সদ্যপ্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটেছিল। পরে সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল বিএনপি, জামাতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো। আওয়ামী লীগের দেখানো পথেই এরশাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল গোটা দেশ এবং ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পতন হয়েছিল।
কিন্তু তারপরেও এরশাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ যতই থাকুক না কেন, শেখ হাসিনা এরশাদকে বীভৎস স্বৈরাচার বা নির্মম একনায়ক মনে করতেন না। বরং ৯০ দশকে এরশাদের পতনের পর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে এরশাদের জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের মিত্র রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল। এরশাদের মৃত্যুকালীন সময়েও জাতীয় পার্টি ছিল মহাজোটের অংশীদার।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে স্বৈরাচার এবং অগণতান্ত্রিক শাসক হওয়া সত্ত্বেও গণতান্ত্রের সংগ্রামের নেতা শেখ হাসিনা এরশাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় কেন দিয়েছিলেন, কেন তাকে বিশেষ দূত বানিয়েছিলেন, কেনেই বা তাকে মহাজোটের অংশীদার বানিয়েছিলেন। এটা কি কোনো রাজনৈতিক কৌশল, এটা কি বিএনপিকে কোনঠাসা করার রাজনীতি ছিল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এর উত্তরে বলছেন ‘না’। এটা কেবল রাজনৈতিক কৌশল ছিল না, বা বিএনপিকে কুপোকাত করার জন্য রাজনৈতিক মেরুকরণও ছিল না। বরং এরশাদের প্রতি শেখ হাসিনার পক্ষপাতের অন্যরকম কারণ ছিল। সে কারণটি অনুসন্ধান করে পাওয়া যায় যে, এরশাদই হলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে।
১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ফাতেহা পাঠ করে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেছিলেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নির্মম বীভৎসতার পর কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান টুঙ্গীপাড়ায় যাননি। জিয়াউর রহমান তো বঙ্গবন্ধুর নাম নিশান মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারপর বিচারপতি সাত্তারও একই পথে হেটেছিলেন। ক্ষমতাগ্রহণের পরে অনেক সমালোচনা স্বত্ত্বেও এরশাদই প্রথম ব্যক্তি টুঙ্গীপাড়ায় গিয়েছিলেন এবং জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেছিলেন। এরশাদ যাওয়া উপলক্ষে সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছিল। তাই বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পরবর্তী জাতির পিতার ইতিহাস যখন লেখা হবে তখন এরশাদের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করতে হবে। কারণ এরশাদই প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি টূঙ্গীপাড়ায় গিয়েছিলেন। সম্ভবত এ কারণেই এরশাদের প্রতি একটা সহানুভূতির জায়গা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছিল।
কিন্তু তারপরেও এরশাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধ যতই থাকুক না কেন, শেখ হাসিনা এরশাদকে বীভৎস স্বৈরাচার বা নির্মম একনায়ক মনে করতেন না। বরং ৯০ দশকে এরশাদের পতনের পর বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে এরশাদের জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের মিত্র রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছিল। এরশাদের মৃত্যুকালীন সময়েও জাতীয় পার্টি ছিল মহাজোটের অংশীদার।
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠতেই পারে যে স্বৈরাচার এবং অগণতান্ত্রিক শাসক হওয়া সত্ত্বেও গণতান্ত্রের সংগ্রামের নেতা শেখ হাসিনা এরশাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় কেন দিয়েছিলেন, কেন তাকে বিশেষ দূত বানিয়েছিলেন, কেনেই বা তাকে মহাজোটের অংশীদার বানিয়েছিলেন। এটা কি কোনো রাজনৈতিক কৌশল, এটা কি বিএনপিকে কোনঠাসা করার রাজনীতি ছিল? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এর উত্তরে বলছেন ‘না’। এটা কেবল রাজনৈতিক কৌশল ছিল না, বা বিএনপিকে কুপোকাত করার জন্য রাজনৈতিক মেরুকরণও ছিল না। বরং এরশাদের প্রতি শেখ হাসিনার পক্ষপাতের অন্যরকম কারণ ছিল। সে কারণটি অনুসন্ধান করে পাওয়া যায় যে, এরশাদই হলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে।
১৯৮৪ সালের ৪ আগস্ট তৎকালীন সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি ফাতেহা পাঠ করে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেছিলেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছিলেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নির্মম বীভৎসতার পর কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান টুঙ্গীপাড়ায় যাননি। জিয়াউর রহমান তো বঙ্গবন্ধুর নাম নিশান মুছে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তারপর বিচারপতি সাত্তারও একই পথে হেটেছিলেন। ক্ষমতাগ্রহণের পরে অনেক সমালোচনা স্বত্ত্বেও এরশাদই প্রথম ব্যক্তি টুঙ্গীপাড়ায় গিয়েছিলেন এবং জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেছিলেন। এরশাদ যাওয়া উপলক্ষে সেখানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছিল। তাই বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পরবর্তী জাতির পিতার ইতিহাস যখন লেখা হবে তখন এরশাদের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গেই স্মরণ করতে হবে। কারণ এরশাদই প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান যিনি টূঙ্গীপাড়ায় গিয়েছিলেন। সম্ভবত এ কারণেই এরশাদের প্রতি একটা সহানুভূতির জায়গা আওয়ামী লীগ সভাপতির ছিল।
COMMENTS