ডেস্ক রিপোর্টঃ ২০০৬। ২১ নভেম্বর। সারাদেশে টানটান উত্তেজনা, আন্দোলন সংগ্রাম। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মুখোমুখি অবস্থানে। ঠিক এরকম একটি সময়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে চা-চক্র চলছে, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদায় নিবেন। এসময় কয়েকজন উর্ধতন ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কিছু কথা বলতে চাইলেন। সেখানেই ঘরোয়া আলাপচারিতা হলো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। তারা বেগম জিয়াকে অনুরোধ করলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে কেননা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই।
তাছাড়া এরকম নির্বাচনের পরে দেশে অশান্তি এমন পর্যায়ে যাবে যে গৃহযুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এরকম বাস্তবতায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করাই যৌক্তিক বলে ওইসমস্ত ব্যক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বেগম খালেদা জিয়া তা নাকচ করে দিলেন এবং তাঁদেরকে কিছুটা ধমকও দিলেন। এই ধরণের ‘ধৃষ্টতামূলক’ কথা বলার জন্য ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন। এর কয়েকদিন পরই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনকে অগণতান্ত্রিক, অনির্বাচিত শাসনের একটি প্রতীক নাম হিসেবে বলা হয়।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, ওয়ান ইলেভেন দরকার নেই, আমিই অনিয়ম বন্ধ করব। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিই পারে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে, রাজনীতিই পারে সব আবর্জনা পরিষ্কার করতে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যটি তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহক।
লা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশকিছু উর্ধতন ব্যক্তি শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার মত নালিশগুলোকে উড়িয়ে দেননি, প্রত্যাখ্যান করেননি, পাল্টা ধমকও দেননি। বরং তিনি সেই নালিশগুলোকে আমলে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, শেখ হাসিনার কাছে রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মোটাদাগে চারটি বিষয় উত্থাপন করেছিলেন।
১. আওয়ামী লীগের কিছু নেতা দুর্বিনীত দানবে পরিণত হয়েছেন।
২. আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের খবরদারি বেড়েছে। তারফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রশাসন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না।
৩. টেন্ডার নিয়োগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। যারফলে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
৪. কিছু কিছু নেতা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সাম্রাজ্য তৈরি করেছে।
এই অভিযোগের সঙ্গে তারা কিছু তথ্য প্রমাণও হাজির করেছিলেন। এইসমস্ত তথ্য প্রমানের মধ্যে অডিও ক্লিপ ছিল, ভিডিও ছিল, দলিল দস্তাবেজ ছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভালো পাঠক হিসেবেও যার সুনাম আছে তিনি কাগজপত্রগুলো নেন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়াশুনা করেন, যাচাই বাছাই করেন এবং তারপর তিনি শুদ্ধি অভিযানের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ভেতর কিছু কিছু নেতা অসদাচরণ করেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে সেটা তিনি জানতেন কিন্তু এরকম ব্যাপকহারে দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সেটি তাঁর অজানা ছিল। তিনি এসব জানার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঘোষণা দেন।
অবশ্য কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি চেয়েছিলেন যে, এদেরকে আগেই চিহ্নিত করা হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এজন্য তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চেয়ারম্যানকে ডেকেছিলেন এবং ডেকে তিনি যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হোসেন ভুঁইয়ার কিছু ছবি দেখিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের কথাও যুবলীগ চেয়ারম্যানকে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু যুবলীগ চেয়ারম্যান এ ব্যপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
তাঁর দুদিন পরই যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সেটির সূত্র ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেন যে, দলের মধ্যে কিছু দানব তৈরি হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বৈঠকে তিনি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
এই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা একটা বিষয় স্পষ্ট করেছেন যে, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি এবং অপরাধমূলক কাজের ব্যাপারে তাঁর কোন সমর্থন নাই। এখানে তিনি শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করেছেন।
