হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অসহযোগিতাসহ নানা অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরের প্রত্যাহার চেয়েছেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তার না করা, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চিহ্নিত অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেন।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ রানা এরশাদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন তার বড় ভাই মো. লিয়াকত হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বড় ভাই। পরে মামলার বাদি জানতে পারেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান নাহিদ ওই হত্যাকাণ্ডে অস্ত্রের যোগানদাতা। নাহিদ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বিভিন্ন থানায় তার নামে ২০টির অধিক অস্ত্র, হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। নাহিদের পিতা হাসেম মোড়ল একজন ভূমিদস্যু, মামলাবাজ প্রকৃতির লোক বলে দাবি করেন এরশাদ।
চার সাংবাদিকের মাঝে এরশাদ
“লিয়াকত হত্যা মামলার আসামিদের নাহিদ তার বাড়িতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এমনকি হত্যা মামলার আসামিদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে ঘোষণা দিয়েছেন যে- অভিযুক্তদের কেউ কিছু করতে পারবে না। বিষয়গুলো ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরকে অবহিত করা হয় এবং ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি দেখানোর পরেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।”
গত ৩১ মে সন্ধ্যায় হত্যা মামলার আসামি হিমেল নাহিদের বাসায় অবস্থান করছে জেনে ডিবি পুলিশকে জানান এরশাদ। পরে ডিবি পুলিশ তাকে হিমেলের ওপর নজর রাখতে বলে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর নাহিদের বাসার গেটের সামনে উপস্থিত হয়ে উল্টো এরশাদকে জেরা করতে থাকে। এরশাদকে বাইরে রেখে ওসি নাহিদের বাড়ির ভেতরে ঢুকে। কিছুক্ষণ পর তিনি বের হয়ে জানান বাড়িতে হিমেল নেই। এ সময় এরশাদ বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চাইলে ওসি বাধা দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে।
নাহিদের বাসার সামনে যাওয়ার অপরাধে পরের দিন ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর এরশাদের নামে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা নিয়েছেন।
এ ছাড়া গত ১০ মে রাতে জয়দেবপুর বাজারের মুক্তমঞ্চ এলাকায় লোকালয়ে নাহিদের ওপর হামলা হয়। ওসি সমীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তে এরশাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নামে মামলা নেন।
এ ছাড়া সম্প্রতি নাহিদকে গুলি করা হয়েছে এমন সংবাদ ফেসবুকে প্রচার হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজে এমন কোনো আলামত খুঁজে পায়নি পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তার শরীরে গুলির কোনো চিহ্ন পায়নি। এ ঘটনায় গত ৯ জুলাই এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এমনই ভাবে দিনের পর দিন ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর নাহিদের টাকার কাছে হার মেনে মামলা নিয়ে তাদের হয়রানি ও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে গাফিলতি ও অসহযোগিতা করছেন।
তাই এরশাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, পুলিশের আইজিপি ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ওসি সমীরের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকার ছয়টি ডিস ব্যবসা দখল করে কর্মচারীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। ওই ডিস ব্যবসার মালিকরা ওসি সমীরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদকে সমর্থন করেন ভুক্তভোগী সুমন রাজ বর্মন, আলী হোসেন, জহিরুল হক, মমিনুর রহমান মিতু, শহীদুল আলম ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরের ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওসির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, চিহ্নিত আসামীদের গ্রেপ্তার না করা, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চিহ্নিত অপরাধীদের প্রশ্রয় দেওয়াসহ নানা অভিযোগ তুলেন।
লিখিত বক্তব্যে মাসুদ রানা এরশাদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন তার বড় ভাই মো. লিয়াকত হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বড় ভাই। পরে মামলার বাদি জানতে পারেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের মেয়ের জামাই মেহেদী হাসান নাহিদ ওই হত্যাকাণ্ডে অস্ত্রের যোগানদাতা। নাহিদ একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। বিভিন্ন থানায় তার নামে ২০টির অধিক অস্ত্র, হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। নাহিদের পিতা হাসেম মোড়ল একজন ভূমিদস্যু, মামলাবাজ প্রকৃতির লোক বলে দাবি করেন এরশাদ।
চার সাংবাদিকের মাঝে এরশাদ
“লিয়াকত হত্যা মামলার আসামিদের নাহিদ তার বাড়িতে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এমনকি হত্যা মামলার আসামিদের ছবি ফেসবুকে ছেড়ে ঘোষণা দিয়েছেন যে- অভিযুক্তদের কেউ কিছু করতে পারবে না। বিষয়গুলো ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরকে অবহিত করা হয় এবং ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি দেখানোর পরেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি।”
গত ৩১ মে সন্ধ্যায় হত্যা মামলার আসামি হিমেল নাহিদের বাসায় অবস্থান করছে জেনে ডিবি পুলিশকে জানান এরশাদ। পরে ডিবি পুলিশ তাকে হিমেলের ওপর নজর রাখতে বলে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সদর থানার ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর নাহিদের বাসার গেটের সামনে উপস্থিত হয়ে উল্টো এরশাদকে জেরা করতে থাকে। এরশাদকে বাইরে রেখে ওসি নাহিদের বাড়ির ভেতরে ঢুকে। কিছুক্ষণ পর তিনি বের হয়ে জানান বাড়িতে হিমেল নেই। এ সময় এরশাদ বাড়ির ভেতরে ঢুকতে চাইলে ওসি বাধা দিয়ে তাকে চলে যেতে বলে।
নাহিদের বাসার সামনে যাওয়ার অপরাধে পরের দিন ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর এরশাদের নামে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা নিয়েছেন।
এ ছাড়া গত ১০ মে রাতে জয়দেবপুর বাজারের মুক্তমঞ্চ এলাকায় লোকালয়ে নাহিদের ওপর হামলা হয়। ওসি সমীর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তদন্তে এরশাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া সত্ত্বেও তাদের নামে মামলা নেন।
এ ছাড়া সম্প্রতি নাহিদকে গুলি করা হয়েছে এমন সংবাদ ফেসবুকে প্রচার হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজে এমন কোনো আলামত খুঁজে পায়নি পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তার শরীরে গুলির কোনো চিহ্ন পায়নি। এ ঘটনায় গত ৯ জুলাই এরশাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এমনই ভাবে দিনের পর দিন ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধর নাহিদের টাকার কাছে হার মেনে মামলা নিয়ে তাদের হয়রানি ও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে গাফিলতি ও অসহযোগিতা করছেন।
তাই এরশাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, পুলিশের আইজিপি ও গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ওসি সমীরের প্রত্যাহার দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকার ছয়টি ডিস ব্যবসা দখল করে কর্মচারীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী। ওই ডিস ব্যবসার মালিকরা ওসি সমীরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এরশাদকে সমর্থন করেন ভুক্তভোগী সুমন রাজ বর্মন, আলী হোসেন, জহিরুল হক, মমিনুর রহমান মিতু, শহীদুল আলম ও মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে ওসি সমীর চন্দ্র সূত্রধরের ভাষ্য, তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
COMMENTS