ভারতের আসামে ঘোষিত জাতীয় চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কোন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমরা মন্তব্য করছি না এবং করতে চাই না। ভারত যদি আমাদেরকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করে তখন আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো।
তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই একাত্তরের পরে আমাদের বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারতে যায়নি যারা গিয়েছেন তারা আগেই গিয়েছেন। ওই দেশ থেকে যেমন এখানে এসেছে এখান থেকে ওখানে গিয়েছে। কাজেই আমাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কারাগার ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূণ অঙ্গ। কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের শারীরিক উৎকর্ষ ও কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় রাজশাহীতে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকার কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গরীব ও অসহায় বন্দির জন্য কারাগার কর্তৃক বিনা খরচে আইনজীবি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। অন্য দিকে এনজিওদের মাধ্যমে কারাগারে আইনী সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া বন্দিদের শ্রমের উৎপাদিত পণ্যের আয়ের অর্ধেক বন্দিকে প্রদান করার কাজ শুরু করা হয়েছে।
কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের উর্দ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সরকারের সাফল্যকে আরও উজ্জল করবেন। কারাভ্যন্তর হতে জঙ্গী ও শীষ সন্ত্রাসীরা যাতে কোনরূপ সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী অপতৎপরতা চালাতে না পারে সে বিষয়ে সর্তক থাকবেন। শৃঙ্খলা ও মানবিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করবেন।
কাশিমপুর কারাগারে ৫৬তম ব্যাচ কারারক্ষী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এর প্রশিক্ষণার্থীদের শপথ গ্রহণ এবং সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ৫৬তম ব্যাচ কারারক্ষী বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনী কুচকাওয়াজ ও শপথ প্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহীদুজ্জামান, কারা মহাপরিদর্শক জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ও গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ কারা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও কর্মচারী।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শীতার জন্য তিনজন প্রশিক্ষনার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে সর্বমোট ৩১৯ জন কারারক্ষী প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন।
COMMENTS