স্বাধীন কাশ্মীর যেভাবে ভারতের দখলে


ভারতের সাম্প্রদায়িক বিজেপি সরকারের প্রকৃত চেহারা আগেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছিল। দেশটির ‘বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত’ অঞ্চল জম্মু কাশ্মির ইস্যুতে মুখোশ একেবারেই খুলে গেল। মোদি সরকার যে শুধু সাম্প্রাদায়িকই নয়, চরম অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী ও জঙ্গীবাদি তা মোটাদাগে স্পষ্ট হয়ে গেল বিশ্ববাসীর কাছে। দেশটির দীর্ঘ গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে এবং কোনো অভিযোগ-অপরাধ ছাড়াই কাশ্মীরের মুসলিম নেতাদের গ্রেফতার করে ভারতীয় সংবিধানে প্রদত্ত রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দিল সাধু-সন্তের ভং ধরা নরেন্দ্র মোদির সরকার।

আজ ৫ জুলাই দেশটির স্বাধীনতা পরবর্তী ৬৯ বছরের ইতিহাসকে বদলে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা শুধু নয়, রাজ্য হিসেবে এর স্বীকৃতিও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যকে ভেঙ্গে গঠন করা হল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। দেশ ও জাতির ইতিহাসের এত বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলোর মতামত তো নেওয়াই হয়নি, এমনকি তাদের কোনো কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয়নি। সংবিধানে থাকা একটি সুযোগের অপব্যবহার করে দলীয় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বাতিল করা হল কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা। দেশটি বিরোধী দলগুলো এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে চলছে। অপরিণামদর্শী এই সিদ্ধান্তের পরিণাম দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের ভাঙ্গনের সূচনা ঘটাতে পারে বলেও তাদের কারো কারো আশংকা।

Kashmir

যা ছিল ৩৭০ ধারায়

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারার ৩৫ এ উপধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এই ধারায় দেওয়া সুরক্ষার ফলে স্থানীয়রা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেতেন, যা এখন আর থাকবে না। ওই ধারাটির আওতায় দেওয়া এখতিয়ার বলে প্রতিরক্ষা-পররাষ্ট্র বা যোগাযোগের মতো কয়েকটি বিষয়ের বাইরে অন্যান্য বিষয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের কোনো আইন প্রয়োগ করতে গেলে রাজ্য সরকারের সম্মতি নিতে হতো।

ওই ধারাটিতে জম্মু ও কাশ্মীরের ভূমির উপর শুধু স্থানীয়দের অধিকারই স্বীকৃত ছিল। অর্থাৎ ভারতের অন্য রাজ্যের মানুষ সেখানে কোনো জমি কিনতে পারতো না। এখন এই সুযোগটি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়ায় অন্য রাজ্যের মানুষ সহজেই এখানে, জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি কিনতে পারবে। এমনকি পরিকল্পিতভাবে সরকারের পরোক্ষ হস্তক্ষেপে অন্যান্য রাজ্য থেকে মানুষ এনে স্যাটলারের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে বদলে দেওয়া হতে পারে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট এই অঞ্চলের জনবিন্যাসের কাঠামো। বাংলাদেশে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমতল থেকে মানুষ নিয়ে গিয়ে আদিবাসীদের কোনঠাসা করে ফেলা হয়েছে।

সংবিধানের ৩৭০ ধারার ছায়ায় সুরক্ষিত ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরিকদের অনেক মৌলিক অধিকার। এতদিন ওই ধারাটির শর্তের কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই জরুরী অবস্থা জারির মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে পারতো না। এখন কথায় কথায় জরুরী অবস্থা জারি করে বলপূর্বক দমিয়ে রাখতে পারবে কাশ্মীরিদের, কেড়ে নিতে পারবে তাদের অনেক মৌলিক অধিকার। ‘আত্মঘাতী’ হামলার নাটক সাজিয়ে সহজেই বিশেষ জনগোষ্ঠিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া যাবে বলে অনেকের সন্দেহ।

