আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের ওপর চটেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের এসব নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কাজকর্ম না করার অভিযোগ এনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় যুবলীগের কতিপয় নেতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি যেভাবে দমন করেছি সন্ত্রাসীও সেভাবে দমন করব। গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এসব কথা জানান।
তারা আরও জানান, সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মেয়াদে আওয়ামী লীগের একটি জেলা-উপজেলায়ও সম্মেলন করতে পারনি তোমরা।
তিনি বলেন, একটি মাত্র জেলায় সম্মেলন হয়েছে। এ সময় দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুই সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক কাজে মন্থর গতি ছিল জানালে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের জন্য কি দলীয় কাজ বন্ধ থাকবে? এ সময় শেখ হাসিনা কোন জেলায়-উপজেলায় কখন সম্মেলন হয়েছে কত জেলা-উপজেলা মেয়াদোত্তীর্ণ– সেই তালিকা বের করে পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, এরপর তোমরা না পারলে আমি দলের যারা মহিলা নেত্রী আছে তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেব। এ সময় দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রী সব প্রস্তুত আছে, আপনি অনুমতি দিলে আমরা দ্রুত ডাক দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলব। ট্রেন ইস্টিশনে এলে যেমন সবাই দ্রুত সময়ে উঠে পড়ে, তেমনি সবকিছু হয়ে যাবে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ও টিকিটও রেডি করে রেখেছ।’ এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সম্মেলন নিয়ে কথা বলতে গেলে শেখ হাসিনা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলার সম্মেলন কখন হয়েছে?
সভায় দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পাতায় খাদ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, স্বপনকে আপনি হুইপ বানিয়েছেন আবার খাদ্যমন্ত্রীকেও আপনি দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন স্বপন যদি এ ধরনের স্ট্যাটাস দেয়, তা কি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ নয়। এগুলোরও বিচার হওয়া দরকার। আনোয়ার হোসেনের এ বক্তব্যে নীরব ছিলেন শেখ হাসিনা।
সভায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেন, আমার জন্মদিন উদযাপনের কোনো দরকার নেই। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ তো মাসব্যাপী আপনার জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, চাঁদাবাজির টাকা হালাল করতে এসব কর্মসূচি করছে। চাঁদাবাজির টাকা হালাল করতে আমার জন্য কারও দোয়া করার দরকার নেই। আমিও কারও জন্য দোয়া করতে পারব না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে ঘোরে। অস্ত্র থাকে তার বহরে। ১০-১২ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকেই অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন। এগুলো বন্ধ না করলে, জঙ্গি যেভাবে দমন করেছি, তাদেরও সেভাবে দমন করব। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দলের কোনো উপকার হয় না। বিরোধী দলে থাকতে এগুলো হয়নি।
সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের এসব নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কাজকর্ম না করার অভিযোগ এনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় যুবলীগের কতিপয় নেতার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি যেভাবে দমন করেছি সন্ত্রাসীও সেভাবে দমন করব। গণভবনে অনুষ্ঠিত ওই সভায় উপস্থিত কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এসব কথা জানান।
তারা আরও জানান, সভায় দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই মেয়াদে আওয়ামী লীগের একটি জেলা-উপজেলায়ও সম্মেলন করতে পারনি তোমরা।
তিনি বলেন, একটি মাত্র জেলায় সম্মেলন হয়েছে। এ সময় দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দুই সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক কাজে মন্থর গতি ছিল জানালে শেখ হাসিনা বলেন, এসবের জন্য কি দলীয় কাজ বন্ধ থাকবে? এ সময় শেখ হাসিনা কোন জেলায়-উপজেলায় কখন সম্মেলন হয়েছে কত জেলা-উপজেলা মেয়াদোত্তীর্ণ– সেই তালিকা বের করে পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, এরপর তোমরা না পারলে আমি দলের যারা মহিলা নেত্রী আছে তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেব। এ সময় দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রী সব প্রস্তুত আছে, আপনি অনুমতি দিলে আমরা দ্রুত ডাক দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করে ফেলব। ট্রেন ইস্টিশনে এলে যেমন সবাই দ্রুত সময়ে উঠে পড়ে, তেমনি সবকিছু হয়ে যাবে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ও টিকিটও রেডি করে রেখেছ।’ এ সময় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম তার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সম্মেলন নিয়ে কথা বলতে গেলে শেখ হাসিনা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলার সম্মেলন কখন হয়েছে?
সভায় দলের কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদের ব্যক্তিগত ফেইসবুক পাতায় খাদ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে দেওয়া এক স্ট্যাটাসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, স্বপনকে আপনি হুইপ বানিয়েছেন আবার খাদ্যমন্ত্রীকেও আপনি দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন স্বপন যদি এ ধরনের স্ট্যাটাস দেয়, তা কি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ নয়। এগুলোরও বিচার হওয়া দরকার। আনোয়ার হোসেনের এ বক্তব্যে নীরব ছিলেন শেখ হাসিনা।
সভায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনের প্রসঙ্গ এলে তিনি বলেন, আমার জন্মদিন উদযাপনের কোনো দরকার নেই। এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, যুবলীগ তো মাসব্যাপী আপনার জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, চাঁদাবাজির টাকা হালাল করতে এসব কর্মসূচি করছে। চাঁদাবাজির টাকা হালাল করতে আমার জন্য কারও দোয়া করার দরকার নেই। আমিও কারও জন্য দোয়া করতে পারব না।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ গাড়িতে অস্ত্র নিয়ে ঘোরে। অস্ত্র থাকে তার বহরে। ১০-১২ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে অনেকেই অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন। এগুলো বন্ধ না করলে, জঙ্গি যেভাবে দমন করেছি, তাদেরও সেভাবে দমন করব। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দলের কোনো উপকার হয় না। বিরোধী দলে থাকতে এগুলো হয়নি।
COMMENTS