ঝড়ো শুরুর পর গোটা ম্যাচই নিয়ন্ত্রণ করল বাংলাদেশ। সময়ের সঙ্গে আধিপত্যও বাড়ল। প্রথমার্ধে এক গোল, বিরতির পর আরো দুটি। ৩-০ গোলের সহজ জয়ে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিকরা।
আগামী শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লাওসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে লাওস। ফাইনালে উঠে আসার পথে তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছে দেশটি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যদের সামনে।
ইনজুরির কারণে কৃষ্ণা রানী ও সিরাত জাহান স্বপ্নাকে নিয়ে সংশয় ছিল। একাদশ তো দূরের পথ, দুই ফরোয়ার্ডকে বদলি খেলোয়াড়দের তালিকার বাইরে রেখে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা ও স্বপ্নার পরিবর্তে একাদশে আসেন মার্জিয়া ও সাজেদা। দুই ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা-স্বপ্নার অভাব বুঝতে না দিলেও গোলের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও আধিপত্য বিস্তার করা বাংলাদেশ একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে। তা কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরো বড় হতে পারত।
কিক-অফের পর মাত্র ২৫ সেকেন্ডেই সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক সেনজা ভি এরদেনেবিলেগকে একা পেয়েছিলেন ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন। কিন্তু তড়িঘড়ি করতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন এ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় মিনিটে আঁখির লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে চিপ করতে ব্যর্থ সাজেদা আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের পেছনে দৌড়েই সময় কাটিয়েছে রক্ষণ জমাট রেখে খেলা মঙ্গোলিয়ান ফুটবলাররা। এ সময় আক্রমণ তো দূরের পথ, বাংলাদেশ সীমানায় বল এসেছে হাতে গোনা দুয়েকবার। বিপরীতে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা বাড়ছিল বাংলাদেশ শিবিরে।
হতাশা কাটিয়ে উঠতে বারবার উঠে আসছিলেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ১৫ মিনিটে মারিয়া মান্ডার কর্নার থেকে আঁখির হেড বাইরে যাওয়ার পর সানজিদার শট সাইডবারে প্রতিহত হয়। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট ধরে প্রথমে এক ডিফেন্ডারকে কাটান সানজিদা। পরবর্তী সময়ে তার জোরালো শট বাইরে যায়। ২১ মিনিটে মারিয়ার কর্নার থেকে আঁখির শট সলোঙ্গো চিনবাথারের বুকে লেগে বাইরে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল না পাওয়ার হতাশা দূর হয় মিডফিল্ডার মনিকা চাকমার দুর্দান্ত ভলিতে। সাজেদার কাছ থেকে পাওয়া বল হেডে সামনে ফেলে এক ডিফেন্ডারকে কাটান মনিকা, পরে তার বাম পায়ের ভলি দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষকের।
খেলার ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মারিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক। ৬৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়ার পা ঘুরে আসা বলে মনিকা চাকমার থ্রু-পাস গোলমুখ খুলে দেয়। আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্জিয়া। ৮৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মনিকা চাকমার পা ঘুরে আসা বলে মার্জিয়ার পাস ধরে তৃতীয় গোল করেন তহুরা খাতুন।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ দলগত সমন্বয়ে বক্সের মধ্যে বল পান তহুরা। এ ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে গেলে ব্যবধান বড় করার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ।
আগামী শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লাওসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। কিরগিজস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে লাওস। ফাইনালে উঠে আসার পথে তিন ম্যাচে ১৮ গোল করেছে দেশটি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে গোলাম রাব্বানী ছোটনের শিষ্যদের সামনে।
ইনজুরির কারণে কৃষ্ণা রানী ও সিরাত জাহান স্বপ্নাকে নিয়ে সংশয় ছিল। একাদশ তো দূরের পথ, দুই ফরোয়ার্ডকে বদলি খেলোয়াড়দের তালিকার বাইরে রেখে খেলতে নামে বাংলাদেশ। কৃষ্ণা ও স্বপ্নার পরিবর্তে একাদশে আসেন মার্জিয়া ও সাজেদা। দুই ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা-স্বপ্নার অভাব বুঝতে না দিলেও গোলের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছে স্বাগতিকরা। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও আধিপত্য বিস্তার করা বাংলাদেশ একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছে। তা কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরো বড় হতে পারত।
কিক-অফের পর মাত্র ২৫ সেকেন্ডেই সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক সেনজা ভি এরদেনেবিলেগকে একা পেয়েছিলেন ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন। কিন্তু তড়িঘড়ি করতে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন এ ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় মিনিটে আঁখির লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে চিপ করতে ব্যর্থ সাজেদা আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ খেলোয়াড়দের পেছনে দৌড়েই সময় কাটিয়েছে রক্ষণ জমাট রেখে খেলা মঙ্গোলিয়ান ফুটবলাররা। এ সময় আক্রমণ তো দূরের পথ, বাংলাদেশ সীমানায় বল এসেছে হাতে গোনা দুয়েকবার। বিপরীতে প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় হতাশা বাড়ছিল বাংলাদেশ শিবিরে।
হতাশা কাটিয়ে উঠতে বারবার উঠে আসছিলেন ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। ১৫ মিনিটে মারিয়া মান্ডার কর্নার থেকে আঁখির হেড বাইরে যাওয়ার পর সানজিদার শট সাইডবারে প্রতিহত হয়। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের শট ধরে প্রথমে এক ডিফেন্ডারকে কাটান সানজিদা। পরবর্তী সময়ে তার জোরালো শট বাইরে যায়। ২১ মিনিটে মারিয়ার কর্নার থেকে আঁখির শট সলোঙ্গো চিনবাথারের বুকে লেগে বাইরে যায়।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল না পাওয়ার হতাশা দূর হয় মিডফিল্ডার মনিকা চাকমার দুর্দান্ত ভলিতে। সাজেদার কাছ থেকে পাওয়া বল হেডে সামনে ফেলে এক ডিফেন্ডারকে কাটান মনিকা, পরে তার বাম পায়ের ভলি দর্শক হয়ে দেখা ছাড়া উপায় ছিল না মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষকের।
খেলার ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মারিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মঙ্গোলিয়া গোলরক্ষক। ৬৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মারিয়ার পা ঘুরে আসা বলে মনিকা চাকমার থ্রু-পাস গোলমুখ খুলে দেয়। আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বাম পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন মার্জিয়া। ৮৫ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে মনিকা চাকমার পা ঘুরে আসা বলে মার্জিয়ার পাস ধরে তৃতীয় গোল করেন তহুরা খাতুন।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ দলগত সমন্বয়ে বক্সের মধ্যে বল পান তহুরা। এ ফরোয়ার্ডের শট ক্রসবার ঘেঁষে বাইরে গেলে ব্যবধান বড় করার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ।
COMMENTS