এতদিন ভারতের সংবিধানের পাশাপাশি কাশ্মীরেরও নিজস্ব সংবিধান এবং পতাকা ছিল। বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় কাশ্মীরের আর এই সংবিধান ও পতাকা থাকবে না।

ভবিষ্যতে দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে জম্মু-কাশ্মীর। থাকবে বিধানসভা, একই সঙ্গে থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। অন্যদিকে লাদাখ হবে কেন্দ্রশাসিত চণ্ডীগড়ের মতো, যেখানে বিধানসভা থাকবে না। থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

যেভাবে চূড়ান্ত হল কাশ্মীর লন্ডভন্ডের উদ্যোগ

সংবিধানের যে ধারা বলে জম্মু ও কাশ্মীর বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা ভোগ করতো, সেই ৩৭০ ধারার একটি উপধারা বলেই পুরো ধারাটি বাতিল করা হয়েছে। ওই ধারার ৩ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ইচ্ছে করলে এই ‘বিশেষ মর্যাদা’ তুলে নিতে পারেন। আর রাষ্ট্রপতির ওই ক্ষমতাকে ব্যবহার করেই এ দিন কাজ হাসিল করল মোদী সরকার। রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সই করা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাতিল হয়ে যায় ৩৭০ ধারা, বিশেষ মর্যাদা হারায় কাশ্মীর। একই দিন সন্ধ্যায় বিধান সভায় কাশ্মীর পুনর্গঠন নামে রাজ্য সভায় একটি বিল পাশ করিয়ে নিয়ে কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে সেটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়।

কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার মুসলিম সংখ্যাগিরষ্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার ঘোষণা অবশ্য নির্বাচনী ইশতেহারেই দিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও বিরোধী দলসহ দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করেছিল, সহজে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার লক্ষ্যে তারা এই ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে সেটি বাস্তবায়ন করে তারা দেখিয়ে দিল-হিন্দুত্ববাদের বাইরে তারা আর কোনো কিছুকেই সহ্য করবে না। নির্বাচনী ঘোষণার বাইরে এসে আরও একধাপ এগিয়ে তারা কাশ্মীর রাজ্যটিও বাতিল করে দিল।

নানা পরিকল্পনা, অনেক কূটচাল

অনেক গোপন আর গভীর দুরভসন্ধির সঙ্গে কাশ্মীর ভাঙ্গার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে মোদী সরকার। দেশবাসী ও বিরোধী দলকে ঘুমে রেখেই তারা দারুণ কৌশলে কাজটি সেরে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতি সই করার আগে কেউ টেরই পায়নি ইতিহাস বদলে দেওয়া এমন বড় একট ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, তথা কাশ্মীরের বিশেষ বাতিল ও রাজ্য থেকে এটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তে যাতে ওই অঞ্চলে বড় কোনো বিক্ষোভ-বিদ্রোহ না হতে পারে সে লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি চলতে থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে কৌশলে রটিয়ে দেওয়া হয়, কাশ্মীর অঞ্চলে জঙ্গীদের বড় ধরনের হামলার আগাম খবর পেয়েছে গোয়েন্দারা। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হচ্ছে।

গত শুক্রবার কাশ্মীরে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সেনার উর্ধতন কর্মকর্তারা দাবি করেন, তারা কাশ্মীরে হিন্দুদের তীর্থস্থান অমরনাথে যাওয়ার পথ থেকে একটি স্থলমাইন, বিপুল সংখ্যক বোমা ও টেলিস্কোপিক স্নাইপার রাইফেল (এম ২৪) উদ্ধার করেছে।  বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি হিসেবে জঙ্গীরা এসব অস্ত্র মজুদ করেছিল। এর প্রেক্ষিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাস কাশ্মীর উপত্যকা থেকে দেশী-বিদেশী সব পর্যটককে দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রীদেরকেও সরে যেতে বলে। জম্মু-কাশ্মীরে পাঠানো হয় অতিরিক্ত সৈন্য ও পুলিশ। কার্যত জঙ্গী জুজুর ভয় দেখিয়ে পুরো এলাকায় সামরিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

