গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সড়ক যেন ভোগান্তির আরেক নাম। বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে আতঙ্কে থাকেন গাড়ি চালক ও যাত্রীরা।
গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার সড়কের, বোর্ডবাজার ও সাইনবোর্ডের চার কিলোমিটার অংশে ড্রেন নেই। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে মহাসড়কে গাড়ির ধীরগতি থেকে সৃষ্টি হয় যানজট। ভারি বর্ষণে মহাসড়কের রূপ পাল্টে পরিণত হয় জলাশয়ে।
বিআরটিএ'র চলমান কাজ আর বৃষ্টির পর চলে খানাখন্দে ভরা রাস্তার সংস্কার। খানাখন্দে ভরা মহাসড়কের কাজ শেষ হতে বছর দুয়েক লাগবে বলে জানান বিআরটি'র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সাইড ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম। এই কাজে সবার সহযোগীতাও চান তিনি।
![]() |
মেয়র জাহাঙ্গীর আলম |
এদিকে, চার বছরেও মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান সিটি কর্পোরেশনের মধ্য কাজ চললেও এখানে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। চার বছরে এক কিলোমিটার রাস্তার কাজও শেষ হয়নি উল্লেখ করে তিনি সঠিক সময়ে বাকি কাজ শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
সামনে ঈদ, তাই দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ করে মহাসড়ক যাত্রী চলাচলের উপযোগী হিসেবে তৈরি করতে বলেছেন জিএমপি কমিশনার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, 'আমরা বিআরটিএ কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি, ঈদের আগে কোনো ধরনের খোঁডাখুঁড়ির কাজ না করার জন্য বলা হয়েছে।'
COMMENTS