এটি শামস: এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্যে কাটতির বিবেচনায় এগিয়ে আছে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘পাসওয়ার্ড’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক ও দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে কাটতির বিবেচনায় এগিয়ে আছে ‘পাসওয়ার্ড’। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে আলাদা আগ্রহ তৈরি হলেও দুর্বল চিত্রনাট্যের ছবির নকলবাজিতে তারা হতাশ।
ছবিটি দক্ষিণ কোরিয়ান নির্মাতা চ্যাং পরিচালিক দি টার্গেট, তেলগেু ‘ডিনামাইট’, এক থা টাইগার বা ব্যাঙ ব্যাঙকে অনুকরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ আগত তরুন দর্শকদের। বিশেষ করে তাদের আপত্তির জায়গায় ছিল প্রথম দৃশ্যে শাকিব খানের দুটি ফলস লুক। চিত্রসম্পাদক তৌহিদের এ জায়গায় আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল। পরের দৃশ্যে তারাশোভিত তুরস্কের পতাকার ভেতর দিয়ে ইস্তানবুলে চলে যাওয়ার দৃশ্যে বেশ কয়েকবার দেশটির পতাকাকে তুলে ধরা হলো। আমরা এক থা টাইগার দেখেছি ঠিক যেমন ঠিক তেমন পাসওয়ার্ডেও। কিন্তু সালমানের ওই ছবি ইচ্ছাকৃতভাবে তুরস্কের পতাকে তুলে ধরা হয় নি। দৃশ্যটি ধারণ করতে পতাকাকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন কিছু ছিল না। গল্পটি স্লো করে ফেলায় গানগুলো গতিময় এবং অহেতুক মনে হয়েছে।
অভিনয়ে শাকিব খান এজ ইজুয়াল। ইমন খুশি শাকিবের পাশে থাকতে পেরে। অভিনয়ে গভীরতা এসেছে, মিলেছে দর্শক হাততালিও। মিশাকে ওয়েলকাম ছবিতে অভিনয় করা ভারতীয় নির্মাতা-অভিনেতা ফিরোজ খানের চরিত্র দেওয়া হয়েছে। এতে মিশা ভাঁড় বলে দর্শকের হাসির খোরাক হয়েছেন। এই জামানায় ডুপ্লেক্স বাড়িতে সমর্থবান মেয়ে ঘরে থাকতে কেউ বেচালর ভাড়া দেয় না। এটা অন্যভাবেও দেখানো যেত। পুলিশ-সাংবাদিকের ভূমিকাকে পজেটিভ দেখানো হয়েছে। এসবি অফিসার হিসেবে অমিত হাসানকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার সুযোগ ছিল। অমিত ভালো অভিনেতা। এখানে তার কন্ঠকে আরও কাজে লাগনো দরকার ছিল। একজন ভুয়া ডিসিকে খুঁজে পেতে মালেক আফসারী সময় নিলেন অনেক। ভেবেছেন দর্শক বোকা। প্রযুক্তির যুগে এক মিনিটে ডিসি ভিক্টরকে (মিশা) তার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করা সম্ভব সেটা অমিত হাসান ও সাংবাদিক সাবান মাহমুদের বয়ানেই দর্শক শুনেছে এবং অবলোকন করেছে। সেই ভুয়া ডিসিকে খুঁজে পেয়ে শেষতক তাকে হাতের কাছে পেয়েও বেচারা অমিতকে বেঘোরে প্রাণ মেরে দিলেন নির্মাতা। গল্পর চরিত্রগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধভাবে কিল করে চিত্রনাট্য কখনো ভালো বার্তা দেয় না। বলা যায় সময়োচিত ভাবনায় দুর্বল চিত্রনাট্যের পাসওয়ার্ড। অনেক জায়গায় উন্নত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নির্মাতা তার একঘেয়ে নিয়ম থেকে বের হতে পারেন নি বা হন নি। শেষতক ক্যামেরার কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। প্রায় ফাঁকা মাঠে বাজিমাত পাসওয়ার্ড। এর সঙ্গে যুৎসই হতো যদি লড়াই করার মতো ছবি রিলিজ পেত। তাই লড়াই আর কঠিন সমালোচনা ছাড়াই পার পেয়ে গেল পাসওয়ার্ড। দর্শকের যুক্তি শেয়ানে শেয়ানে খেলা না হলে ছবির বাজার যাচাই করা মুশকিল। কম্পিটিশন দেওয়ার মতো ছবি রিলিজ হলে সবার লাভ, লাভ দর্শকেরও।
