ডেস্ক রিপোর্ট ● খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সঙ্গে একাধিক অ’স্ত্রবহন করে চলাফেরা করায় আলোচনায় ছিলেন সব সময়। একটি অ’স্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও বাকি দুটির নিবন্ধন ছিল না। মদ, জুয়া, ক্যাসিনো থেকে অ’বৈধভাবে উপার্জন করেছেন কোটি কোটি টাকা।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিগন্যালে তাকে ধরতে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আত্মগোপনে চলে যান খালেদ। বন্ধ করে দেন তার ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন।
কোনোভাবেই সন্ধান মিলছিল না তার। তাই তাকে ধরতে একাধিক ‘রক্ষিতাকে’ কাজে লাগায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাতেই সফল হয় র্যাব। গত বুধবার বাহিনীটির হাতে আটক হন এই যুবলীগ নেতা।
র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, তাকে ধরতে বিকল্পপন্থা অবলম্বন করা হয়। একাধিক ‘রক্ষিতাকে’ রেকি করে বাহিনীটি। কারণ শুধু দুই ‘রক্ষিতা’ জানত খালেদের অবস্থান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার খালেদকে ধরতে অভিযানে নামে র্যাব। কিন্তু সেই অভিযানটি বিফল হয়। তাকে গ্রে’প্তারের চেষ্টার বিষয়টি খালেদ বুঝে ফেলে।
পরে খালেদের ক্যাসিনো থেকে দুই নারীকে দিয়ে আবারও রেকি করা হয়। অভিযানের সময় খালেদ গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের চার নম্বর বাসায় আছে বলে র্যাবকে নিশ্চিত করেন দুই নারী।’
‘সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের একাধিক টিম গুলশানে খালেদের বাসভবন ঘিরে ফেলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করে র্যাব সদস্যরা। তাকে গ্রে’প্তার করা হয়।
হাতে পড়িয়ে ফেলা হয় হ্যান্ডকাপ। র্যাবের কাছে নিজের ক্ষমতার দাম্ভিকতা প্রকাশের চেষ্টা করেও সফল হননি। এ সময় খালেদ একটি জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন।’
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, তাকে গ্রে’প্তারের পর পরই শুরু হয় তল্লাশী। উদ্ধার হয় একটি শর্টগাটন, শর্টগাটনের ৫৮ রাটউন্ড গুটলি, দুটি পিটস্তল ও প্রায় ৬১ রাটউন্ড পিটস্তলের গুটলি। ঘরে থাকা লকার থেকে নগদ ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, ডলারের বান্ডিল (ছয় লাখ টাকার মতো), চারটি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট।
একঘন্টার মধ্যে অভিযান শেষ করে তাকে র্যাব হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জেরা করা হয় তাকে। ক্যাসিনো থেকে উপার্জনের টাকা কার কার কাছে যেত, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।
এর আগে ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৪২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
ক্যাসিনো থেকে উদ্ধার করা হয় ক্যাসিনো খেলার দশটি এনালক বোর্ড ও ছয়টি ডিজিটাল বোর্ড। এ ছাড়া নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে ৫০ বোতল বিদেশি ম’দ ও বিয়ার উদ্ধার করে র্যাব। পরে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এই দুই নারী কারা
ইয়ংমেনস ক্লাবে র্যাবের অভিযানে ১৪২জনের সঙ্গে আটক হন দুই তরুণী। এরমধ্যে একজন নিজেকে রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী বলে পরিচয় দেন।
তাদের দাবি, পেটের তাগিদে এখানে তারা চাকরি করতেন। ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে তাদের এখানে ডিউটি করতে হতো। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বারো ঘন্টা তাদের ডিউটি থাকতো। চাকরি প্রথম শর্ত ছিল ক্যাসিনো বোর্ডে বিদেশী ড্রেস পড়ে থাকতে হবে।
নাম প্রকাশ না শর্তে ওই দুই তরুণী জানান, রিসেপশনিস্ট হিসেবে একজন ২১ হাজার টাকা বেতন পেতেন। আর কার্ড বিতরণকারী হিসেবে দশ হাজার টাকা পেতেন মাসে।
তারা দুইজনই মালিকের আস্থাভাজন ছিলেন। খালেদ কোথায় যেতেন বা কখন ক্লাবে আসবেন সব জানত তারা। তাদের চাকরির বিষয় স্বামীরাও জানতেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না। এ প্রতিবেদককে তারা দুজনই বলেন, ‘আর সংসারে ফেরা হবে না। কেউ আর মেনে নিবে না। সব শেষ।’
র্যাব দেখে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার
এদিকে বুধবারের ওই অভিযানের সময় এই দুই তরুণী র্যাব দেখে ডাকাত, ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। এসময় ক্যাসিনোতে একটা হুলস্থুল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।
