টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক জিকে শামীমের বিরুদ্ধে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশ কেলেঙ্কারিতেও জিকে শামীমের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, রূপপুরের বালিশকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন জিকে শামীম। রূপপুরের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণের ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেখানে বড় অঙ্কের কয়েকটি কাজ জিকে শামীম নিজেই করছেন। এ ছাড়া ৫ পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে ৩-৪টি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি কাজও তিনি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
সূত্র মতে, গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণের প্রায় সব কাজই জিকে শামীমের দখলে ছিল। তবে যেসব কাজ তার পছন্দ হতো না সেগুলো তিনি অন্য ঠিকাদারদের দিয়ে দেন। মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে সাজিন ট্রেডার্স, এনডিই (ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লি.) ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বেশ কয়েকটি কাজ পাইয়ে দেন শামীম। এই ব্যাপক কমিশন বাণিজ্যের কারণেই মূলত রূপপুরে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে বালিশ, চাদর ও ইলেকট্রিক সামগ্রী সরবরাহে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। সাম্প্রতিক একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘটনায় শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জিকে বিপিএল ব্ল্যাকলিস্টেড হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুরের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণ প্রকল্পে জিকে শামীমের আধিপত্যের নেপথ্যে ছিলেন পূর্ত মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। শামীমের প্রতিষ্ঠানকে বড় বড় কাজ পাইয়ে দিতেন তারা। সে বাবদ শামীম তাদের আলাদা কমিশন দিতেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমনভাবে টেন্ডারের শর্ত নির্ধারণ করা হয় যাতে শামীমের প্রতিষ্ঠানই কাজ পায়। শামীমের সঙ্গে আঁতাত গড়া মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাই সরকারি টেন্ডারের প্রাক্কলিত মূল্য বাড়িয়ে দেয়ার কাজটি করতেন। এর পর অতিরিক্ত মূল্যের একটি বড় অংশ অসৎ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের পাশে গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকা নির্মাণ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৯টি ভবনের কাঠামো নির্মিত হয়েছে। আর এসব ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকটি স্তরে ঘুষ দিতে হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর টেন্ডার মূল্যের ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়েছে নেগোসিয়েশন খরচ বাবদ। আর এ পার্সেন্টেস নিয়েছেন জিকে শামীম। কারণ এই কাজ তিনিই সব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এনেছেন বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজধানীতেও যেসব বড় বড় ভবন নির্মাণের কাজ হচ্ছে তার বেশির ভাগই নির্মাণ করছে জিকে শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিপিএল। ১০০ কোটি টাকার বেশি কাজ হলেই তা শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য বলে নির্ধারিত।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জিকে বিল্ডার্স থেকে তাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে টাকার বিপুল পরিমান টাকাও উদ্ধার হয়। শামীমের মায়ের নামেই ১৪০ কোটি টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, রূপপুরের বালিশকাণ্ডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন জিকে শামীম। রূপপুরের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণের ব্যয় তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেখানে বড় অঙ্কের কয়েকটি কাজ জিকে শামীম নিজেই করছেন। এ ছাড়া ৫ পার্সেন্ট কমিশনের বিনিময়ে ৩-৪টি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকটি কাজও তিনি পাইয়ে দিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।
সূত্র মতে, গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণের প্রায় সব কাজই জিকে শামীমের দখলে ছিল। তবে যেসব কাজ তার পছন্দ হতো না সেগুলো তিনি অন্য ঠিকাদারদের দিয়ে দেন। মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে সাজিন ট্রেডার্স, এনডিই (ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লি.) ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বেশ কয়েকটি কাজ পাইয়ে দেন শামীম। এই ব্যাপক কমিশন বাণিজ্যের কারণেই মূলত রূপপুরে ভবন নির্মাণ থেকে শুরু করে বালিশ, চাদর ও ইলেকট্রিক সামগ্রী সরবরাহে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। সাম্প্রতিক একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘটনায় শামীমের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জিকে বিপিএল ব্ল্যাকলিস্টেড হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুরের গ্রিন সিটি আবাসন পল্লী নির্মাণ প্রকল্পে জিকে শামীমের আধিপত্যের নেপথ্যে ছিলেন পূর্ত মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। শামীমের প্রতিষ্ঠানকে বড় বড় কাজ পাইয়ে দিতেন তারা। সে বাবদ শামীম তাদের আলাদা কমিশন দিতেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এমনভাবে টেন্ডারের শর্ত নির্ধারণ করা হয় যাতে শামীমের প্রতিষ্ঠানই কাজ পায়। শামীমের সঙ্গে আঁতাত গড়া মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারাই সরকারি টেন্ডারের প্রাক্কলিত মূল্য বাড়িয়ে দেয়ার কাজটি করতেন। এর পর অতিরিক্ত মূল্যের একটি বড় অংশ অসৎ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের পাশে গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকা নির্মাণ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১৯টি ভবনের কাঠামো নির্মিত হয়েছে। আর এসব ভবন নির্মাণের জন্য কয়েকটি স্তরে ঘুষ দিতে হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর টেন্ডার মূল্যের ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়েছে নেগোসিয়েশন খরচ বাবদ। আর এ পার্সেন্টেস নিয়েছেন জিকে শামীম। কারণ এই কাজ তিনিই সব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এনেছেন বলে দাবি করেন।
জানা গেছে, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজধানীতেও যেসব বড় বড় ভবন নির্মাণের কাজ হচ্ছে তার বেশির ভাগই নির্মাণ করছে জিকে শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিপিএল। ১০০ কোটি টাকার বেশি কাজ হলেই তা শামীমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য বলে নির্ধারিত।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে জিকে শামীমের ব্যবসায়িক কার্যালয় জিকে বিল্ডার্স থেকে তাকে আটক করা হয়। সেখান থেকে টাকার বিপুল পরিমান টাকাও উদ্ধার হয়। শামীমের মায়ের নামেই ১৪০ কোটি টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে র্যাব।
COMMENTS