শহরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যেকোনো নগর দুর্যোগে প্রাথমিক ও তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানে ৬২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ‘নগর স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাহাদৎ হোসেন এবং মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সেবা দিতে গিয়ে কেউ যদি মৃত্যু বরণ করেন, তবে তার দায়িত্ব¡ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সরকারকে দেয়া উচিত। যেন পরিবার তার বিয়োজন টের না পায়, তার সন্তানের লেখা পড়া বন্ধ না হয়ে যায়।
মেয়র বলেন, দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মানুষের সেবা করা সৌভাগ্যের ব্যাপার। রোভার স্কাউটসহ দেশের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে দেশের সর্বাধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরাও সাধ্যমতো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছি। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপামর জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দ্রুত নগরায়ন প্রক্রিয়ার সাথে সাথে নগরবাসী নিত্য নতুন দুর্যোগ যেমন অগ্নিকাণ্ড, ভবনধ্বস, শহরের জলাবদ্ধতা, রাসায়নিক বিস্ফোরণ ইত্যাদির সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে শহরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যেকোনো নগর দুর্যোগে প্রাথমিক ও তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানে সরকার ৬২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ সকল স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য কোনো একক নির্দেশনা নেই। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্দেশ্যে নগর স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কাজে নগর দুর্যোগ নিয়ে কাজ করেন এমন অংশীজনদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে এটি সময়ানুগ চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাতিষ্ঠানিকতার প্রয়োজনীয়তা ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর অনুভূত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে ১ জুলাই ১৯৭৩ হতে কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ‘নগর স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাহাদৎ হোসেন এবং মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সেবা দিতে গিয়ে কেউ যদি মৃত্যু বরণ করেন, তবে তার দায়িত্ব¡ সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সরকারকে দেয়া উচিত। যেন পরিবার তার বিয়োজন টের না পায়, তার সন্তানের লেখা পড়া বন্ধ না হয়ে যায়।
মেয়র বলেন, দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মানুষের সেবা করা সৌভাগ্যের ব্যাপার। রোভার স্কাউটসহ দেশের বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনগুলো নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এই কাজে দেশের সর্বাধুনিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরাও সাধ্যমতো ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছি। এসময় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আপামর জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দ্রুত নগরায়ন প্রক্রিয়ার সাথে সাথে নগরবাসী নিত্য নতুন দুর্যোগ যেমন অগ্নিকাণ্ড, ভবনধ্বস, শহরের জলাবদ্ধতা, রাসায়নিক বিস্ফোরণ ইত্যাদির সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে শহরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যেকোনো নগর দুর্যোগে প্রাথমিক ও তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানে সরকার ৬২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলার প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে এবং তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত এ সকল স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিতভাবে পরিচালনার জন্য কোনো একক নির্দেশনা নেই। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্দেশ্যে নগর স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কাজে নগর দুর্যোগ নিয়ে কাজ করেন এমন অংশীজনদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতে এটি সময়ানুগ চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রাতিষ্ঠানিকতার প্রয়োজনীয়তা ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পর অনুভূত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় জনসাধারণের জানমাল রক্ষার্থে ১ জুলাই ১৯৭৩ হতে কর্মসূচিটি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা আজ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
COMMENTS