ঈদের দিন দেশজুড়ে ১৭৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পাসওয়ার্ড ছবিটি। দেশের বৃহত্তম প্রেক্ষাগৃহ মনিহারে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার-শনিবার টানা চারদিন চলচ্চিত্রটি ‘হাউজফুল’ গেছে বলে জানান প্রেক্ষাগৃহটির ব্যবস্থাপক আলী আকবর।
অপরদিকে শুরুর দিন থেকে এ প্রতিবেদক লেখা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে দুটি শো হাউজফুল যাচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলে জানালেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, “অ্যাকশনধর্মী ছবি তরুণরা বেশি দেখে। এই ছবিটিও তেমনই। দর্শকদের মধ্যে আশিভাগেরও বেশি দর্শক তরুণ। এর পাশাপাশি ইতিবাচক হচ্ছে অনেক উচ্চবিত্তও পরিবার নিয়ে ছবিটি উপভোগ করতে এসেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা।’ তিনি জানান, আরও একটি সপ্তাহ চালানোর ইচ্ছা আছে। বাকিটা দর্শক সমাগমের ওপর নির্ভর করছে।
শাকিব খান ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বুবলী। এছাড়াও অভিনয় করেছন মিশা সওদাগর, ইমন, অমিত হাসান, শিবা সানু, ডন, কলম পাটেকর, ব্রæসলি, জাহিদু ইসলাম, সীমান্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, প্রেক্ষাগৃহের ব্যবস্থাপক ও দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে কাটতির বিবেচনায় এগিয়ে আছে ‘পাসওয়ার্ড’। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে আলাদা আগ্রহ তৈরি হলেও দুর্বল চিত্রনাট্যের ছবির নকলবাজিতে তারা হতাশ।
ছবিটি দক্ষিণ কোরিয়ান নির্মাতা চ্যাং পরিচালিক দি টার্গেট, তেলগেু ‘ডিনামাইট’, এক থা টাইগার বা ব্যাঙ ব্যাঙকে অনুকরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ আগত তরুন দর্শকদের। বিশেষ করে তাদের আপত্তির জায়গায় ছিল প্রথম দৃশ্যে শাকিব খানের দুটি ফলস লুক। চিত্রসম্পাদক তৌহিদের এ জায়গায় আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল। পরের দৃশ্যে তারাশোভিত তুরস্কের পতাকার ভেতর দিয়ে ইস্তানবুলে চলে যাওয়ার দৃশ্যে বেশ কয়েকবার দেশটির পতাকাকে তুলে ধরা হলো। আমরা এক থা টাইগার দেখেছি ঠিক যেমন ঠিক তেমন পাসওয়ার্ডেও। কিন্তু সালমানের ওই ছবি ইচ্ছাকৃতভাবে তুরস্কের পতাকে তুলে ধরা হয় নি। দৃশ্যটি ধারণ করতে পতাকাকে এড়িয়ে যাওয়া কঠিন কিছু ছিল না। গল্পটি স্লো করে ফেলায় গানগুলো গতিময় এবং অহেতুক মনে হয়েছে।