যাতে র্যাব সদস্যরা কাউকে ধরতে না পারে বা গুলি না করতে পারে। এই সুযোগে ভিতরে থাকা সবাই পালাতে পারে। পরে দুইজনকে গ্রে’প্তার করে অন্য একটি কেবিন রুমে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দুইজনের কাছ থেকে খালেদ ভূঁইয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয় র্যাব।
টর্চার সেল
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চলাকালে র্যাবের একটি দল টর্চার সেলের সন্ধান পায়। কমলাপুর রেলস্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারের ওই টর্চার সেলে নির্যাতনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।
জানা যায়, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। উচ্চমাত্রায় সুদসহ পাওনা টাকা আদায়ে সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো এই টর্চার সেল।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, ‘খালেদের টর্চার সেলে অভিযান চলমান রয়েছে। এখানে যা দেখছি লোম শিউরে ওঠার মতো অবস্থা।’
অভিযানে থাকা র্যাবের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমরা একজন ভুক্তভোগী পেয়েছি। যার কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শুনে আমরা হতবাগ হয়েছি। তাকে ওই অফিসে ধরে এনে প্রথমে গলায় সাপ পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। পরে বৈদ্যুত্যিক তার শরীরে পেচিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকবার শক দেওয়া হওয়ার পরে একটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়।’
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধে ‘জ্যামার’
ফকিরাপুলে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ‘ইয়ং মেনস ক্লাব’ ক্যাসিনোতে অভিযানে গিয়ে র্যাবও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ সেখানে সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। কারণ সেখানে ‘জ্যামার’ বসানো ছিলো।
প্রথমে বিষয়টি নজরে না এলেও পরে বেশ কয়েকটি জ্যামারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক ছিল না। গ্রে’প্তার ক্লাবের এক কর্মচারি জানান, এখানে প্রবেশ করতে হলে তিনস্তরে নিরাপত্তায় পড়তে হতো। কেউ যাতে ক্যাসিনো খেলার কোন তথ্য বাইরে দিতে না পারে সে জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হতো। এজন্য বেশ কয়েকটি যন্ত্র (জ্যামার) বসানো হয়েছিল।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিগন্যালে তাকে ধরতে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চেষ্টা চালাচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আত্মগোপনে চলে যান খালেদ। বন্ধ করে দেন তার ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন।
কোনোভাবেই সন্ধান মিলছিল না তার। তাই তাকে ধরতে একাধিক ‘রক্ষিতাকে’ কাজে লাগায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাতেই সফল হয় র্যাব। গত বুধবার বাহিনীটির হাতে আটক হন এই যুবলীগ নেতা।
র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, তাকে ধরতে বিকল্পপন্থা অবলম্বন করা হয়। একাধিক ‘রক্ষিতাকে’ রেকি করে বাহিনীটি। কারণ শুধু দুই ‘রক্ষিতা’ জানত খালেদের অবস্থান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক র্যাবের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘গত মঙ্গলবার খালেদকে ধরতে অভিযানে নামে র্যাব। কিন্তু সেই অভিযানটি বিফল হয়। তাকে গ্রে’প্তারের চেষ্টার বিষয়টি খালেদ বুঝে ফেলে।
পরে খালেদের ক্যাসিনো থেকে দুই নারীকে দিয়ে আবারও রেকি করা হয়। অভিযানের সময় খালেদ গুলশান-২ এর ৫৯ নম্বর রোডের চার নম্বর বাসায় আছে বলে র্যাবকে নিশ্চিত করেন দুই নারী।’
‘সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের একাধিক টিম গুলশানে খালেদের বাসভবন ঘিরে ফেলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাড়িতে প্রবেশ করে র্যাব সদস্যরা। তাকে গ্রে’প্তার করা হয়।
হাতে পড়িয়ে ফেলা হয় হ্যান্ডকাপ। র্যাবের কাছে নিজের ক্ষমতার দাম্ভিকতা প্রকাশের চেষ্টা করেও সফল হননি। এ সময় খালেদ একটি জিন্সের প্যান্ট ও টি-শার্ট পরিহিত ছিলেন।’
র্যাবের কর্মকর্তারা জানান, তাকে গ্রে’প্তারের পর পরই শুরু হয় তল্লাশী। উদ্ধার হয় একটি শর্টগাটন, শর্টগাটনের ৫৮ রাটউন্ড গুটলি, দুটি পিটস্তল ও প্রায় ৬১ রাটউন্ড পিটস্তলের গুটলি। ঘরে থাকা লকার থেকে নগদ ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা, ডলারের বান্ডিল (ছয় লাখ টাকার মতো), চারটি মোবাইল ফোন এবং পাসপোর্ট।
