কারচুপি করে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লেখা হতে পারে বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে বিজয় মেলা মাঠে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ভাবতে পারিনি। ওরা (অন্যান্য সরকার) ৩০ বছর বছর ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় হয়তোবা সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত কাগজপত্র কারচুপি করে রাজাকারদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিখে রাখতে পারে। এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। সেই কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুই-চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় তারা দুঃখ পেয়েছেন। আমার নাম এই তালিকায় এলে যেমন কষ্ট পেতাম, তালিকায় তাদের নাম আসায় একই কষ্ট পাচ্ছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকলে আমরা অচিরেই যাচাই-বাছাই করে সেই নামগুলো প্রত্যাহার করে নেবো। তবে রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের নাম থাকবেই। পরবর্তীতে যে তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেগুলো জেলা প্রশাসক কার্যালয় বা ইউএনও কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে আর যেন ভুল না হয়, আমরা সেভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করবো।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এই তালিকায় ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল না। রাজাকারদের তালিকায় যাদের নাম ছিল, তা সঠিক ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল। এ কারণে যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা প্রকাশ করায় আমরা এই হোঁচট খেয়েছি। কাজ করতে গেলে ভুল তো হতেই পারে। ৬৪ জেলার ৪৬০টি উপজেলার যে সম্পূরক তালিকা আসবে, পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ের নিজ উদ্যোগে সংশোধন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জানি আমি বল্লার (মৌমাছি) চাকে হাত দিয়েছি। রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের তালিকা প্রকাশ করেছি। সঙ্গত কারণেই একটা বিশেষ শ্রেণি ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ৪৮ বছর পরে রাজাকারদের তালিকা করার কী দরকার? তারা তো বলবেনই। কারণ, তাদের আঁতে ঘা লাগে। কী করে তারা বুঝলেন যে তাদের দলেই রাজাকার আছে। তারা (বিএনপি) বলছে, ষড়যন্ত্র করে তাদের নাম নাকি লিখে দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু হলেই তারা শুধু ষড়যন্ত্র দেখে। এট তাদের মুখস্থ কথা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তালিকা সবে শুরু হয়েছে। তবে দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করছি, আমাদের একটু ভুল হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু লোক কিংবা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের নাম রাজাকারদের তালিকায় এসে গেছে। এ ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও আমি বিষয়টি জানিয়েছি।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার তোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান হানজালা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ প্রমুখ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে বিজয় মেলা মাঠে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ভাবতে পারিনি। ওরা (অন্যান্য সরকার) ৩০ বছর বছর ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকার সময় হয়তোবা সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রক্ষিত কাগজপত্র কারচুপি করে রাজাকারদের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিখে রাখতে পারে। এটা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। সেই কারণে ভুলটা হয়ে গেছে। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দুই-চারজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসায় তারা দুঃখ পেয়েছেন। আমার নাম এই তালিকায় এলে যেমন কষ্ট পেতাম, তালিকায় তাদের নাম আসায় একই কষ্ট পাচ্ছি। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকলে আমরা অচিরেই যাচাই-বাছাই করে সেই নামগুলো প্রত্যাহার করে নেবো। তবে রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের নাম থাকবেই। পরবর্তীতে যে তালিকা প্রকাশ করা হবে, সেগুলো জেলা প্রশাসক কার্যালয় বা ইউএনও কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে পর্যায়ক্রমে প্রকাশ করা হবে। পরবর্তীতে আর যেন ভুল না হয়, আমরা সেভাবে যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করবো।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এই তালিকায় ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল না। রাজাকারদের তালিকায় যাদের নাম ছিল, তা সঠিক ছিল বলে বিশ্বাস করা হয়েছিল। এ কারণে যাচাই-বাছাই না করেই তালিকা প্রকাশ করায় আমরা এই হোঁচট খেয়েছি। কাজ করতে গেলে ভুল তো হতেই পারে। ৬৪ জেলার ৪৬০টি উপজেলার যে সম্পূরক তালিকা আসবে, পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে। ত্রুটিপূর্ণ তালিকা মন্ত্রণালয়ের নিজ উদ্যোগে সংশোধন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জানি আমি বল্লার (মৌমাছি) চাকে হাত দিয়েছি। রাজাকার, আলবদর ও আলশামসদের তালিকা প্রকাশ করেছি। সঙ্গত কারণেই একটা বিশেষ শ্রেণি ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ৪৮ বছর পরে রাজাকারদের তালিকা করার কী দরকার? তারা তো বলবেনই। কারণ, তাদের আঁতে ঘা লাগে। কী করে তারা বুঝলেন যে তাদের দলেই রাজাকার আছে। তারা (বিএনপি) বলছে, ষড়যন্ত্র করে তাদের নাম নাকি লিখে দেওয়া হয়েছে। কোনো কিছু হলেই তারা শুধু ষড়যন্ত্র দেখে। এট তাদের মুখস্থ কথা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তালিকা সবে শুরু হয়েছে। তবে দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করছি, আমাদের একটু ভুল হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু লোক কিংবা যারা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের নাম রাজাকারদের তালিকায় এসে গেছে। এ ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেও আমি বিষয়টি জানিয়েছি।’
মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলা কমান্ডার তোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান হানজালা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ প্রমুখ।
COMMENTS