অভিনয়ে শাকিব খান এজ ইজুয়াল। ইমন খুশি শাকিবের পাশে থাকতে পেরে। অভিনয়ে গভীরতা এসেছে, মিলেছে দর্শক হাততালিও। মিশাকে ওয়েলকাম ছবিতে অভিনয় করা ভারতীয় নির্মাতা-অভিনেতা ফিরোজ খানের চরিত্র দেওয়া হয়েছে। এতে মিশা ভাঁড় বলে দর্শকের হাসির খোরাক হয়েছেন। এই জামানায় ডুপ্লেক্স বাড়িতে সমর্থবান মেয়ে ঘরে থাকতে কেউ বেচালর ভাড়া দেয় না। এটা অন্যভাবেও দেখানো যেত। পুলিশ-সাংবাদিকের ভূমিকাকে পজেটিভ দেখানো হয়েছে। এসবি অফিসার হিসেবে অমিত হাসানকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার সুযোগ ছিল। অমিত ভালো অভিনেতা। এখানে তার কন্ঠকে আরও কাজে লাগনো দরকার ছিল। একজন ভুয়া ডিসিকে খুঁজে পেতে মালেক আফসারী সময় নিলেন অনেক। ভেবেছেন দর্শক বোকা। প্রযুক্তির যুগে এক মিনিটে ডিসি ভিক্টরকে (মিশা) তার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করা সম্ভব সেটা অমিত হাসান ও সাংবাদিক সাবান মাহমুদের বয়ানেই দর্শক শুনেছে এবং অবলোকন করেছে। সেই ভুয়া ডিসিকে খুঁজে পেয়ে শেষতক তাকে হাতের কাছে পেয়েও বেচারা অমিতকে বেঘোরে প্রাণ মেরে দিলেন নির্মাতা। গল্পর চরিত্রগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধভাবে কিল করে চিত্রনাট্য কখনো ভালো বার্তা দেয় না। বলা যায় সময়োচিত ভাবনায় দুর্বল চিত্রনাট্যের পাসওয়ার্ড। অনেক জায়গায় উন্নত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু নির্মাতা তার একঘেয়ে নিয়ম থেকে বের হতে পারেন নি বা হন নি। শেষতক ক্যামেরার কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। প্রায় ফাঁকা মাঠে বাজিমাত পাসওয়ার্ড। এর সঙ্গে যুৎসই হতো যদি লড়াই করার মতো ছবি রিলিজ পেত। তাই লড়াই আর কঠিন সমালোচনা ছাড়াই পার পেয়ে গেল পাসওয়ার্ড। দর্শকের যুক্তি শেয়ানে শেয়ানে খেলা না হলে ছবির বাজার যাচাই করা মুশকিল। কম্পিটিশন দেওয়ার মতো ছবি রিলিজ হলে সবার লাভ, লাভ দর্শকেরও।
ঈদের দিন দেশজুড়ে ১৭৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পাসওয়ার্ড ছবিটি। দেশের বৃহত্তম প্রেক্ষাগৃহ মনিহারে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার-শনিবার টানা চারদিন চলচ্চিত্রটি ‘হাউজফুল’ গেছে বলে জানান প্রেক্ষাগৃহটির ব্যবস্থাপক আলী আকবর।
অপরদিকে শুরুর দিন থেকে এ প্রতিবেদক লেখা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে দুটি শো হাউজফুল যাচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মধুমিতা সিনেমা হলে জানালেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখারউদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, “অ্যাকশনধর্মী ছবি তরুণরা বেশি দেখে। এই ছবিটিও তেমনই। দর্শকদের মধ্যে আশিভাগেরও বেশি দর্শক তরুণ। এর পাশাপাশি ইতিবাচক হচ্ছে অনেক উচ্চবিত্তও পরিবার নিয়ে ছবিটি উপভোগ করতে এসেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকুক এটাই প্রত্যাশা।’ তিনি জানান, আরও একটি সপ্তাহ চালানোর ইচ্ছা আছে। বাকিটা দর্শক সমাগমের ওপর নির্ভর করছে।
শাকিব খান ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত এ চলচ্চিত্রে শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বুবলী। এছাড়াও অভিনয় করেছন মিশা সওদাগর, ইমন, অমিত হাসান, শিবা সানু, ডন, কলম পাটেকর, ব্রæসলি, জাহিদু ইসলাম, সীমান্ত প্রমুখ।
COMMENTS