রক্তদান হল কোন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেবার প্রক্রিয়া। এই দান করা রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয় অথবা অংশীকরণের মাধ্যমে ঔষধে পরিণত করা হয়। উন্নত দেশে বেশিরভাগ রক্তদাতাই হলেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা, যারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে রক্তদান করেন। দরিদ্র দেশগুলোতে এ ধরণের প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা বেশ কম, বেশিরভাগ রক্তদাতাই কেবল তাদের পরিচিতজনদের প্রয়োজনে রক্তদান করে থাকেন।
বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন, তবে কিছু মানুষ পেশাদার রক্তদাতা, অর্থাৎ তারা অর্থ বা কোন ভাতার বিনিময়ে রক্তদান করে থাকেন। আবার রক্তদাতা তার ভবিষ্যত প্রয়োজনে রক্ত পেতে পারেন। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে কিছু রক্তদাতার যে জায়গায় সূঁচ প্রবেশ করানো হয় সেখানে কালশিরে পড়ে, আবার কেউ কেউ রক্তদানের পর দুর্বলতা অনুভব করেন।
কিন্তু রক্তদানকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা কেউ কখনো দেখেনি; যা ঘটালো পাকিস্তানের লাহোরের আবুল সামাদ। সামাদের পাড়ায় রক্তদান উৎসবে রক্ত দিচ্ছিলো সকলে। রক্তদান করলে মেলে কিছু হাল্কা টিফিন কলা বিস্কুট এসব। কিন্তু রক্তদানের পর দেখা যায় তাদের টিফিন শেষ হয়ে গেছে; গুনতিতে রাখা প্যাকেট চুরি গেছে।
এতেই রেগে মেগে ক্ষুব্ধ হন সামাদ, কারণ তিনি ওই খাবারের জন্যই রক্ত দিতে এসেছিলেন। নিজে এতক্ষণ ধরে রক্ত দিয়ে কলা বিস্কুট না পেয়ে খুব রেগে যান তিনি এবং ঘটনার এক পর্যায়ে নিজেই সেই রক্তের বোতলে চুমুক দেন, বলেন রক্ত কাউকে দেবো না, যতক্ষণ না কলা বিস্কুট পাবো। আমার সাথেই এত অবিচার কেনো হয়?
সামাদ ভেবেছিলো, রক্ত খেয়ে নিলে সেটা আবার ওই রক্তই তৈরি হবে, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। পরে সামাদকে শান্ত করতে কলা বিস্কুট ভাগ করে দেয় বাকিরা। মাথা ঠান্ডা করে সামাদ আবার রক্ত দিতে চাইছিলো, কিন্তু একদিনে দুবার রক্ত নেয়া সামাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই তাকে ৩ মাস পর আবার আসতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ নিয়ের নিউজ, ইসলামাবাদ
বেশির ভাগ রক্তদাতাই সমাজসেবামূলক কাজ হিসেবে রক্তদান করেন, তবে কিছু মানুষ পেশাদার রক্তদাতা, অর্থাৎ তারা অর্থ বা কোন ভাতার বিনিময়ে রক্তদান করে থাকেন। আবার রক্তদাতা তার ভবিষ্যত প্রয়োজনে রক্ত পেতে পারেন। রক্তদান অপেক্ষাকৃত নিরাপদ, তবে কিছু রক্তদাতার যে জায়গায় সূঁচ প্রবেশ করানো হয় সেখানে কালশিরে পড়ে, আবার কেউ কেউ রক্তদানের পর দুর্বলতা অনুভব করেন।
কিন্তু রক্তদানকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা কেউ কখনো দেখেনি; যা ঘটালো পাকিস্তানের লাহোরের আবুল সামাদ। সামাদের পাড়ায় রক্তদান উৎসবে রক্ত দিচ্ছিলো সকলে। রক্তদান করলে মেলে কিছু হাল্কা টিফিন কলা বিস্কুট এসব। কিন্তু রক্তদানের পর দেখা যায় তাদের টিফিন শেষ হয়ে গেছে; গুনতিতে রাখা প্যাকেট চুরি গেছে।
এতেই রেগে মেগে ক্ষুব্ধ হন সামাদ, কারণ তিনি ওই খাবারের জন্যই রক্ত দিতে এসেছিলেন। নিজে এতক্ষণ ধরে রক্ত দিয়ে কলা বিস্কুট না পেয়ে খুব রেগে যান তিনি এবং ঘটনার এক পর্যায়ে নিজেই সেই রক্তের বোতলে চুমুক দেন, বলেন রক্ত কাউকে দেবো না, যতক্ষণ না কলা বিস্কুট পাবো। আমার সাথেই এত অবিচার কেনো হয়?
সামাদ ভেবেছিলো, রক্ত খেয়ে নিলে সেটা আবার ওই রক্তই তৈরি হবে, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। পরে সামাদকে শান্ত করতে কলা বিস্কুট ভাগ করে দেয় বাকিরা। মাথা ঠান্ডা করে সামাদ আবার রক্ত দিতে চাইছিলো, কিন্তু একদিনে দুবার রক্ত নেয়া সামাদের পক্ষে ক্ষতিকর, তাই তাকে ৩ মাস পর আবার আসতে বলা হয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ নিয়ের নিউজ, ইসলামাবাদ
COMMENTS