রোববার রাতে কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ বা দৃশ্যমান কারণ ছাড়াই জম্মু-কাশ্মীরের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দী করা হয়। সোমবার সকালে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর ওমর আব্দুল্লাহকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়, সোমবার রাত পর্যন্ত তার অবস্থান জানতে পারেনি কেউ। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন-কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলেনি।

রোববার রাতে কাশ্মীরস পিপলস কনফারেন্সের দুই নেতা সাজ্জাদ লোন ও ইমরান আনসারিক, সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামিকে প্রমুখকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে তা-ও কাউকে জানানো হয়নি।

সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না দেখিয়েই জম্মু ও কাশ্মীরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা আপোর করা হয় সব ধরনের জমায়েত ও সভা-সমাবেশের উপর। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এছাড়া উপত্যকার বেশির ভাগ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এভাবে আটঘাট বেঁধে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আনার পর সোমবার সকালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্য বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

যেভাবে স্বাধীন কাশ্মীর ভারতের অংশে পরিণত হয়

পৃথিবীর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত কাশ্মীর বৃটিশ ঔপনিবেশিক আমলেও স্বাধীন ছিল। ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলমান শাসকরা এখানে শাসন করেন।


মহারাজা হরি সিং
১৩৩৯ সালে শাহ মীর কাশ্মীরের প্রথম মুসলিম শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত হন। তার প্রতিষ্ঠিত শাহ মীর রাজবংশ পরবর্তী পাঁচশ বছর কাশ্মীর শাসন করে। পরবর্তীতে মুঘল সম্রাটরা ১৫৮৬ সাল থেকে ১৭৫১ সাল পর্যন্ত এবং আফগান দুররানী সম্রাটরা ১৭৪৭ সাল থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর শাসন করেন। ১৮১৯ সালে রঞ্জিত সিংহের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে। ১৮৪৬ সালে প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে শিখরা পরাজিত হলে অমৃতসরে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুসারে জম্মুর রাজা গুলাব সিংহ অঞ্চলটি ব্রিটিশদের কাছে থেকে কিনে নিয়ে কাশ্মীরেরও শাসক হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাঁর বংশধরগণ ব্রিটিশ রাজমুকুটের অনুগত শাসক হিসেবে কাশ্মীর শাসন করেন।

১৯৪৭ সালের আগস্টে বৃটিশদের ক্ষমতা ছাড়ার পরও কাশ্মীর স্বাধীন ছিল। কিন্তু ওই বছরের ২২ অক্টোবর কাশ্মীরে পাকিস্তানের পশতুন উপজাতিদের হামলা শুরু হলে সে সময়ের মহারাজা হরি সিং দিল্লীতে তার প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে সামরিক সহায়তা চান। দিল্লীর সরকার তাকে ভারতে অন্তর্ভুক্তি সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে সই করতে বাধ্য করে। চুক্তি অনুসারে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে সহায়তা করবে ভারতের সেনাবাহিনী। তবে  পরবর্তীতে গণভোটের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ নিজেরাই ঠিক করবে তারা ভারতের সঙ্গে চলে আসবে না-কি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে থাকবে। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং এই চুক্তি সই করার পরদিনই ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাশ্মীরে প্রবেশ করে। সেই যে কাশ্মীরের মাটিতে পা রাখে ভারতের সেনাবাহিনী, তারা আর পেছনে আসেনি। এর পাঁচ বছরের মাথায় কাশ্মীরের রাজতন্ত্র বাতিল করে দেয় ভারত। এর পর ধীরে ধীরে অঞ্চলটিকে গোগ্রাসে গিলে নেয় তারা।