দ্বিতীয়ত তিনি একটা বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে সঠিক শুদ্ধি অভিযান হয়না। রাজনীতিই পারে, রাজনীতিকে শুদ্ধি করতে এবং এই শুদ্ধি অভিযান এভাবেই শুরু হয়েছে এবং দেশ একটি ওয়ান ইলেভেনের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে।
তাছাড়া এরকম নির্বাচনের পরে দেশে অশান্তি এমন পর্যায়ে যাবে যে গৃহযুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। এরকম বাস্তবতায় নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করাই যৌক্তিক বলে ওইসমস্ত ব্যক্তিরা অভিমত ব্যক্ত করেন। বেগম খালেদা জিয়া তা নাকচ করে দিলেন এবং তাঁদেরকে কিছুটা ধমকও দিলেন। এই ধরণের ‘ধৃষ্টতামূলক’ কথা বলার জন্য ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন। এর কয়েকদিন পরই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন এসেছিল। বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেনকে অগণতান্ত্রিক, অনির্বাচিত শাসনের একটি প্রতীক নাম হিসেবে বলা হয়।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে, ওয়ান ইলেভেন দরকার নেই, আমিই অনিয়ম বন্ধ করব। তিনি আরও বলেন, রাজনীতিই পারে দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে, রাজনীতিই পারে সব আবর্জনা পরিষ্কার করতে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যটি তাৎপর্যপূর্ণ এবং ইঙ্গিতবাহক।
লা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশকিছু উর্ধতন ব্যক্তি শেখ হাসিনার কাছে নালিশ করেছিলেন। শেখ হাসিনা বেগম খালেদা জিয়ার মত নালিশগুলোকে উড়িয়ে দেননি, প্রত্যাখ্যান করেননি, পাল্টা ধমকও দেননি। বরং তিনি সেই নালিশগুলোকে আমলে নিয়েছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, শেখ হাসিনার কাছে রাষ্ট্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মোটাদাগে চারটি বিষয় উত্থাপন করেছিলেন।
১. আওয়ামী লীগের কিছু নেতা দুর্বিনীত দানবে পরিণত হয়েছেন।
২. আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের খবরদারি বেড়েছে। তারফলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং প্রশাসন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না।
৩. টেন্ডার নিয়োগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। যারফলে জন অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।
৪. কিছু কিছু নেতা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের সাম্রাজ্য তৈরি করেছে।
এই অভিযোগের সঙ্গে তারা কিছু তথ্য প্রমাণও হাজির করেছিলেন। এইসমস্ত তথ্য প্রমানের মধ্যে অডিও ক্লিপ ছিল, ভিডিও ছিল, দলিল দস্তাবেজ ছিল।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন ভালো পাঠক হিসেবেও যার সুনাম আছে তিনি কাগজপত্রগুলো নেন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়াশুনা করেন, যাচাই বাছাই করেন এবং তারপর তিনি শুদ্ধি অভিযানের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেন।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ভেতর কিছু কিছু নেতা অসদাচরণ করেন, অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে সেটা তিনি জানতেন কিন্তু এরকম ব্যাপকহারে দুর্নীতি হচ্ছে, দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে সেটি তাঁর অজানা ছিল। তিনি এসব জানার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঘোষণা দেন।
অবশ্য কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দেওয়ার আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি চেয়েছিলেন যে, এদেরকে আগেই চিহ্নিত করা হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এজন্য তিনি যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চেয়ারম্যানকে ডেকেছিলেন এবং ডেকে তিনি যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ হোসেন ভুঁইয়ার কিছু ছবি দেখিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সম্রাটের ক্যাসিনো বাণিজ্যের কথাও যুবলীগ চেয়ারম্যানকে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু যুবলীগ চেয়ারম্যান এ ব্যপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
তাঁর দুদিন পরই যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও সমাবেশের আয়োজন করে। সেটির সূত্র ধরেই আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বলেন যে, দলের মধ্যে কিছু দানব তৈরি হয়েছে এবং এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বৈঠকে তিনি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
এই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা একটা বিষয় স্পষ্ট করেছেন যে, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি এবং অপরাধমূলক কাজের ব্যাপারে তাঁর কোন সমর্থন নাই। এখানে তিনি শূন্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করেছেন।
দ্বিতীয়ত তিনি একটা বার্তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে সঠিক শুদ্ধি অভিযান হয়না। রাজনীতিই পারে, রাজনীতিকে শুদ্ধি করতে এবং এই শুদ্ধি অভিযান এভাবেই শুরু হয়েছে এবং দেশ একটি ওয়ান ইলেভেনের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে।
COMMENTS