ডেস্ক: বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠনে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্বয়ং সংগঠনটির চেয়ারম্যান এবং তার ঘনিষ্ঠ দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। আনিস সম্মেলন ছাড়াই বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কমিটি অনুমোদন করিয়ে নিচ্ছে। অনেক জায়গায় জোর পূর্বক কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দিচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে নাম গোপণ রাখার শর্তে সংগঠনের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, জেলায় কমিটি দেয়ার আগে রানিং কোনো সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে কমিটি ঘোষণার পর পত্রিকা দেখে নেতারা জানতে পারছেন তমুক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এমন করে যারা যুবলীগ করেনি জীবনে তারাও বীগত ৩-৪ বছরে যুবলীগের বড় নেতা।
যুবলীগের একটি জেলার সভাপতি জানান, যুবলীগ চেয়ারম্যান তার সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে অসদাচরণ এবং টাকার রাজনীতি যুবলীগের কাল হয়ে দাড়িয়েছে। গত এক যুগে গুটিকয়েক জেলা বাদে টাকা ছাড়া অনুমোদন পায়নি যুবলীগের কোনো কমিটি। এভাবে অনেক বিএনপি কর্মীও ঠাই পেয়েছে যুবলীগে।
অপর দিকে যুবলীগ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আনিসুর একসময় যুবলীগ অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। কম্পিউটার টাইপিং করা, প্রিন্টিং করা, মেইল পাঠানো ছিলো তার কাজ। মাসে ৫০০০ টাকা বেতন ভুক্ত যুবলীগের গত কমিটির অফিস স্টাফ ও কম্পিউটার অপারেটর কাজী আনিসুর রহমান কিভাবে দফতর সম্পাদক পদ পেলেন এবং কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন এসব নিয়েও চলছে সরস আলোচনা।
অনেকে বলছেন সংগঠনের চেয়ারম্যানের আশীর্বাদে তিনি সংগঠনের নেতা বনে যান। তাঁকে সবাই এখন ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘ক্যাশিয়ার’ বলেই চেনেন। কমিটি অনুমোদনে চেয়ারম্যানকে কোটি টাকার হিসাব বুঝিয়ে দেয়া এবং নিজস্ব কমিশন বুঝে নেয়া এখন তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। গত এক যুগে তিনি শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অনেকটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মতোই বদলেছে তাঁর ভাগ্য। পাঁচ বছর আগেও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টিনের ঘর ছিল তাঁর। এখন সুরম্য অট্টালিকা। আছে একাধিক বাড়ি। ময়মনসিংহের ভালুকা, ঢাকার স্বামীবাগ, ইত্তেফাক মোড়, যাত্রাবাড়ী, শুক্রাবাদ ও উত্তরায় আছে বাড়ি। লালমাটিয়া, ঝিগাতলা ও ধানমণ্ডিতে আছে কয়েকটি ফ্ল্যাট। উত্তরা, মিরপুর ও গুলশানে মার্কেটে আছে দোকান। নারায়ণগঞ্জে চটের মিল আছে আনিসুরের।
আনিসের মা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আগে পাঁচ-ছয় বিঘা জমি ছিল। গত ৪ বছরে আরও জমি কিনেছি। এই বাড়ি করেছি, পেট্রলপাম্প এবং তার পাশের জমি কিনেছি।’ গ্রামের সবুর মোল্লা বলেন, ‘বাড়িতে ছিল একটা টিনের ঘর। চার বছরে রাস্তার ছেলে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। মনে হয়, আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের কেন্দ্রীয় একজন শীর্ষনেতা ঢাকা ইনসাইডারকে বলেন, ‘যুবলীগে কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কে করছে, সবাই সবকিছু জানেন। তবে কারোর এ নিয়ে কিছু বলার সাহস নেই কারণ ওমর ফারুক আমাদের আপার আত্নীয় হন। এখন যুবলীগে পদ পেতে রাজনীতি করা লাগে না। আপনি টাকা দিন আপনাকেও বড় নেতা বানিয়ে দিবে’। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে দলের কাউন্সিল ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বিতর্কিত নেতাদের অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাশাপাশি, যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের অনৈতিকভাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা দাবি করা, পদের বদলে কোটি টাকার বাণিজ্য ইত্যাদি সহ সকল স্থাবর- অস্থাবর অর্জন করা সম্পত্তির হিসাব জানতে চেয়েছেন তারা। পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