তবে হরি সিং এর সহায়তা চাওয়ার অনেক আগে থেকেই সুযোগের অপেক্ষায় তক্কে তক্কে ছিল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। তারা ভারত ভাগের বেশ কিছুদিন আগে থেকেই অন্যান্য করদ রাজ্যকে (Native State) ভারতে অন্তর্ভুক্তিতে চাপ দিতে থাকে। তখন কাশ্মীর তাতে সাড়া না দিলেও ভারত সরকার অনেকটা নিশ্চিত ছিল এক সময় ঠিকই তাদেরকে সাড়া দিতে হবে। তাই ১৯৪৭ সালের ১৭ অক্টোবর ভারতের সংবিধানে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া সংক্রান্ত ৩৭০ ধারাটি আগ বাড়িয়ে যোগ করে নেওয়া হয়। আর সেটি করা হয়,

বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতাপ্রাপ্ত অপর দেশ পাকিস্তান ১৯৪৭ সালের অক্টোবরে অতির্কিত হামলা চালিয়ে কাশ্মীরের একটি অংশ (প্রায় ৩০ শতাংশ) দখল করে নেয়। দখলকৃত অংশের নাম দেওয়া হয় আজাদ কাশ্মীর।  সে সময় ভারত জাতিসংঘের শরনাপন্ন হলে সিদ্ধান্ত হয়, কাশ্মীরে একটি গণভোটের আয়োজন করা হবে। আর এই গণভোটে কাশ্মীররা নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন, তারা কারো সঙ্গে থাকবেন নাকি স্বাধীন থাকবেন। কিন্তু সেই গণভোট আর হয়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট কাশ্মীরে গণভোট হলে ফল নিজেদের পক্ষে আসবে না, সেটি বুঝতে পেরে ভারত আর এ পথে পা বাড়ায়নি।

অন্যদিকে কথিত আজাদ কাশ্মীরের কাশ্মীরিরাও স্বাধীনতা পায়নি। পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকার তাদের নিয়ে খেলতে থাকে। কাশ্মীরের স্বাধীনতার নামে পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের করতলে নিতে উস্কে দেওয়া হয় ধর্মীয় জঙ্গীবাদ।

COMMENTS





নাম

অর্থ ও বাণিজ্য,234,আন্তর্জাতিক,731,কাপাসিয়া,342,কালিয়াকৈর,417,কালীগঞ্জ,253,খেলা,643,গাজীপুর,3927,চাকরির খবর,33,জয়দেবপুর,1581,জাতীয়,2955,টঙ্গী,911,তথ্যপ্রযুক্তি,512,ধর্ম,196,পরিবেশ,136,প্রতিবেদন,310,বিজ্ঞান,55,বিনোদন,697,ভিডিও,58,ভিন্ন খবর,142,ভ্রমন,115,মুক্তমত,27,রাজধানী,828,রাজনীতি,1055,লাইফস্টাইল,282,শিক্ষাঙ্গন,398,শীর্ষ খবর,10745,শ্রীপুর,481,সাক্ষাৎকার,12,সারাদেশ,649,স্বাস্থ্য,212,
ltr
item
GazipurOnline.com: স্বাধীন কাশ্মীর যেভাবে ভারতের দখলে
স্বাধীন কাশ্মীর যেভাবে ভারতের দখলে
https://1.bp.blogspot.com/-AI5iofePcrQ/XUmdroEBRXI/AAAAAAAAdS0/iVtZzVIW1RUjoK7fPw1suHz73U5pnig8gCLcBGAs/s1600/Kashmir.jpeg
https://1.bp.blogspot.com/-AI5iofePcrQ/XUmdroEBRXI/AAAAAAAAdS0/iVtZzVIW1RUjoK7fPw1suHz73U5pnig8gCLcBGAs/s72-c/Kashmir.jpeg
GazipurOnline.com
https://www.gazipuronline.com/2019/08/kasmir.html
https://www.gazipuronline.com/
https://www.gazipuronline.com/
https://www.gazipuronline.com/2019/08/kasmir.html
true
13958681640745950
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Read More Reply Cancel reply Delete By প্রচ্ছদ PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share. STEP 2: Click the link you shared to unlock Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy