ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১৮৭০টি নৌকা দিয়ে ২৬টি ঘাটে মাছ শিকার করেন সীতাকুন্ডের জেলেরা। প্রতিটি ঘাটেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আর প্রতিটি নৌকাই ইলিশ ভর্তি করে ফিরছেন জেলেরা।
তুলনামূলক দামও রয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম খুচরা পর্যায়ে ৫৫০ হতে ৬৫০ টাকা ও আধা কেজি মাছের দাম ৩০০ হতে ৪০০ টাকা।
ইতোপূর্বে মাছ কম ধরা পড়ার কথা বললেও এখন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ার কথা বলছেন জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা যদি ঠিকভাবে মানা হত আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ত বলে মনে করেন মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলেরা।
সরেজমিনে সীতাকুন্ডের উল্লেখযোগ্য সৈয়দপুর, বাশঁবাড়িয়া, বশরত নগর, বাড়বকুন্ড ও কুমিরা ঘাটে ঘুরে দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেদের নৌকা। একটি নৌকা ঘাটে ফিরলে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা ঘিরে ধরছে নৌকাটিকে।
তাছাড়া তরতাজা মাছ কিনতে সাধারণ ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন ঘাটে ঘটে। পাইকাররা মাছ কিনে বরফ দিয়ে সাজিয়ে বাতাস নিরোধক কার্টনে ভর্তি করে ঢাকা, খুলনা, যশোর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। একই চিত্র সীতাকুন্ডের বিভিন্ন আড়তেও। আড়তদার, জেলেও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে মুখরিত প্রতিটি আড়ৎ।
কিছুদিন আগেও যেসব জেলেরা ধার-দেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এবার হাসি ফিরেছে তাদের মুখে।
বশরত নগর ঘাটের জেলে কালাবাশি জলদাস বলেন, ‘৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কথা প্রথম দিকে সে পরিমাণ মাছ আমরা পাইনি। তবে গত জো (অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার আগের পাঁচ দিন) থেকে এখন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছে। এবার আমরা ধার দেনা পরিশোধ করতে পারব।’
জেলেরা স্বীকার করেন যে তারা ৬৫ দিন বন্ধের সময় রাতে এমনকি দিনেও সাগর থেকে ইলিশ ধরে নিয়ে আসত। যার বেশিরভাগই ছিল জাটকা। এ সময় জাটকা না ধরলে মৌসুমে আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ত এবং আয়ও আরো বেশি হত বলে মনে করেন জেলেরাও।
ফৌজদারহাটের রুপক জলদাস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ বিক্রি করে এক মণে যত আয় হত এখন পাঁচ কেজি মাছ বিক্রি করে তত আয় হচ্ছে।’
সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ১১৮৮.৭৮ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে সীতাকুন্ডের ঘাটগুলাতে। প্রথম দিকে জেলেরা মাছ ধরা নিয়ে অখুশি থাকলেও এখন তারা সন্তুষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার সময় যদি জেলেরা সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকত তাহলে আরো অধিক পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ত।
তুলনামূলক দামও রয়েছে ক্রেতাদের হাতের নাগালে। ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম খুচরা পর্যায়ে ৫৫০ হতে ৬৫০ টাকা ও আধা কেজি মাছের দাম ৩০০ হতে ৪০০ টাকা।
ইতোপূর্বে মাছ কম ধরা পড়ার কথা বললেও এখন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ার কথা বলছেন জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞা যদি ঠিকভাবে মানা হত আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ত বলে মনে করেন মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলেরা।
সরেজমিনে সীতাকুন্ডের উল্লেখযোগ্য সৈয়দপুর, বাশঁবাড়িয়া, বশরত নগর, বাড়বকুন্ড ও কুমিরা ঘাটে ঘুরে দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছেন জেলেদের নৌকা। একটি নৌকা ঘাটে ফিরলে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা ঘিরে ধরছে নৌকাটিকে।
তাছাড়া তরতাজা মাছ কিনতে সাধারণ ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছেন ঘাটে ঘটে। পাইকাররা মাছ কিনে বরফ দিয়ে সাজিয়ে বাতাস নিরোধক কার্টনে ভর্তি করে ঢাকা, খুলনা, যশোর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। একই চিত্র সীতাকুন্ডের বিভিন্ন আড়তেও। আড়তদার, জেলেও ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাকে মুখরিত প্রতিটি আড়ৎ।
কিছুদিন আগেও যেসব জেলেরা ধার-দেনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন এবার হাসি ফিরেছে তাদের মুখে।
বশরত নগর ঘাটের জেলে কালাবাশি জলদাস বলেন, ‘৬৫ দিন বন্ধ থাকার পর যে পরিমাণ ইলিশ পাওয়ার কথা প্রথম দিকে সে পরিমাণ মাছ আমরা পাইনি। তবে গত জো (অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার আগের পাঁচ দিন) থেকে এখন আশানুরূপ মাছ ধরা পড়ছে। এবার আমরা ধার দেনা পরিশোধ করতে পারব।’
জেলেরা স্বীকার করেন যে তারা ৬৫ দিন বন্ধের সময় রাতে এমনকি দিনেও সাগর থেকে ইলিশ ধরে নিয়ে আসত। যার বেশিরভাগই ছিল জাটকা। এ সময় জাটকা না ধরলে মৌসুমে আরো বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ত এবং আয়ও আরো বেশি হত বলে মনে করেন জেলেরাও।
ফৌজদারহাটের রুপক জলদাস বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ বিক্রি করে এক মণে যত আয় হত এখন পাঁচ কেজি মাছ বিক্রি করে তত আয় হচ্ছে।’
সীতাকুন্ড উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামীম আহমেদ বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ১১৮৮.৭৮ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে সীতাকুন্ডের ঘাটগুলাতে। প্রথম দিকে জেলেরা মাছ ধরা নিয়ে অখুশি থাকলেও এখন তারা সন্তুষ্ট।’
তিনি আরো বলেন, ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞার সময় যদি জেলেরা সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকত তাহলে আরো অধিক পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ত।
COMMENTS