গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কলেজ শিক্ষক ও আইটি বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কয়েকজন মন্ত্রীসহ পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

আজ সোমবার সকালে তাদেরকে আটক করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন হলেন- মাসুদুর রহমান। তিনি ঝোপগাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় সোনাতলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। অন্যজন বেনজুর আহম্মেদ (২৮)। আদমদীঘি উপজেলার পশ্চিম ছাতনী গ্রামের আইটি বিশেষজ্ঞ তিনি।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁইয়া জানান, সাইবার পুলিশের মনিটরিং সেল একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ‘শুভেচ্ছা রহমান’ এবং একটি ফেসবুক পেজ ‘’সুন্দর ও বিস্ময়কর ভিডিও অপটাইম টিভি’ থেকে গুজব ছড়ানোর তথ্য ও প্রমাণ পায়।

শুভেচ্ছা রহমান ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে গুম করাচ্ছেন।

অন্যদিকে সুন্দর ও বিস্ময়কর ভিডিও অপটাইম টিভিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু তৈরিতে হাজার হাজার মানুষের মাথা প্রয়োজন।

সাইবার ইউনিটের পক্ষ থেকে তদন্তকালে আরও দেখা গেছে, শুভেচ্ছা রহমান ফেসবুক অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল জুড়ে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট রয়েছে। সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের কটুক্তিও করা হয়। পুলিশকে গালিগালাজ করাসহ নানা ধরনের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। যেসব পেজ বেশি শেয়ার হয়েছে তার মধ্যে ‘হাসিনার পতন চাই’ ও ‘বাঁশের কেল্লা’ অন্যতম।

বগুড়া সাইবার ক্রাইমের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিন জানান, ‘শুভেচ্ছা রহমান’ অ্যাকাউন্টের আসল নাম মাসুদুর রহমান টিটু। আর ‘সুন্দর ও বিস্ময়কর ভিডিও অপটাইম টিভি’ পেজের এডমিন হলেন- আইটি বিশেষজ্ঞ বেনজুর আহম্মেদ। নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।