বাংলাদেশ ক্রিকেটের সময় এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না। বিশ্বকাপ, শ্রীলংকা সফরে ব্যর্থতার পর ঘরের মাঠে নবীন দল আফগানিস্তানের কাছে টেস্ট ম্যাচে হেরেছেন টাইগাররা। অবশ্য ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সামনে ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ। সফরের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের দলও ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর ক্যাম্প শুরু হবে। চলছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২১তম আসর। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। বাংলাদেশ ক্রিকেটের আকাশে কালো মেঘ। বল-ব্যাট-প্যাড রেখে মাঠ ছেড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের মিছিলে যোগ দিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নানা সিদ্ধান্তে ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। ছিল বিসিবির নানা অসঙ্গতিতে অসন্তুষ্টি। জমায়িত ক্ষোভ-হতাশার বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটল। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে একাত্ম হন
তারকা ক্রিকেটারসহ অন্তত ৬০ জন। সংবাদমাধ্যমের সামনে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে ধর্মঘটের ডাক দিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। দাবি মানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আলটিমেটাম দেন। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন না ক্রিকেটাররা।
এদিকে বিসিবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এর আগে ১৯৯৮ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে ২০০০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ আইসিসির টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো একাত্ম হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন ক্রিকেটাররা। এ ঘটনায় দেশ ও বিদেশে আলোড়ন হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, এ বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ধর্মঘট ভারত সিরিজে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
মিরপুরে দুপুরে একত্র হন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। বিসিবির নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অসঙ্গতি তুলে ধরেন তারা। ক্রিকেটারদের জন্য রয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নামে সংগঠন। ক্রিকেটারদের সুবিধা-অসুবিধার পক্ষে কাজ করে সংগঠনটি। এ সংগঠনের বর্তমান কমিটির প্রতি আস্থা নেই সাকিবদের। তাদের প্রথম দাবি হলোÑ কোয়াবের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার। এ ছাড়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আরও খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তি। দেশের কোচ থেকে গ্রাউন্ডসম্যান সব স্টাফের বেতন বাড়ানো। বিপিএলের মতো আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন। এক মৌসুম পর বিপিএল আগের নিয়মে ও দেশের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার এবং প্রিমিয়ার লিগের বকেয়া পাওনা ঠিকমতো পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ক্রিকেটাররা। সংবাদমাধ্যমের সামনে সবার আগে প্রথম দাবি উপস্থাপন করেন নাঈম ইসলাম। এর পর ধারাবাহিকভাবে পরের দাবিগুলো উপস্থাপন করেনÑ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, এনামুল হক জুনিয়র, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, জুনায়েদ সিদ্দিক ও ফরহাদ রেজা।
১১ দফা দাবি উপস্থাপন শেষে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এই ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত এবং সেটি আজ (গতকাল) থেকেই শুরু। জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে প্র্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, জাতীয় দলের প্রস্তুতি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবই এ ধর্মঘটের আওতাভুক্ত। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের জন্য এ ধর্মঘট আওতামুক্ত থাকবে। সাকিব জানান, এ ধর্মঘটে নারী ক্রিকেটাররাও একাত্ম হতে পারবেন। সময় কম থাকায় নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সমাধান আশা করেন সাকিব। দাবি মানা হলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবেন তারা। সাকিব বলেন, ‘আমরাও সবাই চাই ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে ক্রিকেটারদের কেউ তিন-চার বছর খেলবে, কেউ ১০ বছর আছে। যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের জন্য আমরা একটি ভালো পরিবেশ রেখে যেতে চাই। যেখান থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে।’
ক্রিকেটাররা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তা বিদ্রোহ মনে করেন না বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে জমায়িত ক্ষোভ এভাবে বিস্ফোরিত হবেÑ তা আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি ক্রিকেট বোর্ড। এ সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে যতদ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেবে বিসিবি। নিজামউদ্দিন বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি; আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়রা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দাবিগুলো লিখিত পেলে বোর্ডে আলোচনা করব। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নানা সময়ে এসেছে এবং আমাদের চেষ্টা থাকে যতটুকু সম্ভব তা সুরাহা করার। আজকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা বিষয়টি বোর্ডে আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরাহার চেষ্টা করব।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের দাবি নিয়ে আমার যোগাযোগ হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করে সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তারা হার্ডলাইনে না গিয়ে বিসিবিকে লিখিতভাবে জানাতে পারতেন। অথবা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমাকে অবহিত করতে পারতেন।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বর্তমান সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, সব সময় ক্রিকেটারদের পক্ষে কথা বলে আসছেন তারা। শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটার নন; প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়েও কাজ করছেন। সাকিবদের অধিকাংশ দাবি যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি। আগে বোর্ডসভায় এ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুর্জয় বলেন, তাদের অধিকাংশ দাবির যৌক্তিকতা আছে। তবে তারা একটু আলোচনা করে নিতে পারতেন। যেসব দাবি তারা উপস্থাপন করেছেন, এগুলো অধিকাংশই বোর্ডসভায় আমরা আলোচনা করেছি। তবে এভাবে তাদের আন্দোলনে যাওয়াটা দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি। সাকিবদের প্রথম দাবিÑ কোয়াবের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার। তা হলে আপনি কী সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে দুর্জয় বলেন, অবশ্যই না। তবে এ দায়িত্বে থাকতে চাই না। আমি আগেও তাদের (ক্রিকেটারদের) বলেছিÑ নতুন কেউ নেতৃত্বে আসুক নির্বাচনের মাধ্যমে। আগামীকাল (আজ) বোর্ডে এ ব্যাপারে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জানাব।
