উৎপল দাস: দীর্ঘ ২৯ বছর পর ডাকসু নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুরু ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের প্যানেলের বাইরে থেকে মাত্র ২ জন প্রার্থী জয়লাভ করে। তার মধ্যে নির্বাচনের দিন অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করে ভিপি হন নুরু এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে জয় পান ছাত্রদল থেকে মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন। এরপর গত ১৬ মার্চ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরুসহ অন্যান্যরা। সেখানে যাওয়া নিয়েও দিনে একমুখে তিন ধরণের কথা বলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণভবনে যান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাঝে নিজের হারানো মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়ে বলেন, শেখ হাসিনাই তার মা।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ পাওয়ার প্রশ্নে মা ডেকে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন নুরুল হক নুরু। যদিও ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি গৃহীত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে যখন ডাকসু সভাপতি ও ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দিবেন, তখন ডাকসু ভিপি জোর করেই আবারো নিজে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন এবং শেখ হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে ঘোর বিরোধিতার কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য ভোরের পাতাকে বলেন, যখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্তও নেয়া হয় তখন কোনো কথা বলেননি ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু। কিন্তু এরপর সভা শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে মোবাইলে কোনো গায়েবি ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পেয়ে এমন চমৎকার একটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবে প্রথমে সবার সম্মতি থাকলেও সভাশেষের আগমুহুর্তে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ভিন্নমত পোষণ করেন। সভায় ডাকসুর সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসু নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ভিপি নূর ও আখতার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া, একমাত্র জিএস গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতেও ভিপি নুরুল হক নূরের স্বাক্ষর নেই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ডাকসু নির্বাচন একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ডাকসুও এখন কলঙ্কিত। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন কলঙ্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গড়া সংগঠনের আজীবন সদস্য হোক এটা আমি চাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়নি। তাই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করিনি। ডাকসুর জিএস আমাদের মতামত উপেক্ষা করেই এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আমাদের সমর্থন ছিল।’
গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বার্ষিক বাজেট। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করা এবং স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
সভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীকালে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে ডাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব উঠেছিল। সেই সময় ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে এর বিরোধিতা করেছিলেন সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। এ সময় তিনি পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্যপদ পাওয়ার প্রশ্নে মা ডেকে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন নুরুল হক নুরু। যদিও ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্যপদ দেয়ার বিষয়টি গৃহীত হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভা শেষ হওয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে যখন ডাকসু সভাপতি ও ঢাবি উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দিবেন, তখন ডাকসু ভিপি জোর করেই আবারো নিজে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করেন এবং শেখ হাসিনাকে আজীবন ডাকসু সদস্যপদ দেয়ার বিষয়ে ঘোর বিরোধিতার কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সদস্য ভোরের পাতাকে বলেন, যখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সিদ্ধান্তও নেয়া হয় তখন কোনো কথা বলেননি ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু। কিন্তু এরপর সভা শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে মোবাইলে কোনো গায়েবি ক্ষুদে বার্তা (এসএমএস) পেয়ে এমন চমৎকার একটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের প্রস্তাব তোলা হয়। প্রস্তাবে প্রথমে সবার সম্মতি থাকলেও সভাশেষের আগমুহুর্তে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক ভিন্নমত পোষণ করেন। সভায় ডাকসুর সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন ডাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসু নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ভিপি নূর ও আখতার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সবার সম্মতিতে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া, একমাত্র জিএস গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতেও ভিপি নুরুল হক নূরের স্বাক্ষর নেই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ডাকসু নির্বাচন একটি বিতর্কিত নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। ডাকসুও এখন কলঙ্কিত। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন কলঙ্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গড়া সংগঠনের আজীবন সদস্য হোক এটা আমি চাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন এই প্রস্তাবে সমর্থন জানায়নি। তাই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করিনি। ডাকসুর জিএস আমাদের মতামত উপেক্ষা করেই এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি ছাড়া বাকি প্রস্তাবগুলোতে আমাদের সমর্থন ছিল।’
গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বার্ষিক বাজেট। ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে একটি পলিসি ডায়ালগ আয়োজন করা এবং স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
সভা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ডাকসুর সদস্য রাকিবু হাসান রাকিব। পরবর্তীকালে নির্বাহী সভায় এ প্রস্তাব এজেন্ডাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে ডাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্য করার প্রস্তাব উঠেছিল। সেই সময় ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে এর বিরোধিতা করেছিলেন সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূর। এ সময় তিনি পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
COMMENTS