ভয় আর আতঙ্ককে সঙ্গী করে আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। এরই মধ্যে দেশের ৫৯ জেলাতেই ডেঙ্গু হানা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরো এক হাজার ৩৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৯৭৪ জন। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৬৯ জনে গিয়ে ঠেকেছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি মিনিটেই একজন করে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে সেখানেই মৃতের সংখ্যা ১০।
এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার। একই সঙ্গে অন্য সব বিভাগের কর্মীদের এবার ঈদুল আজহার ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে খোলা হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার লন্ডন থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক তার নিজের দপ্তরে ‘মিনিস্টার মনিটরিং সেল’ গঠন করেছেন। এই সেল থেকে ডেঙ্গু রোগ সংক্রান্ত তথ্য এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলমান কর্মকাণ্ড তদারক করা হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে ডেঙ্গু আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রাজধানীবাসী ডেঙ্গু নিয়ে ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে গ্রামে গেলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সেখানে আরো উদ্বেগজনক হারে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও গুজব প্রতিরোধ সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এমন আলোচনা হয়েছে। ওই সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ঈদের ছুটি সব কর্মকর্তাকে ঢাকায় উপভোগ করতে উৎসাহিত করছি। এ ছাড়া ছুটি নিতে নিরুৎসাহ করেছি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগে যেসব কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশা করব, আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তারা যথাসম্ভব ঢাকায়ই ঈদ করবেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারি ঘোষণা করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম পর্যায়ে এখনো আসেনি। কোনো স্থানে ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেছে, এ রকম কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে অন্য রোগের মতো ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারব; যদিও এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এখন আমাদের দায়িত্ব আগে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে মোট আক্রান্ত এক হাজার ৩৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২১, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০৫, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬১, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪২, বারডেম হাসপাতালে ১৭, বিএসএমএমইউতে ২৬, পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগে ৩৩, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৩, বিজিবি হাসপাতাল, পিলখানায় ২ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৬৫ জন ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৬, রংপুর বিভাগে ২০, রাজশাহী বিভাগে ৫৬, বরিশাল বিভাগে ছয়, সিলেট বিভাগে ৫৫ ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্যমতে সেখানেই মৃতের সংখ্যা ১০।
এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা ও বরিশালে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় সারা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে সরকার। একই সঙ্গে অন্য সব বিভাগের কর্মীদের এবার ঈদুল আজহার ছুটি নেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহ করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে খোলা হয়েছে বিশেষ ওয়ার্ড।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার লন্ডন থেকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক তার নিজের দপ্তরে ‘মিনিস্টার মনিটরিং সেল’ গঠন করেছেন। এই সেল থেকে ডেঙ্গু রোগ সংক্রান্ত তথ্য এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চলমান কর্মকাণ্ড তদারক করা হবে বলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঈদুল আজহার ছুটিতে ডেঙ্গু আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রাজধানীবাসী ডেঙ্গু নিয়ে ঈদের ছুটিতে প্রিয়জনের সান্নিধ্যে গ্রামে গেলে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সেখানে আরো উদ্বেগজনক হারে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে রাজধানীর বাইরেও এডিস মশার বিচরণ রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলা ও গুজব প্রতিরোধ সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় এমন আলোচনা হয়েছে। ওই সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা ঈদের ছুটি সব কর্মকর্তাকে ঢাকায় উপভোগ করতে উৎসাহিত করছি। এ ছাড়া ছুটি নিতে নিরুৎসাহ করেছি। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগে যেসব কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট, তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশা করব, আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তারা যথাসম্ভব ঢাকায়ই ঈদ করবেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারি ঘোষণা করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম পর্যায়ে এখনো আসেনি। কোনো স্থানে ব্যবস্থাপনার বাইরে চলে গেছে, এ রকম কোনো তথ্য নেই।
এদিকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে অন্য রোগের মতো ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারব; যদিও এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এখন আমাদের দায়িত্ব আগে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে মোট আক্রান্ত এক হাজার ৩৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২১, মিটফোর্ড হাসপাতালে ১০৫, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৪৮, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬১, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ৪২, বারডেম হাসপাতালে ১৭, বিএসএমএমইউতে ২৬, পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগে ৩৩, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৩, বিজিবি হাসপাতাল, পিলখানায় ২ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৯০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।
এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৬৫ জন ভর্তি হন। ঢাকা শহর ছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫৬, রংপুর বিভাগে ২০, রাজশাহী বিভাগে ৫৬, বরিশাল বিভাগে ছয়, সিলেট বিভাগে ৫৫ ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।
COMMENTS