার মূল হোতা হচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তারেক জিয়ার একাধিক টেলি আলাপের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এসব টেলি আলাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তারেক জিয়া বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আগুন লাগিয়ে সটকে পড়ার জন্য বিভিন্ন লোক ভাড়া করছেন। এটাকে যেন দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হয় এবং সরকার যে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ—এরকম একটি পরিস্থিতি যেন দেশে তৈরি করা হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষ সরকারের উপর আস্থা হারাবে এবং সরকারের প্রতি একটা অসন্তোষ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে দেশে একটা ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা হিসেবেই নতুন আগুন সন্ত্রাস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চকাবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেট ও গুলশান-২ এর ডেল্টা টাওয়ারে যে আগুন লেগেছিলো , সেগুলোর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনায় আগুন লাগানো খুব সহজ ব্যাপার। একটা সিগারেট কোনো জায়গায় রেখে দিলে কিংবা বৈদ্যুতিক তারের মধ্যে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করে আগুন লাগানো সম্ভব।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারী বেসরকারী স্থাপনাগুলোর অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীকে বর্তমান সময়ের সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা চলছে। যে গোষ্ঠীগুলো একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে সঁটকে পড়বে। কিছু প্রাণহানি হবে এবং প্রাণহানির পর সমস্ত দোষ সরকারের ঘাড়ে এসে পড়বে।
এরকম পরিকল্পনা রুখতেই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা একাধিক প্রস্তাবনা সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করা, নিয়মিত মহড়ার ব্যবস্থা করা এবং সরকারি স্থাপনাগুলোতে অনাহুত ব্যক্তিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী পরশু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নাশকতা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু কিছু দুর্ঘটনাকে প্রলম্বিত করা এবং নাশকতার মাধ্যমে আগুন লাগিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার একটা চক্রান্তের খবর তাঁদের কাছে এসেছে। তবে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে যে, গোয়েন্দাদের কাছে যখন তথ্য এসেছে তখন এরকম তৎপরতা তারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার সক্ষমতা রাখেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আগুন সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়ার একটা নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। এই আগুন সন্ত্রাসের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগানও নিশ্চিত করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে। পুরান ঢাকার চকবাজার এবং নতুন ঢাকার বনানীতে অগ্নিকাণ্ডের পর সারাদেশে আগুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই আতঙ্ককে জনরোষে পরিণত করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত গোষ্ঠীর একটি অংশ সারাদেশের এরকম পরিকল্পিত অগ্নিংযোগ করে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য এসেছে। এসব পরিকল্পনার মূল হোতা হচ্ছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া।
জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তারেক জিয়ার একাধিক টেলি আলাপের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এসব টেলি আলাপ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তারেক জিয়া বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আগুন লাগিয়ে সটকে পড়ার জন্য বিভিন্ন লোক ভাড়া করছেন। এটাকে যেন দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানো হয় এবং সরকার যে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ—এরকম একটি পরিস্থিতি যেন দেশে তৈরি করা হয়। যার ফলে সাধারণ মানুষ সরকারের উপর আস্থা হারাবে এবং সরকারের প্রতি একটা অসন্তোষ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে দেশে একটা ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা হিসেবেই নতুন আগুন সন্ত্রাস তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চকাবাজারের চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেট ও গুলশান-২ এর ডেল্টা টাওয়ারে যে আগুন লেগেছিলো , সেগুলোর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে কোন একটি প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনায় আগুন লাগানো খুব সহজ ব্যাপার। একটা সিগারেট কোনো জায়গায় রেখে দিলে কিংবা বৈদ্যুতিক তারের মধ্যে কোনো গোলযোগ সৃষ্টি করে আগুন লাগানো সম্ভব।
একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারী বেসরকারী স্থাপনাগুলোর অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠীকে বর্তমান সময়ের সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য দায়িত্ব দেয়ার চেষ্টা চলছে। যে গোষ্ঠীগুলো একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে সঁটকে পড়বে। কিছু প্রাণহানি হবে এবং প্রাণহানির পর সমস্ত দোষ সরকারের ঘাড়ে এসে পড়বে।
এরকম পরিকল্পনা রুখতেই গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা একাধিক প্রস্তাবনা সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ সরকারী স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাকে কার্যকর করা, নিয়মিত মহড়ার ব্যবস্থা করা এবং সরকারি স্থাপনাগুলোতে অনাহুত ব্যক্তিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী পরশু অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং নাশকতা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা করবে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কিছু কিছু দুর্ঘটনাকে প্রলম্বিত করা এবং নাশকতার মাধ্যমে আগুন লাগিয়ে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার একটা চক্রান্তের খবর তাঁদের কাছে এসেছে। তবে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে যে, গোয়েন্দাদের কাছে যখন তথ্য এসেছে তখন এরকম তৎপরতা তারা অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার সক্ষমতা রাখেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
COMMENTS