শোভন এবং রাব্বানীকে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে শেখ হাসিনা একটি কঠোর বার্তা দিলেন। এই কঠোর বার্তা কেবল ছাত্রলীগের জন্য নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ক্ষমতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই প্রযোজ্য। শেখ হাসিনা যে দুর্নীতির ব্যাপারে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন এবং দেশের প্রশ্নে জনগনের প্রশ্নে এবং স্বচ্ছতার প্রশ্নে কোনরকম আপোষ করতে রাজি নন। সেটার একটা বার্তা দিলেন ছাত্রলীগের এই সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুজনকে সরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। টানা তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেই শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবেন এবং দুর্নীতিকে তিনি কোনভাবে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিবেন না। একইসঙ্গে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি বিভিন্ন সরকারী অফিস মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা উচ্চারন করেছিলেন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছিলেন, এখন সরকারী কর্মর্কতা কর্মচারীদের যে বেতন দেওয়া হচ্ছে তাতে তাদের দুর্নীতি করার কোন কারণ নেই এবং দুর্নীতিকে কোন প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতিকে কোনভাবেই আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বৈঠকেও তিনি দুর্নীতির ব্যাপারে তার অবস্থান পরিস্কার করে দিয়েছিলেন। তারপরও বিভিন্ন সময় দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠেছে এবং বিশেষ করে ছাত্রলীগের লাগামহীন দুর্নীতি টেন্ডারবাজি এবং স্বেচ্চাচারিতা চরমে পৌছেছিল। এই অবস্থায় তিনি সরকার প্রধান হিসেবে জনগনের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা জানেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যা যে অপবাদ ছিল তার সবই সংগঠনটির ঘাড়ে আসবে। অসত্য অভিযোগগুলো অনেকে আরো ফুলিয়ে ফাপিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলার চেষ্টা করবে। এমনকি এই সিদ্ধান্তের ফলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অনেকে আঙ্গুল তোলার চেষ্টা করবে। বলার চেষ্টা করবে, পুরো দেশের পরিস্থিতি এরকম। কিন্তু শেখ হাসিনা যে একজন প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক। তিনি যে দলের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দেন এবং জনগণের কল্যান এবং জনগণের উন্নয়নই যে তার একমাত্র আরাধ্য সেটা তিনি প্রমাণ করলেন এই সাহসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। দলের জন্য কেউই অপরিহার্য নয় বরং দলের সর্বোচ্চ পদে থেকে যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং তাঁদের পরিণতি কি হতে পারে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এই বার্তা মন্ত্রী আমলারা, সরকারী ঊর্ধতন কর্মকর্তারা কিভাবে নিবেন সেটাই দেখার বিষয়। কারণ এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষকেও তিনি দেশ জনগণের প্রশ্নে কুরবানি দিতে পিছপা হন না। কারণ শোভন-রাব্বানীকে শেখ হাসিনাই মনোনয়ন করেছিলেন। তাঁদের প্রতি শেখ হাসিনার ছিল আপত্য স্নেহ। এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করলেন দুর্নিতি যে পদে থেকেই করুক না কেন, যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, জনগণের কল্যান বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে শেখ হাসিনা কার্পন্য করবেন না। এই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের দুজন শীর্ষ পদের দুজনকে সরিয়ে দেয়া একটি নতুন দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন যে, শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি কাউকেই প্রশ্রয় দিবেন না। এই বার্তাকে যদি সরকারের উচ্চস্তরের নেতারা আত্তস্থ করতে পারে, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা যদি বুঝতে পারেন এবং সর্বপরি মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা যদি এটা উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এটা বলাই বাহুল্য।
শেখ হাসিনা জানেন, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সত্য মিথ্যা যে অপবাদ ছিল তার সবই সংগঠনটির ঘাড়ে আসবে। অসত্য অভিযোগগুলো অনেকে আরো ফুলিয়ে ফাপিয়ে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলার চেষ্টা করবে। এমনকি এই সিদ্ধান্তের ফলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও অনেকে আঙ্গুল তোলার চেষ্টা করবে। বলার চেষ্টা করবে, পুরো দেশের পরিস্থিতি এরকম। কিন্তু শেখ হাসিনা যে একজন প্রজ্ঞাবান রাষ্ট্রনায়ক। তিনি যে দলের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দেন এবং জনগণের কল্যান এবং জনগণের উন্নয়নই যে তার একমাত্র আরাধ্য সেটা তিনি প্রমাণ করলেন এই সাহসী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। দলের জন্য কেউই অপরিহার্য নয় বরং দলের সর্বোচ্চ পদে থেকে যারা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং তাঁদের পরিণতি কি হতে পারে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। এই বার্তা মন্ত্রী আমলারা, সরকারী ঊর্ধতন কর্মকর্তারা কিভাবে নিবেন সেটাই দেখার বিষয়। কারণ এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষকেও তিনি দেশ জনগণের প্রশ্নে কুরবানি দিতে পিছপা হন না। কারণ শোভন-রাব্বানীকে শেখ হাসিনাই মনোনয়ন করেছিলেন। তাঁদের প্রতি শেখ হাসিনার ছিল আপত্য স্নেহ। এর মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করলেন দুর্নিতি যে পদে থেকেই করুক না কেন, যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন দুর্নীতি, অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, জনগণের কল্যান বিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে শেখ হাসিনা কার্পন্য করবেন না। এই সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেল। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের দুজন শীর্ষ পদের দুজনকে সরিয়ে দেয়া একটি নতুন দৃষ্টান্ত। শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন যে, শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। দুর্নীতির ব্যাপারে তিনি কাউকেই প্রশ্রয় দিবেন না। এই বার্তাকে যদি সরকারের উচ্চস্তরের নেতারা আত্তস্থ করতে পারে, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা যদি বুঝতে পারেন এবং সর্বপরি মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা যদি এটা উপলব্ধি করতে পারেন তাহলে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এটা বলাই বাহুল্য।
COMMENTS