আসামে নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। নাগরিকত্ব হারানো এসব মানুষকে কী আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে, না কী বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা চলছে ।
এ দিকে আসামের মতো ভারতের সব রাজ্যে এনআরসি করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তার আগেই নাগরিকত্বের প্রমাণ সংগ্রহ করতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন কলকাতার রাজ্য লেখ্যাগার বা স্টেট আর্কাইভসে।
বিবিসি বাংলা জানায়, পশ্চিমবঙ্গে এখনো এনআরসি চালু না হলেও কেন্দ্র সরকারের একাধিক ঘোষণায় আতঙ্কিত কলকাতার বাসিন্দা পৌলমী রায়চৌধুরী বা ডোমজুড়ের বাসিন্দা শেখ মেহবুব আলমের মতো বহু মানুষ।
পৌলমী বলেন, “আসামের মতো এখানেও যদি এনআরসি চালু হয়, আর কাগজপত্র যদি দেখাতে না পারি, তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে পারে। আগে থেকেই তাই কাগজপত্র জোগাড় করে রাখছি।”
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা চায়না চ্যাটার্জিও পূর্বপুরুষের নাম ভোটার তালিকায় আছে কী না, সেই খোঁজ করতে এসেছিলেন স্টেট আর্কাইভসে।
চায়না চ্যাটার্জি বলেন, “আমার ঠাকুরদা বা সব পূর্বপুরুষরাই এখানকার বাসিন্দা। ইংরেজ আমলে সরকারি কর্মীও ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ। কিন্তু এত পুরোনো কাগজপত্র খুঁজে পাচ্ছি না।”
তিনি বলছেন, “যদি আসামের মতো এনআরসি চালু হয়, তাই নথি জোগাড় করে রাখতে হবে। এগুলো না দেখাতে পারলে তো পূর্বপুরুষদের পরিচয়ই তো দিতে পারব না, প্রমাণ করতেই পারব না যে তারা এখানেই থাকতেন।”
স্টেট আর্কাইভসের পরিচালক ড. সীমন্তী সেন বিবিসিকে জানান, রোজ প্রায় চার-পাঁচশো মানুষ তার দপ্তরে আসছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই এখন আসামের বাসিন্দা, কিন্তু হয়তো আগে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন।
তিনি বলেন, “পুরোনো ভোটার তালিকায় নিজের বা পূর্বপুরুষের নাম আছে কী না, সেই সার্টিফায়েড কপি জোগাড় করে তারা আসামের বিদেশি ট্রাইব্যুনালে যাবেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে দপ্তরের নিয়মিত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে এই এনআরসি-র সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য।”
ড. সেন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যদিও এনআরসি-র নোটিফিকেশনই হয়নি, তবুও সেখান থেকেই বেশি মানুষ আসছেন। পত্রিকায় নানা খবর পড়ে আতঙ্কে তারা চলে আসছেন।”
হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের বাসিন্দা শেখ মেহবুব আলমের গলায় সেই আতঙ্কের ছবিই উঠে এলো।
শেখ মেহবুব বলেন, “কাগজে দেখছি তো আসামের মানুষের কী অবস্থা হচ্ছে। কাগজপত্র নেই বলে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছে সেখানে। আমাদের যাতে সেরকম না হয়, তাই আগে থেকেই সব জোগাড় করে রাখছি।”
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের অবশ্য এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়ে দিচ্ছেন যে আসামের মানুষের নথি খতিয়ে দেখে সার্টিফায়েড কপি দেওয়াটাই এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তাই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু হলে, তারপরে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের নথি খতিয়ে দেখার আবেদন নেওয়া হবে।
এ দিকে আসামের মতো ভারতের সব রাজ্যে এনআরসি করার ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তার আগেই নাগরিকত্বের প্রমাণ সংগ্রহ করতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন কলকাতার রাজ্য লেখ্যাগার বা স্টেট আর্কাইভসে।
বিবিসি বাংলা জানায়, পশ্চিমবঙ্গে এখনো এনআরসি চালু না হলেও কেন্দ্র সরকারের একাধিক ঘোষণায় আতঙ্কিত কলকাতার বাসিন্দা পৌলমী রায়চৌধুরী বা ডোমজুড়ের বাসিন্দা শেখ মেহবুব আলমের মতো বহু মানুষ।
পৌলমী বলেন, “আসামের মতো এখানেও যদি এনআরসি চালু হয়, আর কাগজপত্র যদি দেখাতে না পারি, তাহলে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে পারে। আগে থেকেই তাই কাগজপত্র জোগাড় করে রাখছি।”
ব্যারাকপুরের বাসিন্দা চায়না চ্যাটার্জিও পূর্বপুরুষের নাম ভোটার তালিকায় আছে কী না, সেই খোঁজ করতে এসেছিলেন স্টেট আর্কাইভসে।
চায়না চ্যাটার্জি বলেন, “আমার ঠাকুরদা বা সব পূর্বপুরুষরাই এখানকার বাসিন্দা। ইংরেজ আমলে সরকারি কর্মীও ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ। কিন্তু এত পুরোনো কাগজপত্র খুঁজে পাচ্ছি না।”
তিনি বলছেন, “যদি আসামের মতো এনআরসি চালু হয়, তাই নথি জোগাড় করে রাখতে হবে। এগুলো না দেখাতে পারলে তো পূর্বপুরুষদের পরিচয়ই তো দিতে পারব না, প্রমাণ করতেই পারব না যে তারা এখানেই থাকতেন।”
স্টেট আর্কাইভসের পরিচালক ড. সীমন্তী সেন বিবিসিকে জানান, রোজ প্রায় চার-পাঁচশো মানুষ তার দপ্তরে আসছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই এখন আসামের বাসিন্দা, কিন্তু হয়তো আগে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন।
তিনি বলেন, “পুরোনো ভোটার তালিকায় নিজের বা পূর্বপুরুষের নাম আছে কী না, সেই সার্টিফায়েড কপি জোগাড় করে তারা আসামের বিদেশি ট্রাইব্যুনালে যাবেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে দপ্তরের নিয়মিত কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে এই এনআরসি-র সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য।”
ড. সেন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যদিও এনআরসি-র নোটিফিকেশনই হয়নি, তবুও সেখান থেকেই বেশি মানুষ আসছেন। পত্রিকায় নানা খবর পড়ে আতঙ্কে তারা চলে আসছেন।”
হাওড়া জেলার ডোমজুড়ের বাসিন্দা শেখ মেহবুব আলমের গলায় সেই আতঙ্কের ছবিই উঠে এলো।
শেখ মেহবুব বলেন, “কাগজে দেখছি তো আসামের মানুষের কী অবস্থা হচ্ছে। কাগজপত্র নেই বলে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছে সেখানে। আমাদের যাতে সেরকম না হয়, তাই আগে থেকেই সব জোগাড় করে রাখছি।”
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের অবশ্য এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়ে দিচ্ছেন যে আসামের মানুষের নথি খতিয়ে দেখে সার্টিফায়েড কপি দেওয়াটাই এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
তাই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু হলে, তারপরে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের নথি খতিয়ে দেখার আবেদন নেওয়া হবে।
COMMENTS