একঘন্টার মধ্যে অভিযান শেষ করে তাকে র্যাব হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে জেরা করা হয় তাকে। ক্যাসিনো থেকে উপার্জনের টাকা কার কার কাছে যেত, সে নিয়েও প্রশ্ন করা হয়।
এর আগে ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ক্যাসিনোতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ১৪২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
ক্যাসিনো থেকে উদ্ধার করা হয় ক্যাসিনো খেলার দশটি এনালক বোর্ড ও ছয়টি ডিজিটাল বোর্ড। এ ছাড়া নগদ ২৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে ৫০ বোতল বিদেশি ম’দ ও বিয়ার উদ্ধার করে র্যাব। পরে সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
এই দুই নারী কারা
ইয়ংমেনস ক্লাবে র্যাবের অভিযানে ১৪২জনের সঙ্গে আটক হন দুই তরুণী। এরমধ্যে একজন নিজেকে রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী বলে পরিচয় দেন।
তাদের দাবি, পেটের তাগিদে এখানে তারা চাকরি করতেন। ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়ে তাদের এখানে ডিউটি করতে হতো। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বারো ঘন্টা তাদের ডিউটি থাকতো। চাকরি প্রথম শর্ত ছিল ক্যাসিনো বোর্ডে বিদেশী ড্রেস পড়ে থাকতে হবে।
নাম প্রকাশ না শর্তে ওই দুই তরুণী জানান, রিসেপশনিস্ট হিসেবে একজন ২১ হাজার টাকা বেতন পেতেন। আর কার্ড বিতরণকারী হিসেবে দশ হাজার টাকা পেতেন মাসে।
তারা দুইজনই মালিকের আস্থাভাজন ছিলেন। খালেদ কোথায় যেতেন বা কখন ক্লাবে আসবেন সব জানত তারা। তাদের চাকরির বিষয় স্বামীরাও জানতেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না। এ প্রতিবেদককে তারা দুজনই বলেন, ‘আর সংসারে ফেরা হবে না। কেউ আর মেনে নিবে না। সব শেষ।’
র্যাব দেখে ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার
এদিকে বুধবারের ওই অভিযানের সময় এই দুই তরুণী র্যাব দেখে ডাকাত, ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। এসময় ক্যাসিনোতে একটা হুলস্থুল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।
যাতে র্যাব সদস্যরা কাউকে ধরতে না পারে বা গুলি না করতে পারে। এই সুযোগে ভিতরে থাকা সবাই পালাতে পারে। পরে দুইজনকে গ্রে’প্তার করে অন্য একটি কেবিন রুমে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দুইজনের কাছ থেকে খালেদ ভূঁইয়ার অবস্থান নিশ্চিত হয় র্যাব।
টর্চার সেল
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বাড়িতে অভিযান চলাকালে র্যাবের একটি দল টর্চার সেলের সন্ধান পায়। কমলাপুর রেলস্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারের ওই টর্চার সেলে নির্যাতনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।
জানা যায়, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। উচ্চমাত্রায় সুদসহ পাওনা টাকা আদায়ে সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো এই টর্চার সেল।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, ‘খালেদের টর্চার সেলে অভিযান চলমান রয়েছে। এখানে যা দেখছি লোম শিউরে ওঠার মতো অবস্থা।’
অভিযানে থাকা র্যাবের আরেক কর্মকর্তা বলেন, আমরা একজন ভুক্তভোগী পেয়েছি। যার কাছ থেকে নির্যাতনের বর্ণনা শুনে আমরা হতবাগ হয়েছি। তাকে ওই অফিসে ধরে এনে প্রথমে গলায় সাপ পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। পরে বৈদ্যুত্যিক তার শরীরে পেচিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বেশ কয়েকবার শক দেওয়া হওয়ার পরে একটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়।’
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধে ‘জ্যামার’
ফকিরাপুলে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ‘ইয়ং মেনস ক্লাব’ ক্যাসিনোতে অভিযানে গিয়ে র্যাবও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কারণ সেখানে সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ ছিল। কারণ সেখানে ‘জ্যামার’ বসানো ছিলো।
প্রথমে বিষয়টি নজরে না এলেও পরে বেশ কয়েকটি জ্যামারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক ছিল না। গ্রে’প্তার ক্লাবের এক কর্মচারি জানান, এখানে প্রবেশ করতে হলে তিনস্তরে নিরাপত্তায় পড়তে হতো। কেউ যাতে ক্যাসিনো খেলার কোন তথ্য বাইরে দিতে না পারে সে জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হতো। এজন্য বেশ কয়েকটি যন্ত্র (জ্যামার) বসানো হয়েছিল।
COMMENTS