ডেস্ক রিপোর্টঃ সারাদেশে যেদিকে চোখ শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগ। এমন একটা অবস্থা হলে ক্ষমতাসীন দলের জন্য খুবই সুখকর খবর ছিল। তবে সেটা আরো ভালো হতো যদি সবাই আদর্শিকভাবে আওয়ামী লীগ করতো। কিন্তু নিজের স্বার্থ উদ্ধারে ভিন্ন মতাদর্শের লোকজন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে দলের ক্ষতিই বেশি করেছে তারা। ইতিমধ্যেই ৫ হাজারেরও বেশি স্থানীয় পর্যায়ের অনুপ্রবেশকারীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৪ জন প্রভাবশালী নেতার হাত ধরেই বেশ কিছু প্রভাবশালীর অনুপ্রবেশ আওয়ামী লীগে হয়েছে। এই অপরাধে আগামী সম্মেলনের আগেই ৪ জন প্রভাবশালী নেতাকে দল থেকে নিষ্ক্রিয় করতে লালকার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্র।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্যের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে দলের সভানেত্রী ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেই সবচে বেশি অভিযোগ রয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার। সারাদেশেই তিনি আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছেন বলেও গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের না থাকার সম্ভাবনা সবচে বেশি। সেক্ষেত্রে তাকে উপেদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এরপর রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তার বিরুদ্ধে শুধু খুলনা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুন্দরবন দখল করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা থেকে শুরু করে দলীয় প্রভাব বিস্তারে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগীদের দূরে সরিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী সম্মেলনে তাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই খুব বেশি। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের আরেকজন প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধেও বরিশাল অঞ্চল থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, বিশেষ করে থানা কমিটিগুলোতে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠিত করতেই নয়, শেখ হাসিনার আবেগের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মধ্যে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে নিজের কথিত ছেলে কাউন্সিলর রাজীবের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি ক্যাসিনো কেলেংকারিতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাবেক এপিএস মিজানুর রহমান মিজান (বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক) তার মাধ্যমেও নানা কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে। সেক্ষত্রে আগামী সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানকের কপালও পুড়তে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ প্রভাবশালী নেতা হিসাবে রয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। তার বিরুদ্ধে সারাদেশেই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটিতে নিজের বাসার কাজের লোক থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের ঠাঁই দেয়ার পর তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্যাগী অনেক নেতার তোপের মুখে পরেছিলেন আব্দুস সোবহান গোলাপ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও বর্ষীয়ান অনেক নেতাকেই তিনি অবমূল্যায়ণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাও প্রভাব খাটিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এমনকি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর আগামীতে তাদের চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ আর নাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
- উৎপল দাস
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্যের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে দলের সভানেত্রী ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধেই সবচে বেশি অভিযোগ রয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার। সারাদেশেই তিনি আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছেন বলেও গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের না থাকার সম্ভাবনা সবচে বেশি। সেক্ষেত্রে তাকে উপেদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এরপর রয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। তার বিরুদ্ধে শুধু খুলনা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুন্দরবন দখল করে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা থেকে শুরু করে দলীয় প্রভাব বিস্তারে তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগীদের দূরে সরিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। আগামী সম্মেলনে তাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই খুব বেশি। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই আগামী সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে নিজেকে ঘোষণা দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের আরেকজন প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধেও বরিশাল অঞ্চল থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, বিশেষ করে থানা কমিটিগুলোতে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। শুধু আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিষ্ঠিত করতেই নয়, শেখ হাসিনার আবেগের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মধ্যে বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে শুরু করে নিজের কথিত ছেলে কাউন্সিলর রাজীবের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি ক্যাসিনো কেলেংকারিতে জাহাঙ্গীর কবির নানকের সাবেক এপিএস মিজানুর রহমান মিজান (বর্তমানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক) তার মাধ্যমেও নানা কেলেংকারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিরুদ্ধে। সেক্ষত্রে আগামী সম্মেলনে জাহাঙ্গীর কবির নানকের কপালও পুড়তে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ প্রভাবশালী নেতা হিসাবে রয়েছেন দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। তার বিরুদ্ধে সারাদেশেই আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটিতে নিজের বাসার কাজের লোক থেকে শুরু করে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারদের ঠাঁই দেয়ার পর তখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্যাগী অনেক নেতার তোপের মুখে পরেছিলেন আব্দুস সোবহান গোলাপ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও বর্ষীয়ান অনেক নেতাকেই তিনি অবমূল্যায়ণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাও প্রভাব খাটিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এমনকি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর আগামীতে তাদের চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ আর নাও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
- উৎপল দাস
COMMENTS