– ঢাকা ইনসাইডার
যুবলীগের একটি জেলার সভাপতি জানান, যুবলীগ চেয়ারম্যান তার সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে অসদাচরণ এবং টাকার রাজনীতি যুবলীগের কাল হয়ে দাড়িয়েছে। গত এক যুগে গুটিকয়েক জেলা বাদে টাকা ছাড়া অনুমোদন পায়নি যুবলীগের কোনো কমিটি। এভাবে অনেক বিএনপি কর্মীও ঠাই পেয়েছে যুবলীগে।
অপর দিকে যুবলীগ সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আনিসুর একসময় যুবলীগ অফিসের কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন। কম্পিউটার টাইপিং করা, প্রিন্টিং করা, মেইল পাঠানো ছিলো তার কাজ। মাসে ৫০০০ টাকা বেতন ভুক্ত যুবলীগের গত কমিটির অফিস স্টাফ ও কম্পিউটার অপারেটর কাজী আনিসুর রহমান কিভাবে দফতর সম্পাদক পদ পেলেন এবং কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেন এসব নিয়েও চলছে সরস আলোচনা।
অনেকে বলছেন সংগঠনের চেয়ারম্যানের আশীর্বাদে তিনি সংগঠনের নেতা বনে যান। তাঁকে সবাই এখন ওমর ফারুক চৌধুরীর ‘ক্যাশিয়ার’ বলেই চেনেন। কমিটি অনুমোদনে চেয়ারম্যানকে কোটি টাকার হিসাব বুঝিয়ে দেয়া এবং নিজস্ব কমিশন বুঝে নেয়া এখন তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। গত এক যুগে তিনি শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অনেকটা আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মতোই বদলেছে তাঁর ভাগ্য। পাঁচ বছর আগেও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে টিনের ঘর ছিল তাঁর। এখন সুরম্য অট্টালিকা। আছে একাধিক বাড়ি। ময়মনসিংহের ভালুকা, ঢাকার স্বামীবাগ, ইত্তেফাক মোড়, যাত্রাবাড়ী, শুক্রাবাদ ও উত্তরায় আছে বাড়ি। লালমাটিয়া, ঝিগাতলা ও ধানমণ্ডিতে আছে কয়েকটি ফ্ল্যাট। উত্তরা, মিরপুর ও গুলশানে মার্কেটে আছে দোকান। নারায়ণগঞ্জে চটের মিল আছে আনিসুরের।
আনিসের মা হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আগে পাঁচ-ছয় বিঘা জমি ছিল। গত ৪ বছরে আরও জমি কিনেছি। এই বাড়ি করেছি, পেট্রলপাম্প এবং তার পাশের জমি কিনেছি।’ গ্রামের সবুর মোল্লা বলেন, ‘বাড়িতে ছিল একটা টিনের ঘর। চার বছরে রাস্তার ছেলে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। মনে হয়, আলাদিনের চেরাগ পেয়েছে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবলীগের কেন্দ্রীয় একজন শীর্ষনেতা ঢাকা ইনসাইডারকে বলেন, ‘যুবলীগে কি হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কে করছে, সবাই সবকিছু জানেন। তবে কারোর এ নিয়ে কিছু বলার সাহস নেই কারণ ওমর ফারুক আমাদের আপার আত্নীয় হন। এখন যুবলীগে পদ পেতে রাজনীতি করা লাগে না। আপনি টাকা দিন আপনাকেও বড় নেতা বানিয়ে দিবে’। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে দলের কাউন্সিল ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি।
এর আগে, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বিতর্কিত নেতাদের অপকর্মের দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। পাশাপাশি, যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের অনৈতিকভাবে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা দাবি করা, পদের বদলে কোটি টাকার বাণিজ্য ইত্যাদি সহ সকল স্থাবর- অস্থাবর অর্জন করা সম্পত্তির হিসাব জানতে চেয়েছেন তারা। পদত্যাগ না করলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।
– ঢাকা ইনসাইডার
COMMENTS