তারকা ক্রিকেটারসহ অন্তত ৬০ জন। সংবাদমাধ্যমের সামনে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করে ধর্মঘটের ডাক দিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা। দাবি মানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আলটিমেটাম দেন। দাবিগুলো না মানা পর্যন্ত জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের প্রস্তুতি ও আন্তর্জাতিক সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন না ক্রিকেটাররা।
এদিকে বিসিবি দ্রুত সময়ের মধ্যে সব দাবি পূরণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে এর আগে ১৯৯৮ সালে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। তবে ২০০০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ আইসিসির টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো একাত্ম হয়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন ক্রিকেটাররা। এ ঘটনায় দেশ ও বিদেশে আলোড়ন হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী বলেন, এ বিষয়ে আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ধর্মঘট ভারত সিরিজে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
মিরপুরে দুপুরে একত্র হন বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। বিসিবির নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অসঙ্গতি তুলে ধরেন তারা। ক্রিকেটারদের জন্য রয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) নামে সংগঠন। ক্রিকেটারদের সুবিধা-অসুবিধার পক্ষে কাজ করে সংগঠনটি। এ সংগঠনের বর্তমান কমিটির প্রতি আস্থা নেই সাকিবদের। তাদের প্রথম দাবি হলোÑ কোয়াবের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার। এ ছাড়া ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আরও খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্তি। দেশের কোচ থেকে গ্রাউন্ডসম্যান সব স্টাফের বেতন বাড়ানো। বিপিএলের মতো আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন। এক মৌসুম পর বিপিএল আগের নিয়মে ও দেশের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডার এবং প্রিমিয়ার লিগের বকেয়া পাওনা ঠিকমতো পরিশোধসহ ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ক্রিকেটাররা। সংবাদমাধ্যমের সামনে সবার আগে প্রথম দাবি উপস্থাপন করেন নাঈম ইসলাম। এর পর ধারাবাহিকভাবে পরের দাবিগুলো উপস্থাপন করেনÑ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, এনামুল হক জুনিয়র, তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, জুনায়েদ সিদ্দিক ও ফরহাদ রেজা।
১১ দফা দাবি উপস্থাপন শেষে বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানান, জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এই ধর্মঘটের অন্তর্ভুক্ত এবং সেটি আজ (গতকাল) থেকেই শুরু। জাতীয় লিগ থেকে শুরু করে প্র্রথম শ্রেণির ক্রিকেট, জাতীয় দলের প্রস্তুতি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সবই এ ধর্মঘটের আওতাভুক্ত। তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের জন্য এ ধর্মঘট আওতামুক্ত থাকবে। সাকিব জানান, এ ধর্মঘটে নারী ক্রিকেটাররাও একাত্ম হতে পারবেন। সময় কম থাকায় নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সমাধান আশা করেন সাকিব। দাবি মানা হলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবেন তারা। সাকিব বলেন, ‘আমরাও সবাই চাই ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে ক্রিকেটারদের কেউ তিন-চার বছর খেলবে, কেউ ১০ বছর আছে। যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের জন্য আমরা একটি ভালো পরিবেশ রেখে যেতে চাই। যেখান থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে।’
ক্রিকেটাররা ধর্মঘটের ডাক দিলেও তা বিদ্রোহ মনে করেন না বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে জমায়িত ক্ষোভ এভাবে বিস্ফোরিত হবেÑ তা আগে থেকে আঁচ করতে পারেনি ক্রিকেট বোর্ড। এ সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে যতদ্রুত সম্ভব পদক্ষেপ নেবে বিসিবি। নিজামউদ্দিন বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি; আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি। অবশ্যই আমাদের খেলোয়াড়রা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দাবিগুলো লিখিত পেলে বোর্ডে আলোচনা করব। পরবর্তী সময়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও বলেন, খেলোয়াড়দের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নানা সময়ে এসেছে এবং আমাদের চেষ্টা থাকে যতটুকু সম্ভব তা সুরাহা করার। আজকের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা বিষয়টি বোর্ডে আলোচনা করব। সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুরাহার চেষ্টা করব।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের দাবি নিয়ে আমার যোগাযোগ হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করে সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তারা হার্ডলাইনে না গিয়ে বিসিবিকে লিখিতভাবে জানাতে পারতেন। অথবা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমাকে অবহিত করতে পারতেন।
বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) বর্তমান সভাপতি নাঈমুর রহমান দুর্জয় জানান, সব সময় ক্রিকেটারদের পক্ষে কথা বলে আসছেন তারা। শুধু জাতীয় দলের ক্রিকেটার নন; প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগে খেলা ক্রিকেটারদের নিয়েও কাজ করছেন। সাকিবদের অধিকাংশ দাবি যৌক্তিক বলে মনে করেন তিনি। আগে বোর্ডসভায় এ সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুর্জয় বলেন, তাদের অধিকাংশ দাবির যৌক্তিকতা আছে। তবে তারা একটু আলোচনা করে নিতে পারতেন। যেসব দাবি তারা উপস্থাপন করেছেন, এগুলো অধিকাংশই বোর্ডসভায় আমরা আলোচনা করেছি। তবে এভাবে তাদের আন্দোলনে যাওয়াটা দুঃখজনক বলে মনে করেন তিনি। সাকিবদের প্রথম দাবিÑ কোয়াবের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার। তা হলে আপনি কী সভাপতির দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে দুর্জয় বলেন, অবশ্যই না। তবে এ দায়িত্বে থাকতে চাই না। আমি আগেও তাদের (ক্রিকেটারদের) বলেছিÑ নতুন কেউ নেতৃত্বে আসুক নির্বাচনের মাধ্যমে। আগামীকাল (আজ) বোর্ডে এ ব্যাপারে আমরা সংবাদ সম্মেলন করে জানাব।
COMMENTS