মাত্র ৩০ শতাংশ উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়। বাকি ৭০ শতাংশ প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে হতাশ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, আমরা ব্যথা পাই, যখন শুনি ৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হয় না। এটা আমাদের জন্য ভয়ংকর অগ্রহণযোগ্য বিষয়।
রবিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বিশ্ব ব্যাংক আয়োজিত এ কর্মশালার মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রফেশনাল নই, রাজনীতি করি। আমরা বরাদ্দ দিই, পাস করে দিই। আপনারা যারা কাজ করেন। আপনাদের গাড়ির প্রয়োজন, বাসার প্রয়োজন, সেটা জনগণের অর্থ দিয়ে আমরা করে দিই। এর বিনিময়ে আমরা যখন কাজ পাই না, তখন ব্যথা পাই। জনগণের সামনে আপনাদের হয়তো মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়িত মুখোমুখি হতে হয়।
সুশীল সমাজ, সচেতন মানুষ প্রতিনিয়তই বাড়ছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, সরকারি প্রকল্প কাজে কোনো লুকোচুরি করবেন না। সরকার চাইবে, সরকারের প্রতিটি কাজ জনগণের নজরে আসুক এবং জনগণ সেগুলো পরীক্ষা করুক।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা আনা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন, তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। প্রতিটি কাজে জনগণ, সরকারের সৃষ্ট নিয়মকানুনকে প্রতিপালন করে, খোলামেলা পরিবেশে, সবার এক্সেসের মধ্যে সম্পূর্ণ করব। যার ফলে নেতিবাচক যে ধারণা আছে, সময়মতো কাজ হয় না, ডিলেমি হয়, দুর্নীতি হয়- সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দূর করতে পারব।
আইএমইডির সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, প্রতিটি কাগজ যথাযথভাবে দেখবেন। আমরা চেষ্টা করব বা দেখব, যে অভিযোটা আসল সেটা যেন তলিয়ে গিয়ে মনোযোগের সঙ্গে দেখি। সেটা যেন সমাধানের চেষ্টা করি।
কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে কেনাকাটা করায় ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাশ্রয় হয়েছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম (সরকারি তহবিলের অর্থে কেনাকাটা) অনুসরণ করায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে ক্রয় করার সময়ও কম লাগছে। আগে যেখানে গড় সময় লাগতো ৯৪ দিন, এখন তা কমে ৫৯ দিনে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়। বাকি ৭০ শতাংশ প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়ন টেমবন বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্টে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংক খুশি। এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ৭০ ভাগ প্রকল্প সময়মতো শেষ হয় না। যেকোনো মূল্যে প্রকল্পের কাজ সময়মতো শেষ করা খুবই প্রয়োজন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সিদ্দিকী ও প্যাটেল আরমিন তৃপ্তি।
রবিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বিশ্ব ব্যাংক আয়োজিত এ কর্মশালার মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রফেশনাল নই, রাজনীতি করি। আমরা বরাদ্দ দিই, পাস করে দিই। আপনারা যারা কাজ করেন। আপনাদের গাড়ির প্রয়োজন, বাসার প্রয়োজন, সেটা জনগণের অর্থ দিয়ে আমরা করে দিই। এর বিনিময়ে আমরা যখন কাজ পাই না, তখন ব্যথা পাই। জনগণের সামনে আপনাদের হয়তো মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়িত মুখোমুখি হতে হয়।
সুশীল সমাজ, সচেতন মানুষ প্রতিনিয়তই বাড়ছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, সরকারি প্রকল্প কাজে কোনো লুকোচুরি করবেন না। সরকার চাইবে, সরকারের প্রতিটি কাজ জনগণের নজরে আসুক এবং জনগণ সেগুলো পরীক্ষা করুক।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা আনা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন, তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। প্রতিটি কাজে জনগণ, সরকারের সৃষ্ট নিয়মকানুনকে প্রতিপালন করে, খোলামেলা পরিবেশে, সবার এক্সেসের মধ্যে সম্পূর্ণ করব। যার ফলে নেতিবাচক যে ধারণা আছে, সময়মতো কাজ হয় না, ডিলেমি হয়, দুর্নীতি হয়- সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দূর করতে পারব।
আইএমইডির সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, প্রতিটি কাগজ যথাযথভাবে দেখবেন। আমরা চেষ্টা করব বা দেখব, যে অভিযোটা আসল সেটা যেন তলিয়ে গিয়ে মনোযোগের সঙ্গে দেখি। সেটা যেন সমাধানের চেষ্টা করি।
কর্মশালায় বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে কেনাকাটা করায় ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সাশ্রয় হয়েছে ৬০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
বিশ্বব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম (সরকারি তহবিলের অর্থে কেনাকাটা) অনুসরণ করায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি তহবিলের অর্থ দিয়ে ক্রয় করার সময়ও কম লাগছে। আগে যেখানে গড় সময় লাগতো ৯৪ দিন, এখন তা কমে ৫৯ দিনে নেমে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করা যায়। বাকি ৭০ শতাংশ প্রকল্প যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়ন টেমবন বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্টে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংক খুশি। এছাড়া পাবলিক প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি-বেসরকারি উভয় সেক্টরের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ৭০ ভাগ প্রকল্প সময়মতো শেষ হয় না। যেকোনো মূল্যে প্রকল্পের কাজ সময়মতো শেষ করা খুবই প্রয়োজন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সিদ্দিকী ও প্যাটেল আরমিন তৃপ্তি।
COMMENTS