এ বছর বিশ্বের আলোচিত ১০০ নারীকে নিয়ে বিবিসির করা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন রোহিঙ্গা নারী জেসমিন আক্তার। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা শরণার্থী পরিবারের এই তরুণী এখন যুক্তরাজ্যের ক্রিকেট তারকা।
বিবিসি জানায়, মিয়ানমার থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় জেসমিনের পরিবার। কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জন্ম জেসমিনের।
তবে জন্মের আগেই তার বাবা মারা যান। পরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার গেটওয়ে রিসেটেলমেন্ট কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান জেসমিন ও তার মা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরও ৩০০ জন।
১৮ বছর বয়সী জেসমিন বলেন, ‘মুক্ত মানুষ হিসেবে প্রতিটি নিঃশ্বাস আপনাকে আরও বেশি আনন্দ দেয়। সেই অনুভূতি কেমন তা আমি জানি।’ তবে যুক্তরাজ্যে গিয়েই নতুন সংকটের মুখোমুখি হন অল্পবয়সী জেসমিন। এক দুর্ঘটনায় তার মা আহত
হলে নিজের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয় তাকে। সে সময় ক্রিকেটের মাঝেই তিনি আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে ক্রিকেট খেলায় তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান। খেলা শুরুর মাস খানেকের মধ্যে জেসমিন দলের অধিনায়কত্বও পেয়ে যান। এরপর ব্র্যাডফোর্ড শহরে জেসমিন এবং তার বন্ধুরা মিলে শুধু এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়েদের নিয়ে ‘অল এশিয়ান গার্লস ক্রিকেট টিম’ গড়ে তোলেন।
প্রথম স্ট্রিট চাইল্ড ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ নামে এ বছর একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। সেবামূলক উদ্দেশ্যে চালু করা এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে জেসমিনকে মনোনীত করা হয়। সেই টুর্নামেন্টে ফাইনালে হেরে গেলেও ‘আইকন ক্রিকেটার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। পরে তিনি উঠে এলেন বিবিসির এ বছরের সেরা ১০০ প্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ক্রিকেটে জেসমিন আক্তারের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ক্রীড়া’ ক্যাটাগরিতে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন ১৮ বছর বয়সী এই রোহিঙ্গা তরুণী। ব্র্যাডফোর্ড কলেজে ব্যবসায়িক শিক্ষায় পড়ছেন তিনি। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান জেসমিন। তবে ক্রিকেটই তার ধ্যানজ্ঞানÑ এমনটা জানান তিনি।
বিবিসি জানায়, মিয়ানমার থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় জেসমিনের পরিবার। কক্সবাজারের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জন্ম জেসমিনের।
তবে জন্মের আগেই তার বাবা মারা যান। পরে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার গেটওয়ে রিসেটেলমেন্ট কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান জেসমিন ও তার মা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৮। ওই কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরও ৩০০ জন।
১৮ বছর বয়সী জেসমিন বলেন, ‘মুক্ত মানুষ হিসেবে প্রতিটি নিঃশ্বাস আপনাকে আরও বেশি আনন্দ দেয়। সেই অনুভূতি কেমন তা আমি জানি।’ তবে যুক্তরাজ্যে গিয়েই নতুন সংকটের মুখোমুখি হন অল্পবয়সী জেসমিন। এক দুর্ঘটনায় তার মা আহত
হলে নিজের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয় তাকে। সে সময় ক্রিকেটের মাঝেই তিনি আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন। একপর্যায়ে ক্রিকেট খেলায় তিনি বিশেষ পারদর্শিতা দেখান। খেলা শুরুর মাস খানেকের মধ্যে জেসমিন দলের অধিনায়কত্বও পেয়ে যান। এরপর ব্র্যাডফোর্ড শহরে জেসমিন এবং তার বন্ধুরা মিলে শুধু এশীয় বংশোদ্ভূত মেয়েদের নিয়ে ‘অল এশিয়ান গার্লস ক্রিকেট টিম’ গড়ে তোলেন।
প্রথম স্ট্রিট চাইল্ড ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ নামে এ বছর একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। সেবামূলক উদ্দেশ্যে চালু করা এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে জেসমিনকে মনোনীত করা হয়। সেই টুর্নামেন্টে ফাইনালে হেরে গেলেও ‘আইকন ক্রিকেটার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। পরে তিনি উঠে এলেন বিবিসির এ বছরের সেরা ১০০ প্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী নারীর সংক্ষিপ্ত তালিকায়। ক্রিকেটে জেসমিন আক্তারের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ‘ক্রীড়া’ ক্যাটাগরিতে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন ১৮ বছর বয়সী এই রোহিঙ্গা তরুণী। ব্র্যাডফোর্ড কলেজে ব্যবসায়িক শিক্ষায় পড়ছেন তিনি। হিসাববিজ্ঞান নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চান জেসমিন। তবে ক্রিকেটই তার ধ্যানজ্ঞানÑ এমনটা জানান তিনি।
COMMENTS