গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল রাজধানীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৯৬৯ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আগের দিন শুক্রবার ৯৯৬ জন আর বৃহস্পতিবার ভর্তি হয়েছিলেন এক হাজার ১৫০ জন। গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। কয়েকদিন ধরে এই সংখ্যা ছিল দুইশর বেশি। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, ‘বর্তমানে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে।’ গতকাল শনিবার ঢাকার কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি এই দাবি করেন। গতকাল দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডেঙ্গু রোগীদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে ওষুধ আনা হচ্ছে। ওষুধের কোনো সংকট হবে না। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ইতোমধ্যে দুই লাখ
কিট আনা হয়েছে। সুতরাং কোথাও পরীক্ষার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে প্যানিকড (আতঙ্কিত) হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৫০ লাখ ডেঙ্গু শনাক্তের কিট আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ চলে এসেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবার ঈদের ছুটি বাতিল করেছি। সিটি করপোরেশন ভালো কাজ করছে। মশা কমানো গেলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাবে। চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা সব করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করছেন। এজন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। আমরা রোজ মনিটর করছি। ডাক্তার নার্সের অভাব নেই। সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সে কারণে মৃতের সংখ্যা কম। অন্যান্য দেশে যদি দেখেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। ফিলিপাইনে শত শত লোক মরা গেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। বিশ্বে এমন দেশ খুব কম আছে, যেখানে ডেঙ্গু নেই।’ বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বিষয়টি দেখার জন্য গঠিত সেল কাজ করছে। তারা তদারকি করছে।’ এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল তথ্যমতে, ডেঙ্গুর কারণে মারা গেছেন ১৪ জন। সেটা হয়তো দিন দিন বাড়তে পারে। মৃত্যু তো অনেক কারণেই হয়। শুধু তো ডেঙ্গুর কারণে হয় না। আমাদের হিসাব মতে ডেঙ্গুর কারণে মৃত ১৪ জন।’ বিএসএমএমইউ’র পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি পর্যায়ে যায়নি এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটসহ তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের দেড়শ থেকে দুইশ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দরকার হলে সেখানেও রোগী শিফট করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। বিদেশের তুলনায় ডেঙ্গুতে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার খুবই কম। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। নির্দেশ দিয়েছেন সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।’
বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারি বলা যায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিকে মহামারি বলা যাবে না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’ এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘হাজার হাজার রোগী হাসপাতালে আসছেন। তারা পরীক্ষা করানোর জন্য চিকিৎসকদের চাপ দিচ্ছেন; যাদের অধিকাংশের পরীক্ষা না করালেও চলে। পরীক্ষা যাদের করা হচ্ছে, তাদের শতকরা ৫-১০ শতাংশ ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।’ এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের টেস্ট নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে, এমন খবর আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করা হবে না।’
ঢামেকে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৫৪ জন:
এদিকে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এসেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে যা গত কয়েকদিন ছিল ২০০ এর ওপর। ডেঙ্গু রোগী কমে আসার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যাটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২০০-এর ওপরে। সেটা এখন কমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি, আগের ১১ জনই আছে। এদের মধ্যে জুলাই মাসে মারা গেছে ১০ জন। বাকি একজন মারা গেছেন জুনে। নতুন ডেঙ্গু রোগী আসার সংখ্যা কমলেও হাসপাতালটিতে এখনও ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি আছেন ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর ডেঙ্গু রোগীর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যে সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তার তিনগুণেরও বেশি।এ বিষয়ে ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৬৪৯ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৬৮৭ জন। সব মিলিয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার ৯১৯ জন হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য। বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৮৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ১৬ হাজার ৪৩ জন। আর রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ভর্তি হয়েছে ২১৫ জন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৯ জন, খুলনা বিভাগে ৬৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫২ জন নতুন করে হাসপাতালে ভতি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কিট আনা হয়েছে। সুতরাং কোথাও পরীক্ষার সমস্যা হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে প্যানিকড (আতঙ্কিত) হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৫০ লাখ ডেঙ্গু শনাক্তের কিট আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই লাখ চলে এসেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানাচ্ছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবার ঈদের ছুটি বাতিল করেছি। সিটি করপোরেশন ভালো কাজ করছে। মশা কমানো গেলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও কমে যাবে। চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা সব করছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা দিন-রাত কাজ করছেন। এজন্য তারা প্রশংসার দাবিদার। আমরা রোজ মনিটর করছি। ডাক্তার নার্সের অভাব নেই। সবাই মিলে চেষ্টা করছি। সে কারণে মৃতের সংখ্যা কম। অন্যান্য দেশে যদি দেখেন, সেখানে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। ফিলিপাইনে শত শত লোক মরা গেছে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। বিশ্বে এমন দেশ খুব কম আছে, যেখানে ডেঙ্গু নেই।’ বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এ বিষয়টি দেখার জন্য গঠিত সেল কাজ করছে। তারা তদারকি করছে।’ এ সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৪ জন মারা গেছে বলে সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল তথ্যমতে, ডেঙ্গুর কারণে মারা গেছেন ১৪ জন। সেটা হয়তো দিন দিন বাড়তে পারে। মৃত্যু তো অনেক কারণেই হয়। শুধু তো ডেঙ্গুর কারণে হয় না। আমাদের হিসাব মতে ডেঙ্গুর কারণে মৃত ১৪ জন।’ বিএসএমএমইউ’র পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মহামারি পর্যায়ে যায়নি এমন দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটসহ তিনটি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের দেড়শ থেকে দুইশ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দরকার হলে সেখানেও রোগী শিফট করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জেলায় ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল পাঠানো হয়েছে। তারা জেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। বিদেশের তুলনায় ডেঙ্গুতে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার খুবই কম। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। নির্দেশ দিয়েছেন সব সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য।’
বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারি বলা যায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিকে মহামারি বলা যাবে না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’ এ সময় ডেঙ্গু নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি। জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘হাজার হাজার রোগী হাসপাতালে আসছেন। তারা পরীক্ষা করানোর জন্য চিকিৎসকদের চাপ দিচ্ছেন; যাদের অধিকাংশের পরীক্ষা না করালেও চলে। পরীক্ষা যাদের করা হচ্ছে, তাদের শতকরা ৫-১০ শতাংশ ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে।’ এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের টেস্ট নিয়ে অনিয়ম হচ্ছে, এমন খবর আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এসব প্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ করা হবে না।’
ঢামেকে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৫৪ জন:
এদিকে গত কয়েকদিনের তুলনায় ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এসেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে যা গত কয়েকদিন ছিল ২০০ এর ওপর। ডেঙ্গু রোগী কমে আসার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যাটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২০০-এর ওপরে। সেটা এখন কমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি, আগের ১১ জনই আছে। এদের মধ্যে জুলাই মাসে মারা গেছে ১০ জন। বাকি একজন মারা গেছেন জুনে। নতুন ডেঙ্গু রোগী আসার সংখ্যা কমলেও হাসপাতালটিতে এখনও ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি আছেন ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর ডেঙ্গু রোগীর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যে সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তার তিনগুণেরও বেশি।এ বিষয়ে ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৬৪৯ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল এক হাজার ৬৮৭ জন। সব মিলিয়ে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতি বছর দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২২ হাজার ৯১৯ জন হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য। বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৮৫৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ১৬ হাজার ৪৩ জন। আর রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব জেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে নতুন ভর্তি হয়েছে ২১৫ জন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ১২৯ জন, খুলনা বিভাগে ৬৩ জন, রংপুর বিভাগে ৫৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৬৭ জন, সিলেট বিভাগে ৩১ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫২ জন নতুন করে হাসপাতালে ভতি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
COMMENTS