ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুরে গত দেড় বছরে ৮১ জন খুন হয়েছেন। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব হত্যা মামলার তদন্ত এবং আসামি গ্রেফতারে অগ্রগতি নেই। এতে নিহতের স্বজনরা হতাশার মধ্যে রয়েছেন। অনেকে আবার আসামির হুমকিতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বাসবাস করছেন।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর শ্রমিক লীগ নেতা ওমর ফারুককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিহতের স্বজনদের সান্তনা দিয়ে খুনিদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ প্রতিশ্রুতির ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়া।
এছাড়া ২০১৭ সালে গাজীপুর মহানগরীর ঝাঝর এলাকায় হামিদা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার হননি। তিনি মোবাইল ফোনে মামলার বাদী পারুলকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তাহীনতার কারণে পারুল বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরে মেট্রোপলিটন পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। আগে মহানগরে থানা ছিল দুটি। মেট্রো এলাকায় বর্তমানে থানা ৮টি। বেড়েছে পুলিশি জনবল তবুও ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগরে তিন শিশু, দুই কিশোর ও এক নারীসহ ১৫ জন খুন হয়েছেন। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জন খুন হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক শিশু, দুই কিশোর, ১২ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি।
তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হামিদা বেগম হত্যা মামলার বিষয়টি দেখা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসবের মধ্যে মাদক এবং পারিবারিক কলহের জেরেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
- তানজেরুল ইসলাম/খোলা কাগজ
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর শ্রমিক লীগ নেতা ওমর ফারুককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিহতের স্বজনদের সান্তনা দিয়ে খুনিদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ প্রতিশ্রুতির ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়া।
এছাড়া ২০১৭ সালে গাজীপুর মহানগরীর ঝাঝর এলাকায় হামিদা বেগম নামে এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার হননি। তিনি মোবাইল ফোনে মামলার বাদী পারুলকে হত্যার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। নিরাপত্তাহীনতার কারণে পারুল বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরে মেট্রোপলিটন পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। আগে মহানগরে থানা ছিল দুটি। মেট্রো এলাকায় বর্তমানে থানা ৮টি। বেড়েছে পুলিশি জনবল তবুও ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহানগরে তিন শিশু, দুই কিশোর ও এক নারীসহ ১৫ জন খুন হয়েছেন। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জন খুন হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক শিশু, দুই কিশোর, ১২ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও উত্তর দেননি।
তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, হামিদা বেগম হত্যা মামলার বিষয়টি দেখা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসবের মধ্যে মাদক এবং পারিবারিক কলহের জেরেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
- তানজেরুল ইসলাম/খোলা কাগজ
COMMENTS