ভারতে চূড়ান্ত নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪ লাখকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। শনিবার (৩১ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ১৪ লাখ মানুষ বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। ওই ১৪ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কোনো আপোষ করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তবর্তী জেলার বাসিন্দাদের নথি আবার খতিয়ে দেখা উচিত। তারা নথিতে কারচুপি করছে কিনা।
হিমন্তের এই বক্তব্যের পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আসামে। তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, আসামের সংবাদমাধ্যম যুগশঙ্খ জানিয়েছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অপমান করেছেন।এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
এদিকে, এদিকে ভারতের আসাম রাজ্যে শনিবার (৩১ আগস্ট) চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর সিলেট সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলোতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক রয়েছে। যাতে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের কেউ বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারীদের বিজিবির পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ হোসেন জানিয়েছেন, আসামের বিষয় মাথায় রেখেই বিজিবিকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি আসামের পরিস্থিতি যদি কোনো সময় অবনতি হয় তাহলে সেদিকেও আমাদের নজরদারি আছে। সীমান্ত পথ কিংবা অন্য কোনো অবৈধ পথ দিয়ে যদি কোনো ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে তা মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বিজিবির।
তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যাতে আসামে বাদ পড়া নাগরিকদের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে না পড়ে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যাটালিয়ন-১৯ এর আওতাধীন সীমান্তে থাকা বিজিবিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া আছে। সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারীদের এসব বিষয়ে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, জেলা পুলিশের সীমান্তবর্তী থানাগুলো এমনিতেই সবসময় সর্তক থাকে। সেই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় তৎপর থাকে বিজিবি।
তিনি বলেন, ভারতের আসামের বিষয়টি নিয়ে সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবুও বিষয়টি পুলিশের মাথায় রয়েছে। কোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে সেই ব্যবস্থা পুলিশের সবসময় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে সীমান্তবর্তী থানাগুলো হচ্ছে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট। সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি এই থানাগুলোর সীমান্তে রয়েছে ভারতের চোরাই পথ। বিভিন্ন সময় চোরাকারবারিরা এসব পথ ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সেই সঙ্গে অনেক ভারতীয় চোরাকারবারি এসব পথ ব্যবহার করে মানুষও পাচার করে থাকে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া, যুগশঙ্খ
হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ১৪ লাখ মানুষ বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। ওই ১৪ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কোনো আপোষ করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, সীমান্তবর্তী জেলার বাসিন্দাদের নথি আবার খতিয়ে দেখা উচিত। তারা নথিতে কারচুপি করছে কিনা।
হিমন্তের এই বক্তব্যের পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আসামে। তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ বাসিন্দা আতঙ্কে দিনযাপন করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, আসামের সংবাদমাধ্যম যুগশঙ্খ জানিয়েছে, হিমন্ত বিশ্বশর্মার ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল খালেক।
তিনি বলেন, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে অপমান করেছেন।এজন্য তার পদত্যাগ করা উচিত।
এদিকে, এদিকে ভারতের আসাম রাজ্যে শনিবার (৩১ আগস্ট) চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা প্রকাশের পর সিলেট সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী থানা এলাকাগুলোতে বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও সতর্ক রয়েছে। যাতে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের কেউ বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারীদের বিজিবির পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ হোসেন জানিয়েছেন, আসামের বিষয় মাথায় রেখেই বিজিবিকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এমনকি আসামের পরিস্থিতি যদি কোনো সময় অবনতি হয় তাহলে সেদিকেও আমাদের নজরদারি আছে। সীমান্ত পথ কিংবা অন্য কোনো অবৈধ পথ দিয়ে যদি কোনো ভারতীয় নাগরিকদের পুশ-ইন করার চেষ্টা করা হয় তাহলে তা মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে বিজিবির।
তিনি আরো বলেন, সীমান্ত এলাকায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিজিবি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। যাতে আসামে বাদ পড়া নাগরিকদের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে না পড়ে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ব্যাটালিয়ন-১৯ এর আওতাধীন সীমান্তে থাকা বিজিবিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া আছে। সেই সঙ্গে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বসবাসকারীদের এসব বিষয়ে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, জেলা পুলিশের সীমান্তবর্তী থানাগুলো এমনিতেই সবসময় সর্তক থাকে। সেই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় তৎপর থাকে বিজিবি।
তিনি বলেন, ভারতের আসামের বিষয়টি নিয়ে সিলেটের সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রভাব পড়ার কথা নয়। তবুও বিষয়টি পুলিশের মাথায় রয়েছে। কোনো কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে সেই ব্যবস্থা পুলিশের সবসময় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিলেটের ১৩টি উপজেলার মধ্যে সীমান্তবর্তী থানাগুলো হচ্ছে গোয়াইনঘাট, জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট। সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি এই থানাগুলোর সীমান্তে রয়েছে ভারতের চোরাই পথ। বিভিন্ন সময় চোরাকারবারিরা এসব পথ ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। সেই সঙ্গে অনেক ভারতীয় চোরাকারবারি এসব পথ ব্যবহার করে মানুষও পাচার করে থাকে।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া, যুগশঙ্খ
COMMENTS